দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায়-কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত শিরশির করে

দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায়-কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত শিরশির করে এ ব্যাপারে আজ বিস্তারিত বর্ণনা করতে চলেছি আপনাদের সাথে। চিনি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতের এক প্রকার খয়ের সৃষ্টি হয় এবং এই ক্ষয় রোদের জন্য বেশ কিছু ঘরোয়া
দাঁত-শিরশির-থেকে মুক্তির-উপায়-কোন-ভিটামিনের-অভাবে-দাঁত-শিরশির-করে
পদ্ধতিও রয়েছে তার মধ্যে হলুদ, রসুন, মধু ও গরম পান, ক্যাপসিকাম, বিশেষ ধরনের মাজন, লবণ পানি, অয়েল পুলিং, ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্রিন টি তৈরি করে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার, এধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে দাঁতের শিরশির ভাব রোধ করা যায়।

পেইজ সূচিপত্রঃ দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায়

দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায়

দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায় এর গুরুত্ব বর্তমান সমাজে অপরিসীম। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি আপনি চাইলে মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়লে আপনাকে আর কখনো ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। এই সমস্যা প্রায় সকল বয়সেরই মানুষের হয়ে থাকে ছোট থেকে বড় এমন কি বয়স্কদের ও হয়। আমাদের দেশে একটি প্রচলিত প্রবাদ বাক্য রয়েছে আপনারা নিঃসন্দেহে এটাই সবাই জানেন আর সেটি হল দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দাও। অর্থাৎ সময় থাকতে প্রত্যেকটি প্রিয় জিনিসের যত্ন নিতে হবে।

আমরা অনেকেই জানিনা যে দাঁত আমাদের অঙ্গের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সৌন্দর্যের মধ্যে পড়ে। কারো দাঁত যদি না থাকে অর্থাৎ উঠে যায় কোন কারণে তাহলে তাকে দেখতে বেজাই বোকা মানুষ লাগে। অল্প বয়স্ক মানুষের দাঁত উঠে গেলে তার তো আরো বিপদ তার উপর যদি তার আবার বিয়ে না হয়। এর মানে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনার অল্প বয়সে যদি দাঁত হারিয়ে ফেলতে হয় শুধুমাত্র যত্নশীল না হওয়ার কারণে তাহলে কি রকম একটা বাজে পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। দাঁতের তিনটা অংশ রয়েছে দাঁতের ভেতরের নার্ভ এবং ওপরে ডেন্টিনের আস্তরণ যার মধ্যে নার্ভ

এবং রক্ত চলাচল হয়ে থাকে আর সবচেয়ে শেষের অংশে থাকে সিমেন্ট এর মত ক্যালসিয়ামের আস্তরণ। শেষের আবরণটিকে বলা হয় এনামেল। যেটি দাঁত কে চকচকে ও আকর্ষণীয় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আবার দাঁতের ডেন্টিং অংশকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। দাঁতের এ এনামেল ক্ষয় হলে খাবার দাতের ডেন্টিনে লাগে এবং নার্ভ সিস্টেমকে এই অনুভূতি দিয়ে ফেলে। এই সমস্যাটি হয় সাধারণত টক, ঠান্ডা এবং বেশি গরম পানি বা গরম খাবার খেলে দাঁতে শিরশির ভাব অনুভূত হয়। আমাদের মধ্যে যাদের দাঁতের বাইরের ভাগ অর্থাৎ এনামেল দুর্বল তারা শীতকালে এই

