কিসমিসের পুষ্টিগুণ কিসমিস কিভাবে খেলে বেশি উপকার লাভ করা যায়


কিসমিস অতি শক্তি উৎপন্নকারী একটি ফল, এ ফলে যেমন রয়েছে অগণিত পুষ্টিপ্রদান তেমনি এর পাশাপাশি রয়েছে বিশাল স্বাস্থ্য উপকারিতা। প্রাচীন কাল থেকেই এই কিসমিস ব্যবহার হয়ে আসছে

কিসমিসের - পুষ্টিগুণ

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকের যত্নে, চুলের যত্নে এছাড়া আরো রয়েছে অনেক চিকিৎসা কত উপকারিতা তাই আপনি যদি কিসমিস না খেয়ে থাকেন তাহলে আজ থেকেই কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

পেইজ সুচিপত্রঃ খেজুরের - পুষ্টিগুণ


কি ধরনের আঙ্গুর দিয়ে কিসমিস তৈরি হয়

শুকনো ফলের রাজা মানা হয় কাজুবাদাম কে  আর কাজুবাদাম যদি রাজা হয় তাহলে রানী কে হবে বুঝতেই পারছেন হ্যাঁঁ ঠিক ধরেছেন কিসমিসই হচ্ছে শুকনো খাবারের রানী। এর মানে বুঝতে পারছেন এর গুরুত্ব কতটুকু আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় যুক্ত করা । তো চলুন জেনেনি কিসমিস কি ধরনের আংগুর দিয়ে কিসমিস তৈরি করা হই। আপনি যানলে অবাক হবেন যে বাজারের কনো

আংগুর দিয়েই কিসমিস তৈরি হইনা। আংগুর বানাতে প্রোয়জন কিছু নির্দিষ্ট আংগুর বিশেষ কোরে ৫ প্রজাতির আংগুর দিয়ে তৈরি হই কিসমিস আর সেগুলো হলো।

  • থম্পসন সীডলেস
  • ব্ল্যাক করিন্থ
  • ফিয়েস্তা
  • মাসক্যাটস্‌
  • সুলতানস্‌

কিসমিস কে যেভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ করা হয়

বিশাল বিশাল ফার্মে এসব আঙ্গুরের চাষ করা হয় যখন আঙ্গুর গুলি উপযুক্ত সময় এসে পেকে যায় তখন এ আঙ্গুলগুলিকে গাছ থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া হয় পরবর্তী প্রসেসের জন্য। ওয়ার্কাররা বড় বড় মাংস ওয়ালা আঙ্গুর গলা সারাদিন ক্যারেটে ভর্তি করে আর এই ক্যারেট ভর্তি আঙ্গুর গুলিকে এবার

মিথাইল আলিয়েট এবং পটাশিয়াম কার্বনেট ভাড়া পানিতে চুবানো হয় যাতে আঙ্গুল গুলি সহজে শুকিয়ে যায় আর শুকানোর সময় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত হয়ে যেন পচে না যায় এবং কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এর সাথে যেন না যুক্ত হতে পারে বা পোকামাকড় যেন না লাগে। একটি ফার্মে আগে

থেকেই চারপাশ দিয়ে জাল দিয়ে ঘিরে ছোট ছোট শিল্পের মতো করে অনেকগুলো সেলফি তৈরি করা থাকে তাও আবার সেগুলো জাল দিয়ে যাতে করে এই সেলগুলোতে আঙ্গুর গুলিকে শুকানোর জন্য রাখা যায়। এটাকে বলা হয় র‍্যাক। এবার কেমিক্যাল ভেজানো আঙ্গুর গুলোকে নিয়ে এসে সেলফিগুলোতে বিছিয়ে দেয়া হয় শুকানোর জন্য শুকাতে দেয়ার পরে নজর রাখতে হয় যাতে

কোন ভাবেই সূর্যের আলো এই আঙ্গুর গুলোতে না পড়তে পারে ঠিক এজন্যই এ নির্দিষ্ট র‍্যাক বানানো বা সেড বানানো যাতে সূর্যের আলো থেকে আঙ্গুর গুলোকে বাঁচাতে পারে পারা যায়। এরপর ১৫ দিনের অপেক্ষার পালা। ঠিক ১৫দিন পর এই আঙ্গুর গুলি শুকিয়ে এবার খাবার উপযোগী হয়ে ওঠার পালা না

কি ভাবছেন এবার ভাবছেন যে আঙ্গুল বেরিয়ে আসলেই খাওয়ার জন্য প্রস্তুত, না বন্ধুরা এখনো আরো কিছু প্রসেস বাকি আছে এ আঙ্গুর গুলোকে এবার কনভেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বেশ কিছু বার পানির মধ্যে ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয় বেশ কয়েকবার কি ভাবছেন এখন তো কিসমিস কে ধুয়ে ফক ফকে

সাদা করে ফেলা হয়েছে। আর নিশ্চয়ই এখন এই আঙ্গুর বাজারে প্যাক করে ছেড়ে দেওয়া যায় তাই না না এখনো কিছু কাজ বাকি আছে আর সেটা হচ্ছে আঙ্গুর গুলোতে লেগে থাকা পানিগুলো শুকাতে হবে তা না হলে আঙ্গুর গুলি নরম হবে না। তাই কিসমিস গুলোকে একটু তুলতুলে নরম করার জন্য

একটি সেন্ট্রিফিউগাল থাম্বলারে ৪০০০ আরপিএম স্পিডে ঘোরানো হয় এখানে ঘোরানোর ফলে কিসমিসের পানি গুলো শুকিয়ে যায়। আর কিসমিস একদম শুকনো হয়ে যায়। ফাইনালি এবার কিসমিস একবারে লটসহ যায় প্যাকেজিং এ। আর প্যাকেজিং শেষে দোকানে এবং দোকান থেকে

আমাদের হাতের মুঠোয় নরম নরম তুলতুলে ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই কিসমিস। কিসমিস কিন্তু সাধারণত বেশ কয়েকটি দেশে ব্যাপকভাবে পাওয়া যায় এবং ওই দেশগুলো এই কিসমিস গুলো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানি করে থাকে তাদের মধ্যেই হল ইরাক ইরান পাকিস্তান ও ভারত থেকে রপ্তানি করা হয়। এবং আমাদের দেশেও ওই দেশগুলির কিসমিসগুলি বেশি জনপ্রিয়

কিসমিসে কি ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে তা জানুন

আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন কিভাবে আঙ্গুর থেকে কিসমিস তৈরি করা হয় সূর্যের তাপে অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ফ্রুক্টোজগুলো একত্রিত হয়ে আঙ্গুর থেকে মিষ্টি সুস্বাদু কিসমিস বানানো হয়। যাতে রয়েছে পটাশিয়াম যা আপনার দুর্বলহাট কে সবল রাখবে এবং

কিসমিসের - পুষ্টিগুণ

ভালো রাখবে আর খারাপ কোলেস্টেরল গুলোকে দূর করতে সাহায্য করে। আরো রয়েছে আইরন যা রক্তচাপ কমাবে এবং কার্বোহাইট্রেট যা এনার্জি যোগাজ। অনেক সময় দুর্বল মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা এই কিসমিস খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন চলুন কিসমিসের উপাদান গুলো দেখে নিয়ে যাক।