শিরশিরানী ভাব বেশি অনুভব করে। কেননা শীতকালে পানি পান করতে গেলেই ঠান্ডা কনকনের পরে থেকে এই সিরসির ভাব তীব্র হয়ে ওঠে। দাঁতের এই সমস্যাকে ছোট মনে করে যদি আপনি এর সমাধানের জন্য কোন পদক্ষেপ না নেন তাহলে পরবর্তীতে এই সমস্যা থেকে আপনার দাঁতের গোড়ার অংশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এবং এর ফলে আপনি অকালে আপনার দাঁত হারাতে পারে। দাঁতের এই শিরশির ভাবকে ডেন্টিসদের মতে সেনসিভিটি বলা হয়। দাঁতের সেন্সিভিটি বা দাঁতের শিরশির ভাব থেকে বেস কিছু মুক্তির উপায় রয়েছে যেমন বিশেষ ধরনের মাজন, লবণ পানি, মধু ও

গরম পান, ক্যাপসিকাম, অয়েল পুলিং, ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্রিন টি তৈরি করে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার, হলুদ এবং রসুন এগুলি বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনি আবার ভাবছেন যে এসব জিনিস কিভাবে প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি নিচে এক এক করে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করছি।

বিশেষ মাজন ব্যবহার করে শিরশির থেকে মুক্তি

বিশেষ মাজন ব্যবহার করে শিরশির থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে বাজারে এক ধরনের বিশেষ মাদান পাওয়া যায় যে মা জনকে বলা হয়  ডিসেন্সিটাইপিং টুথপেস্ট। এই মাজন গুলি সাধারণত ডেন্টিস্টরা আমাদের এই সমস্যা হলে সাজেস্ট করে থাকে কেননা এ ধরনের মাজনি কিছু বিশেষ ধরনের উপাদান রয়েছে যা আপনার দাঁতের ক্ষয় রোধের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে বা আপনার ক্ষয় রোধকে পুনর্গঠন সহায়তা করে। কেননা এ মাজনে পটাশিয়াম নাইট্রেট নামধারী একটি যৌগ থাকে যেটি আমাদের খয়রোধের কাজের জন্য

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া এর পাশাপাশি দাঁত পরিষ্কার করার বা ব্রাশটি নরম হলেও এর সমস্যায় অনেকটা সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে এবং আপনি যদি ডাক্তারের কাছে গিয়ে পকেটের পয়সা খরচ না করে নিজের সমস্যার সমাধান নিজে করতে চান তাহলে আপনি ভাল কোন একটি ডিস্পেন্সারি থেকে দাঁতের এই বিশেষ মাজনের  কথা বললে ডিসপেন্সারি থেকে দিয়ে দিবে। আর সেটি নিয়ে এসে আপনি ব্যবহার করলে আশা করা যায় ফলাফল পাবেন।

উষ্ণ লবন পানি থেকে মুক্তি পাবেন দাঁত শিরশিরানির

উষ্ণ লবণ পানি থেকে মুক্তি পাবেন দাঁত শিরশিরানির এই পদ্ধতিটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। আমরা অনেকেই জানি ঠান্ডা লাগলে গরম পানি দিয়ে গড়গড়া বা কুলকুচি করতে হয় ঠিক তেমনি আপনার ক্ষয় হয়ে যাওয়া দাঁতের কারণে যে শিরশির ভাব অনুভূতি হয় যা অসহ্য একটি যন্ত্রণাদায়ক ব্যথায় পরিণত হয়। আপনি যখন কোন খাবার খান এবং মুখ যদি ভালোভাবে পরিষ্কার না করেন তাহলে আপনার দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাবার পচে ব্যাকটেরিয়ায় পরিণত হয় যা দাঁতের সাথে লেগে আপনার দাঁতের এনামেলকে খেতে
উষ্ণ-লবন-পানি-থেকে-মুক্তি-পাবেন-দাঁত-শিরশিরানির
থাকে আর এভাবে দাঁতের ক্ষয়ের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি যদি পরিমাণ মতো পানির সাথে কিছুটা লবণ এমনভাবে মেশাবেন যাতে পানিটা কিছুটা হলেও লবণাক্ত মনে হয়। এরপর পানিটিকে একবার ফুটিয়ে নেন তারপর কিছুক্ষণ পরে হালকা গরম অবস্থাতেই ওই পানিটি দিয়ে গরগড়া বা কুলকুচি করুন। এটি করলে আপনার মুখের ব্যাকটেরিয়া গুলি ধ্বংস হয়ে যায়। আবার অপরপক্ষে এভাবে কুলকুচি করলে দাঁতের শিরশির থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কাজ করবে।