প্রতি 100 গ্রাম ৩.৫ আউন্স কিসমিস এ পুষ্টিমান

শক্তি =  ২৯৯ kcal, শর্করা = ৭৯. ১৮ গ্রাম, চিনি = ৫৯.১৯ গ্রাম।
খাদ্য আঁঁশ =  ৩.৭ গ্রাম, স্নেহ পদার্থ = ০.৪৬ গ্রাম, প্রোটিন = ৩.০৭ গ্রাম।
থায়ামিন বি১ = ৯%, (০. ১০৬ মিগ্রা), রিবোফ্লোভিন = ১০%, (০. ১২৫ মিগ্রা)।
নয়েসিন বি৩ = ৫%, ( ০.৭৬৬ মিগ্রা), প্যানটোকেনিক এসিড  বি৫ = ২%, (০.০৯৫ গ্রাম)।
ভিটামিন বি৬ = ১৩%, (০. ১৭৪মিগ্রা), কলিন = ২%, (১১.১মিগ্রা)।
ভিটামিন সি = ৩%,( ২.৩মিগ্রা), ভিটামিন ই = ১%, (০.১২মিগ্রা), ভিটামিন কে .৩%, (৩.৫মিগ্রা)।
কিশমিশে যে ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে
ক্যালসিয়াম= ৫%, (৫০মিগ্রা), লৌহ =  ১৪%,(১.৮৮মিগ্রা), ম্যাগনেসিয়াম = ৯%, (৩২মিগ্রা)।
ম্যাঙ্গানিজ = ১৪%, (৩২মিগ্রা), ফসফরাস = ১৪%, (০.২৯৯মিগ্রা)।
পটাশিয়াম= ১৬%,(৭৪৯মিগ্রা), সোডিয়াম = ১%, (১১মিগ্রা), জিংক = ২%, ( ০.২২মিগ্রা)।
আপনি জানেন কি কিসমিসের ওজন অনুসারে ৭২% সর্করা থাকে যার বেশিরভাগ ফ্রক্টোজ এবং গ্লুকোজ রয়েছে। এগুলোতে প্রায.৩% প্রোটিন এবং ৩.৭% - ৬.৮% ডায়েটার ফাইবার রয়েছে।

কিসমিস সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করে যা বলেছেন

কিসমিস সম্পর্কে আমেরিকার বৈজ্ঞানিকরা গবেষণা করে ৬১ তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ২০১২ তে উপস্থাপিত তথ্য থেকে জানা যায় যে রক্তচাপের হালকা পরিমাণে বেড়ে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যারা নিয়ম মেনে কিসমিস খেয়েছে দিনে চার থেকে পাঁচ বার তাদের রক্তচাপ অনেকটাই কমে

গিয়েছে এটিকে আপনি চাইলে দিনের বিভিন্ন সময় আমরা যে স্নাক্স খেয়ে থাকি এটি কে সেই স্নাক্স এর মত করে খেয়ে থাকতে পারে আমরা চাইলে আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে ও এই কিসমিসকে খাওয়ার তালিকার মধ্যে যোগ করতে পারে যাতে আমরা কিসমিসের পুষ্টিগুণ পেতে পারি।

কিসমিসকে পানিতে ভিজিয়ে খেলে যে উপকার গুলি পাওয়া যায়

কিসমিস খেয়ে পানিতে ভিজিয়ে খেলে এটি যাদুকরী কাজ করে আবার আপনি চাইলে ভেজানো কিসমিস খেয়ে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও খেতে পারেন পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন এই কিসমিসে রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর অনেক ধরনের উপাদান। চলুন জেনে নিয়ে যাক পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সমূহ

এই কিসমিস রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ ইতিমধ্যে আমরা অনেকেই জানতে পেরেছি যে কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান আর সেই পুষ্টি প্রদানের অন্যতম একটি উপাদান হলো লৌহ ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ এই কিসমিস রক্তস্বল্পতা দূর করতে ব্যাপকভাবে ভূমিকা পালন করে।

কিসমিসে থাকা কপার রক্তের লোহিত কণিকা বাড়িয়ে তুলে যার ফলে আপনার শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর হয়ে যায় এবং আপনি আপনাকে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রাণবন্ত সতেজ ও প্রফুল্ল বোধ করেন কেননা আপনি আপনার শরীরে কিসমিস খাওয়ার ফলে উৎপাদিত বাড়তি রক্তের শক্তি অনুভব করছেন।