অয়েল পুলিং করে দাঁতের সংবেদনশীলতা কমাবেন যেভাবে

অয়েল পুলিং করে দাঁতের সংবেদনশীলতা কমাবেন যেভাবে এই বিষয়ে জানার আগ্রহ অনেকেরই রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নিই যে কিভাবে অয়েল পুলিং করে আপনি আপনার শিরশিরনী থেকে মুক্তি পাবেন। আমি আপনাকে এখন এমন একটি পদ্ধতি অবলম্বন করার জন্য বলতে চলেছি যেটি খুবই সহজ অনুকরণীয় পদ্ধতি। আর সেটি হল

আপনি কিছু তিল ও নারকেল তেল একসাথে ব্যবহার করতে পারেন অর্থাৎ তিল এবং নারকেল তেলের একটি মিশন তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রণটি মুখে দিয়ে অর্থাৎ দাঁতে যেখানে ব্যথা করছে সেখানে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখতে হবে তারপর কিছুক্ষণ পরে এটিকে আবার বের করে নিবেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি আপনার পীড়াদায়ক প্রদাহ থেকে মুক্তি পাবেন

হলুদ ব্যবহার করে এ থেকে মুক্তির পাওয়ার উপায়

হলুদ ব্যবহার করে এ থেকে মুক্তির পাওয়ার উপায় হিসেবে আমরা এদিকে কিছু প্রক্রিয়াজাতকরণ করে ব্যবহার করতে পারি। আপনি কি জানেন বাজারে সস্তায় পাওয়া যায় এই হলুদ যে হলুদ ব্যবহার করে আপনি চাইলে ঘরে বসে আপনি আপনার দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে এটিকে ব্যবহার করলে সহজে এদিকে মুক্তি লাভ করতে পারেন। দাঁতের যে জায়গাটি ব্যথা করছে সে জায়গাটি প্রথমে নির্বাচন করুন এরপর সেই জায়গায় হলুদ মালিশ করতে পারেন। তাছাড়া হাফ চা চামচ হলুদ নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো

লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে নিন এভাবে একসঙ্গে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই মিশ্রণটিকে ব্যথা হয় ওই জায়গায় দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। আপনি কি জানেন হলুদে একপ্রকার কারকিউমিন নামক উপাদান থাকে। এই উপাদানটি জীবাণু খতমকারী ও আপনার সংবেদনশীলতা উপসংকারে একটি উপাদান। আর এই উপাদানের ফলেই আপনার দাঁতের যত ধরনের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তা থেকে আপনাকে মুক্ত করে ঠিক সেই সাথে আপনার ব্যথা কেউ কমিয়ে দেয়।

গ্রিন টিক মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করে শিরশিরানি থেকে মুক্তি

গ্রিন টিকে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করে শিরশিরানি থেকে মুক্তি পাবেন যদি আপনি এটিকে সঠিক নিয়মে সেবন করতে পারেন। আপনি জানলে অবাক হবেন যে গ্রিন টি ও আবার এই প্রধান থেকে মুক্তি দিতে পারে। গ্রিন টি আপনার মুখের স্বাস্থ্যের জন্য সাহেব ভূমিকা পালন করতে পারে।আপনি যদি দাঁতের শিরশির ব্যথা অনুভব করেন তাহলে দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রিন টি ব্যবহার করলে উপকারিতা লাভ করবেন। এই গ্রীনটিকে স্বাভাবিকভাবে যেভাবে চা বানান