এই মিশ্রণটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা শরীরের লবণাক্ত তার ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর খুব বেশি উৎস হিসেবে কাজ করে যা রক্তনালীর জৈব রসায়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যার কারণে রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

এটি হাড়ের সুরক্ষা কবজ হিসেবে কাজ করেঃ এটি আপনার হাড়ের গঠনের জন্য অন্যতম প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে আপনার হাড় বছরের জন্য যা প্রয়োজন তা আপনি কিসমিস থেকে প্রচুর পরিমাণে পেয়ে থাকতে পারে তাছাড়াও এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট যা আপনার হারকে শক্ত ও সুদৃঢ় করে।

এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্যের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আজই আপনার খাদ্য তালিকায় কিসমিস কে অন্তর্ভুক্ত করুন। কিশমিশে ভিটামিন বি এবং সমৃদ্ধ রয়েছে। আর তাই কিসমিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে এবং সম্ভাব্য

সংক্রমণ থেকে সদা সশস্ত্র রাখে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়া কিন্তু দুই ধরনের হয় একটি আমাদের শরীরে বাসা বেধে রোগের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে এবং আপনাকে অসুস্থ বানিয়ে ফেলে আর এভাবে আপনাকে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যেতে থাকে। তবে চিন্তা নেই ভালো

ব্যাকটেরিয়া গুলি আপনার শরীরে যে খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলি উৎপন্ন হয় সেগুলোকে তারা যুদ্ধ করে হারিয়ে ফেলে এবং নিশ্চিহ্ন করে দেয় এবং আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই ভালো ব্যাকটেরিয়া গুলি আপনার শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়িয়ে তোলে যার ফলে আপনার শরীরে এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

এটি শরীরে শক্তি যোগায়ঃ কিসমিস খাওয়া অভ্যাস যদি আপনার থেকে থাকে তাহলে প্রাকৃতিক গ্লুকোজ কর্মশক্তি বাড়ায় আমরা বর্তমানে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে অ্যাড দেখে থাকি যে রৌদ্রে অথবা দৈনন্দিন কাজে শরীর যদি ক্লান্ত হয়ে পড়ে তাহলে গ্লুকোজ খাওয়ার জন্য তারা এড দেখে আমাদের

সচেতন করে যেগুলি প্রাকৃতিক বা কেমিক্যাল যুক্ত হতে পারে কিন্তু আমাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রকৃতিতেই অনেক ধরনের খাদ্য ফলমূল দিয়েছেন যেগুলি খেলে আমরা আমাদের শরীরের কোন ধরনের ক্ষতি না করে আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে পারে আর সেটি হল কিসমিস।

এই কিসমিস অন্ধত্ব ও কোলেস্টেরল দূর করেঃ সময়ের আগে যদি আমরা সচেতন হতে পারি এবং যদি জানি যে কোন ফল কিভাবে খেলে আমরা আমাদের কিছু অতি ভয়ংকর রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবো তাহলে আমাদের সে দিক গেলে অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। কিসমিস খেলে আপনি আপনাকে অন্ধত্ব থেকে দূরে রাখতে পারবেন কেননা এদের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেটি আপনার অন্ধত্বকে দূর করে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত কিসমিস খেলে আপনি চাইলে আপনার দৃষ্টি শক্তিকে প্রখর করতে পারেন কেননা কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন যা আপনার দৃষ্টি শক্তি কি বৃদ্ধি করতে ব্যাপকভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে

মনোযোগ ও বুদ্ধির বিকাশ করেঃ আপনি যদি আপনার মনোযোগ ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে চান তাহলে অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বুদ্ধি বিকাশকারী উপাদান আর সেটি হলো বোরন।