ঠিক সেভাবে বানাতে হবে এবং তাতে কোন প্রকার চিনি দেয়া যাবে না। চা বানানো হয়ে গেলে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপর এই গ্রিন টিকে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন। অর্থাৎ এই গ্রিন টি দিয়ে আপনি কুলকুচি এবং গড়গড়া করবেন তাহলে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন আবার আপনার দাঁত মজবুতও হবে। এবং এটা দিয়ে কুলকুচি করলে আপনার মুখের ভেতর তরতাজা ও ফ্রেশ অনুভব করবেন।

ক্যাপসিকাম ব্যবহার করে এই ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

ক্যাপসিকাম ব্যবহার করে এই ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হিসেবে আমরা এটিকে আমাদের এই  ব্যথা মুক্তির জন্য প্রয়োগ করে দেখতে পারি যে আসলে এটি কাজ করে কিনা এবং কিভাবে কাজ করে। ক্যাপসিকাম অর্থাৎ মরিচ আপনি যদি ভাবছেন যে মরিচ দেওয়া আবার এ ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কিভাবে আসুন তাহলে সেটা দেখি। যদিও এটি শুনতে অবাক লাগতে পারে অনেকেরই 

কিন্তু আসলে ক্যাপসিকাম বা মরিচে থাকে ক্যাপসাইসির নামক একটি রাসায়নিক উপাদান। এই উপাদানটি মূলত আপনার দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে কাজ করবে। দাঁতের যে জায়গায় ব্যথা করছে সে জায়গায় মরিচ লাগিয়ে কিছুক্ষণ ধরে থাকুন প্রথমের দিকে মুখ জ্বললেও পরে ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে অর্থাৎ এই জ্বালাটি আপনি পরবর্তীতে সহ্য করে নিতে পারবেন। আর 

এভাবে আপনার দাঁতের সেন্সিভিটি বা দাঁতের প্রদাহ কমে যাবে। কোন মরিচ কতটুকু ঝাল তা নির্ধারণ করে ক্যাপসিকামে থাকা ক্যাপসাইসিন নামক এই যৌগটি। আপনার মুখের যেকোনো ব্যাথাকে কমাতে ধারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই যৌগটি। অথবা আপনি চাইলে মরিচকে ব্লেন্ডারে দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন অথবা পাটায় বেটে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। এরপর সেটিকে পানির সাথে মিশিয়ে এই মিশ্রিত পানিকে মাউথ ওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

এ ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে রসুনের ব্যবহার

এ ব্যথা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে রসুনের ব্যবহার যেটিকে আপনি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম মোতাবেক কাজে লাগাতে পারলে এই ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবেন। এই রসুনে রয়েছে এক ধরনের এলিসিন নামক যৌগ যা শক্তিশালী একটি এন্টিব্যাকটেরিয়াল। আমাদের রান্নাঘরে মসলার পাত্রে পড়ে থাকা রসুনের একটি কোয়া নিবেন তারপর সেটিকে বেটে নেন।

এবং এই বেটে নেয়া পেস্টের সাথে অল্প পরিমাণে পানির ফোটা দেন এবার এটাতে অল্প লবণ মিশিয়ে দিন। এরপর এই মিশ্রণটিকে আপনার যে জায়গায় ব্যথা করছে সেখানে লাগিয়ে নিন .১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হালকা গরম লবণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তাহলে এটি নিঃসন্দেহে আপনার ব্যথা উপশম করবে। যতদিন ব্যাথা অনুভব করবেন ততদিন দিনে দুইবার এই মিশ্রণটি আক্রান্ত দাঁতে লাগিয়ে রাখুন তাহলে আপনার এ ব্যথা দূর হবে।

এ ব্যথা থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে ভ্যানিলার ব্যবহার

এ ব্যথা থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে ভ্যানিলার ব্যবহার খুবই উপকারী একটি পদ্ধতি। আপনি কি জানেন যে এই ভ্যানিলার নির্যাস এই ব্যথা থেকে মুক্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ যখন শিশুদের দাঁত পড়ে যায় অথবা নতুন করে দাঁত বের হয় সে সময় যখন তাদের প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয় ঠিক ওই সময়ও এই ভ্যানিনের নির্যাস ব্যথা কমাতে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ

ভূমিকা পালন করে। বড়রাও চাইলে এই ভ্যানিলার নির্যাস ব্যবহার করতে পারেন নিঃসন্দেহে। এটি ব্যবহারের জন্য কিছু পরিমাণ তুলোর সাথে ভ্যানিলার নির্যাস নিতে হবে। এরপর এটিকে আক্রান্ত দাঁতের উপর দিয়ে অপরপাটের দাঁত এবং নিজের পার্টির দাঁত দিয়ে চেপে ধরে রাখতে হবে কিছুক্ষণ ধরে, ব্যাস এভাবেই মিলবে ব্যাথা থেকে মুক্তি। তারপর মুখ ধুয়ে নিন হালকা গরম পানি দিয়ে।

মধু ব্যবহার করলে শিরশিরানি থেকে মুক্তি পাবেন

মধু ব্যবহার করলে শিরশিরানি থেকে মুক্তি পাবেন এ ব্যাপারে আমরা অনেকেই হয়তোবা জানি আবার অনেকেই অজানার রয়ে গিয়েছে। মধু হলো এমন একটি প্রাকৃতিক ঔষধি যা প্রায় সব ধরনের ভেষজ ঔষধ তৈরি করতে কাজে লাগে। আমাদের আজকের এই সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রেও এই মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরমধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যা আপনার দাঁতের ক্ষত নিরাময়ের জন্য কার্যকর ভূমিকা প্রদান করে।

মধু দাঁতের ব্যথা এবং মাড়ির ফোলা আর এ সমস্ত কার্যক্রমের জন্য যে ব্যথা আপনি অনুভব করেন তা কমাতে মধুর অন্যতম বিকল্প হয় না এই মধুর ব্যবহারের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে আর সেটি হল হালকা উষ্ণ গরম পানির সাথে এক চা চামচ মধু মিশ্রণ করে গার্গল বা কোলকুচি করুন। আপনি চাইলে দিনে দুই তিনবার এই পদ্ধতিটি এপ্লাই করতে পারেন। তবে রাতের বেলা ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করা উচিত হবে না।

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত শিরশির করে

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত শিরশির করে এ বিষয়ে আমরা যদি আগে থেকেই সচেতন হই এবং এই ভিটামিন গুলো যদি নিয়মিত দাঁতের সমস্যায় পরার আগেই খাওয়া শুরু করে থাকি তাহলে এই সমস্যায় আমাদের আর ভুগতে হবে না। আমাদের শরীরে যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে আমাদের দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়া এবং প্রচুর ব্যথায় ভুগতে পারে। ফ্রান্সের একটি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড একটি ওরাল গ্রুপ হেলথে ভিটামিন ডি নিয়ে কাজ চলছে। তাদের থিওরি মতে ভিটামিন ডি
কোন-ভিটামিনের-অভাবে-দাঁত-শিরশির-করে
ডিফিসিয়েন্সি যদি আপনার আমার শরীরে থেকে থাকে তাহলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সমস্যা দেখা দেবে তার মধ্যে অন্যতম হলো দাঁত শিরশির করা দাঁতের সাথে মারিও ফুলে যাবে এবং চামড়ারও পরিবর্তন হবে এই ধরনের সমস্যা গুলি দেখা দিতে পারে। আপনি যদি জানতে চান কোন ধরনের প্রাকৃতিক খাবার বা সবজি খেলে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে এবং কিভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে তা জানতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন " ভিটামিন ডি কিভাবে পাওয়া যায় "

কোন সময় দাঁত বেশি শিরশির করে

কোন সময় দাঁত বেশি শিরশির করে তা জানা আমাদের অতিবেগ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ বিষয়ে যদি আমরা আগে থেকে সচেতন হতে পারি তাহলে দাঁতের সমস্যায় যদি আমরা পড়েও যায় তাহলে তাহলে এই এ বিষয়গুলি থেকে বিরত থেকে কিছুটা হলেও এই সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্তি দেয়া যেতে পারে। আমরা যদি ঠান্ডা, বেশি গরম খাবার বা

টক জাতীয় খাবার খায় সেই সময় শিরশির ভাব অনুভূত হতে পারে। আবার অনেকেরই এমন হয় যে পানি পান করার সময় এই সমস্যা হয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে শীতের প্রকোপ বাড়লে এই শীতের সময়ও বেশি ঠান্ডা লেগে গেলে এই সমস্যার প্রাদুর্ভাব হয়। ডেন্টিস্টরা পরামর্শ দিয়ে থাকে যে, দাঁতের সমস্যায় পড়ে গেলে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলি এড়িয়ে চলাই ভালো।

কেন দাঁত শিরশির করে তা জানুন

কেন দাঁত শিরশির করে তা জানুন এই প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাদের জানাতে চলেছি কোন কোন সমস্যার কারণে দাঁত শিরশির করে এবং দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায়। আমাদের আজকের এই আলোচ্য বিষয় যেটি এমন একটি বিষয় যা বলা যেতে পারে মানুষের প্রাণঘাতী একটি সমস্যার সমতুল্য। এই সমস্যায় যারা পড়েন নাই তারা হয়তো বা জানেন না, যে এটি কতটা মারাত্মক এবং ভয়াবহ যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা। এটি সবার কাছে কেমন জানি বর্তমানে সাধারণ সমস্যা হয়ে গিয়েছে ঠান্ডা,

গরম এবং টক জাতীয় খাবার খেলে এ ব্যথাগুলো বেশি অনুভূত হয়। দাঁতে এনামেল নামক যে উপাদানটি থাকে সেই উপাদানটি ক্ষয় হয়ে গেলে দাঁতের ভেতরের শিরাগুলি তখন খুব বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে আর তারপরেই এ ধরনের খাবার গুলো খেলে নালীর মধ্য দিয়ে ওই দাঁতের স্নায়ুতন্ত্রে গিয়ে প্রভাব ফেলে আর যার ফলে শিরশির অনুভূতি থেকে ব্যথার প্রাদুর্ভাব হয়। আর বৈজ্ঞানিক ভাষায় এই সমস্যাটিকে বলা হয় দাঁতের সেনসিভিটি।

আমাদের মুখের ভেতর কয়ধরনের ব্যাকটেরিয়া আছে

আমাদের মুখের ভেতর কয় ধরনের ব্যাকটেরিয়া আছে সেটি আমাদের জানা প্রয়োজন। আমাদের মুখের ভেতর সাধারণত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। এই ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের দাঁত, মাড়, জিহ্বা এবং মুখের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার সংখ্যায় বসবাস করে। এদের মধ্যে কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের জন্য উপকারী অপরপক্ষে কিছু ব্যাকটেরিয়া আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের দাঁতের ক্ষয়

প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ক্ষয় হয়ে যাওয়া দাঁতের কারণে আমরা এই ব্যাথাই কাতর হয়ে পড়ি। আর যার কারণেই আমরা দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বেড়ায়। দাঁতের ক্ষয়টি হচ্ছে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সম্মিলিত সংক্রমিত কর্মকাণ্ড যা আমাদের খাবারে চিনি ব্যবহার করে এসিড উৎপন্ন করে। এভাবে চলতে থাকা প্রসেসটি বহুদিন চলতে থাকলে এই এসিড গুলি আমাদের দাঁতে একটি ক্ষয়ের সৃষ্টি করতে থাকে আর একেই বলা হয় দাঁতের ক্ষয়।

আমাদের মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়াগুলি সারাদিন যে কর্মকাণ্ড চালায়