সকালে খালি পেটে পানিতে ভেজা কিসমিসের উপকারিতা

সকালে খালি পেটে পানিতে ভেজা কিসমিস খাবার বহু উপকারিতা রয়েছে আমরা যদি প্রতিদিন সকালে এইভাবে কিসমিস খেতে পারি তাহলে বহু উপকারিতা পেতে পারি যেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ কিসমিস প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করবে কোন ধরনের ওষুধ
 
বা কেমিক্যাল ছাড়াই কেননা এতে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা এবং শরীরে বাড়তি ক্যালোরি যোগ করা ছাড়াই খোদা নিয়ন্ত্রণ রাখে। কিসমিস খেলে দীর্ঘক্ষন আপনার পেট ভরা থাকে যার ফলে আপনি বারবার খিধাবোধ করবেন না আর আপনারা তো জানেনই যত বেশি খাবেন শরীরের ওজন ততই পারবে আর
এই কিসমিস খেলে আপনার খেদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে যার ফলে আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কিসমিসের - পুষ্টিগুণ

হজমে সহায়তা করেঃ পানিতে ভেজা কিসমিস খেলে এটি আপনার হজমের জন্য যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে  কেন এই কিসমিসে রয়েছে আঁশ তাই এটি প্রাকৃতিকভাবে কাজ করে এবং আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি বাড়িয়ে তুলে যে আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করেঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে চাইলে কিসমিস আপনাকে খেতেই হবে কেননা কিসমিসে আছে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যেটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে আমরা অনেকেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য অনেক টাকা পয়সা খরচ করে দামী দামী টুথপেস্ট ব্যবহার করে 
থাকে সকালে খালি পেটে পানিতে ভিজে কিসমিস পানিসহ খেলে আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।

অনিদ্রা ভাব দূর করেঃ নিয়মিত এই মিশ্রণটি খেলে আপনার অনিদ্রা ভাব দূর হয়ে যাবে কেউ না কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা মানুষের অনিদ্রভাব দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে তাই প্রতিদিন খালি পেটে পানিতে ভিজিয়ে কিসমিস ও কিসমিসের পানি আপনাকে খেতেই হবে তাহলেই না কাজ করবে।

ত্বকের যত্নে কিসমিসঃ আপনি যদি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে চান প্রাকৃতিকভাবে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সকালে খালি পেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস ও তার পানি পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন সি, ই এবং কোলোজেন উপাদানে বিশেষ ভূমিকা রাখে ভিটামিন বি৬,

ক্যালসিয়া, পটাশিয়াম এবং কপার প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। তাছাড়াও এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ যার কারণে আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে। সূর্যের ক্ষতিকর রশি থেকে আপনাকে বাঁচায় তাই নিয়মিত ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিংবা সকালে খালি পেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখা কিসমিস টি এবং তার পানি আপনাকে খেতে হবে তাহলে আপনি নিজেই আপনি আপনার চেহারার উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করবেন।

লেখক এর মন্তব্য

পরিশেষে বলা যেতে পারে কিসমিস আমাদের জন্য অনেক বেশি উপকারী একটি ফল এর ফলটি আমরা যদি কেউ না খাওয়ার অভ্যাস করে থাকি তাহলে আমার এই পোস্টটি পড়ার পর থেকে আজ থেকেই যেন আমরা প্রত্যেকে এই ফলটি খাওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করি কেননা এই

ফলটি খেলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান লাভ করতে পারে এর পাশাপাশি, আমাদের নিজেদের শরীরকে বিভিন্ন রোগ বালাই থেকে দূরে রাখতে পারে। এছাড়াও আমরা আমাদের প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের যত্ন চুলের যত্ন এবং আরও অনেক ধরনের যত্ন নিতে পারে। বিভিন্ন রঙের কিসমিস বাজারে পাওয়া যায় যেমন লাল কালো সোনালী এবং বাদামী রঙের কিসমিস আমরা বাজারে দেখতে পাই আপনি যে ধরনের কিসমিস খান না কেন সবগুলোতেই একই উপাদান রয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাই আলোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url