আমাদের মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়াগুলি সারাদিন যে কর্মকাণ্ড চালায় তা অনেকটা আমাদের বাস্তবের সাথে মিলে যায়। আগে যেমন রাজা ও জমিদারদের আমলে দুই পক্ষের যুদ্ধ হলে যারা জিততো তারা তাদের জিতেজাওয়া রাজ্যে যা খুশি তাই করতো বলতে গেলে তারা তাদের ইচ্ছা মতো ওই রাজ্যে তান্ডব চালাতো এবং ক্ষয়ক্ষতি করত। ঠিক তেমনি আমাদের মুখের ভেতরও ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়া রয়েছে আর এই দুই দলের যুদ্ধ সারাদিন ধরে আমাদের মুখের ভেতর চলতে থাকে। দুইটি দলের একটি দলে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ার

একটি আঠালো বর্ণ বিহীন পাতলা প্রলেপ এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার, পানীয় যাতে চিনি জাতীয় খাবার এবং দুধ, রুটি, সোডা, জুস, চকলেট এবং আরো অনেক কিছু। স্টার্চ যুক্ত খাবার বা যখনি আমরা চিনিযুক্ত খাবার খেয়ে থাকি অথবা পান করি তখন ব্যাকটেরিয়া গুলি এসিড তৈরি করে। এই এসিডগুলি দাঁতের বাইরের পৃষ্ঠে এনামেলকে আক্রমণ করে ক্ষয় করে বা ক্ষতর সৃষ্টি করে। আর অপর একটি দলে রয়েছে আমাদের মুখের ভেতরের লালার খনিজ পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম ও ফসফেট আর আমাদের টুথপেস্ট, পানি এবং

অন্যান্য খাদ্য থেকে সংগ্রহীত ফ্লোরাইড। মূলত এই দলটি এসিডের দ্বারা আক্রমণের ফলে ক্ষয় হয়ে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া খনিজ গুলি পুনরায় স্থাপন করে দাঁতের এনামেলকে পুনর্গঠন করার চেষ্টা করে। আমাদের মুখের ভেতর সারাদিন খনিজ হারিয়ে যাওয়া এবং খনিজ প্রতিষ্ঠানের লড়াই চলতে থাকার প্রচেষ্টায় এসির দলের জিত হলে এবং এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘদিন ধরে চলার ফলে দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে পড়ে। এর ফলে আমাদের দাঁতে শিরশির অনুভূতি হয় তখন আমরা দাঁত শিরশির থেকে মুক্তির উপায় খুজি।

লেখকের কথা

পরিশেষে বলা যায় যে দাঁত আমাদের অতি মূল্যবান একটি শারীরিক অঙ্গ। দাঁতের যত্ন নেয়া আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দাঁতের সমস্যায় পড়ার আগেই যেন তাদের সমস্যা কখনো না হয় সেজন্য বেশি বেশি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এই খাবারগুলি অতি সহজ লভ্য হাওয়াই বাজারে খুব সহজে পাওয়া যায়। মাছ, ডাল, শাকসবজি থেকে আমরা ভিটামিন ডি লাভ  করে থাকি। ভিটামিন ডি এর অভাবে মূলত আমাদের দাঁত শিরশির সমস্যাটি হয়ে থাকে। আপনি যদি

ডাক্তারের কাছে যেতে না চান তাহলে প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে ভিটামিন ডি লাভ করে আপনার দাঁতকে মজবুত রাখতে পারেন। এবং ব্রাশ করার সময় খুব যত্ন সহকারে দাঁত ব্রাশ করতে হবে যাতে দাঁতের কোনায় কোন ধরনের খাদ্য কণা না থেকে যায় এবং ব্রাশটি যাতে খুব মসৃণ ও নরম হয়। প্রতিবার খাওয়ার মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার বা টক জাতীয় খাবার খাওয়ার সাথে সাথে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাই আলোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url