দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে

দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।  দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে জোরে ব্রাশ, ফ্লস করার সময় অথবা শক্ত কোন খাবার খেলে এটি হতে পারে।
দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে
বিশেষ কিছু মুহূর্ত যেমন গর্ভবতী মহিলাদের হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে হতে পারে ডায়াবেটিস রোগীদের, লিউকেমিয়া, রক্ত পাতলাকারী ঔষধ খেলে এবং ভিটামিন কে ও ভিটামিন সি এর অভাবেও 

পেইজ সূচিপত্রঃ দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে

দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে

দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে এই বিষয়টি না জানলে আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অজ্ঞাত আছেন। এ বিষয়টি জানা অতিবো গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার হয়েছে আজ কেননা বর্তমান বিশ্বে প্রায় সবাই নেট দুনিয়া ঘাটাঘাটি করে সকল রোগের চিকিৎসা যেন নিজেই করতে পারে সেই রকম জ্ঞান প্রায় প্রত্যেকের কাছেই থাকে কাজে

আপনি যদি না জানেন যে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়লে প্রাকৃতিক ভাবে কোন খাবার খেয়ে বা ঘরোয়া উপায়ে আপনি আপনার রোগের চিকিৎসা নিজেই করবেন তাহলে আজকের বিষয়টি আপনার জন্য। আপনি কি চান যে নিজের চিকিৎসা নিজেই করবেন দাঁত দিয়ে রক্ত পড়লে। তাহলে জেনে নিন কোন ভিটামিনের অভাবে এবং  কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার লক্ষণ গুলিঃ

ভিটামিন বি১২ এর অভাবেঃ ভিটামিন বি১২ এর অভাবে আপনার রক্তের লাল কণিকার অভাবের ফলে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে। যেটি পরবর্তীতে অ্যানিমিয়া রোগে রূপান্তরিত হয়। কাজে আপনার শরীরের জন্য কোনভাবেই ভিটামিন বি১২ এর অভাব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ভিটামিন কে ও সি এর অভাবেঃ ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের মাটি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে।

ভিটামিনের অভাবে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়র প্রাকৃতিক সমাধান

ভিটামিনের অভাবে দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ার প্রাকৃতিক কিছু সমাধান রয়েছে। তার আগে আমাদের জানতে হবে যে কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁত দিয়ে বা দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে। যদিও আমরা ইতিমধ্যে তা জেনেছি যে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে এর অভাবে এ রক্তক্ষরণ হতে পারে। আমরা যদি চাই তাহলে খুব সহজেই বাজার থেকে কিছু খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের এই ভিটামিনের অভাব গুলো পূরণ করতে পারি। আমাদের আশেপাশেই বা বাজারে খুবই অল্প মূল্যে এবং সহজলভ্য কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলি আপনি যদি খান তাহলে আপনাকে আর ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করতে হবে না আপনি নিজেই এর চিকিৎসা করে নিতে পারবেন খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের ও সবজির তালিকা নিম্নে বর্ণিত হল


ফলের লিস্ট প্রত্যেক গ্রাম ভিটামিন সি মিলিগ্রাম
মিস্টি আলু ৫০ ৯.৮৫
ব্রকলি ৫০ ৪৪.৫
ফুলকপি ৫০ ২৪.১
সবুজ মটর ৫০ ২০
টমেটু ৫০ ৬.৮৫
ব্রাসেলস স্পিউট ৫০ ৪২
বাঁধাকপি ৫০ ১৮.৩
সাইট্রাস ফল যেমন লেবু ১০০ ৬২
আম ৫০ ১৮.২
বেরি যেমন সট্রবেরি ৫০ ৪.৮৫
আনারস ৫০ ২৩.৯
কলা ৫০ ৪.৩৫
পেঁপেে ৫০ ৩০
তরমুজ ৫০
পেয়ারা ৫০ ১৪৪
কিউই ৫০

দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ার গুরুত্তপুর্ন লক্ষণ

দাঁত দিয়ে রক্ত পড়ার গুরুত্তপুর্ন লক্ষণ সমুহের মধ্যে অন্যতম লক্ষণ আমাদের জানা অতীব প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার। আমরা যদি এই কারণগুলি আর লক্ষণ গুলি জানতে পারি তাহলে দাঁতের সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতার হওয়ার আগেই অথবা গুরুতর হওয়ার আগেই আমরা নিজেরাই সমাধান করে নিতে পারব। তবে একটি লক্ষ্য নিয়ে ব্যাপার হল আমরা যদি জানতে পারি দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে তাহলে আমরা আর কোন ধরনের সমস্যায় ভুগবো না তার পরেও এই সমস্যার কিছু লক্ষণ গুলি নিম্নে বর্ণনা করা হলো।

  • কোন মারে যদি এ রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে মাড়িটির নরম হবে, কিছুটা ফুলে যাবে এবং হাত দিলে তুলতুলে অনুভব হবে।
  • আমরা যখন দাঁত ব্রাশ করতে যাই অথবা ফ্লস করি সেই সময়ই মাড়ি থেকে কিছুটা রক্তপাত হতে পারে। এই সমস্যাটিতে আমরা প্রায়শই সবাই ভুগে থাকে এই সমস্যাটি অতি সাধারণ ও প্রথম পর্যায়ের একটি নারী সমস্যার লক্ষণ এবং এটি অতিবেগ গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নিয়ে কি ব্যাপার সাবধান হওয়ার জন্য।
  • এমন অনেক সময় হতে পারে যে আপনার মাড়ি শুকিয়ে দাঁতের ফাঁক ও মাড়ির মাঝে একটি ট্রায়াঙ্গেল সেপের মত ফাঁকা দেখা যায় এটির মানে আপনার মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
  • কিছু কিছু দাঁতের মাড়ি অনেক সফট চকচকে, হতে পারে কেননা এই জায়গা গুলো দিয়ে রক্তের যাওয়া আসা বেশি পরিমাণে হয় যেগুলো নির্দেশ করে এই মালগুলো দিয়ে রক্তপাত হতে পারে
  • দাঁতগুলি অনেক সময় মাড়ি থেকে কিছুটা উপরে উঠে যায় এটি ঘটার অন্যতম কারণ আপনার মা রে রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
  • অনেক সময় দাঁতের মাড়ির কিছু কিছু জায়গায় আপনার জিহ্বা গেলে একটু লবণাক্ত স্বাদ পেতে পারেন এর মানে হচ্ছে আপনার মাড়ি থেকে বুঝ বের হচ্ছে
  • আপনার দাঁত মাঝে মাঝেই প্রচন্ড তীব্র ব্যথা করতে পারে যার ফলে আপনার মনে হবে এই ব্যাথায় আপনি না পাচ্ছেন কোন চিন্তা ভাবনা করতে না পারছেন চিৎকার করতে। এই তীব্র ব্যথার ফলে আপনার মনে হতে পারে যে আপনার মস্তিষ্ক বিকল হয়ে গেছে যেন পুরো পৃথিবীর বোঝা আপনার পুরো শরীরের উপরে আছে। দাঁতের ব্যথা এরকমই প্রচন্ড রকমের একটি ব্যথা যা সহ্য করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে সময় সম।

এ রোগে আক্রান্ত হলে রক্তপাতের কারণ

এ রোগে আক্রান্ত হলে রক্তপাতের কারণ হিসেবে অনেক গুলি কারণ রয়েছে একটি গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশের প্রায় ৮০ভাগ মানুষই দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন। আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনো জানে না যে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে। এর মধ্যে অধিকাংশ মানুষই নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করার কারণে এই সমস্যা গুলি হয়ে থাকে। আমরা যখনই কোন খাবার
এ রোগে আক্রান্ত হলে রক্তপাতের কারণ
খাই না কেন সেই খাবার গ্রহণ করার পরে অন্ততপক্ষে পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে যাতে মুখের ভেতরে কোন ধরনের খাবার কোথাও আটকে না থাকে। এই প্রক্রিয়াটি প্রতিবারই যে কোন খাবার খাবার পরপরই আমাদের করা উচিত। রক্তপাতের কারণগুলি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি চলুন সে কারণগুলি দেখে নেয়া যাক।
  • ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হলেঃ আমরা যখন খাদ্য খাই এবং খাদ্যের কিছু কণা যদি দাঁতের ভিতরে থেকে যায় তাহলে সেটি ধীরে ধীরে পৌঁছে ব্যাকটেরিয়ায় পরিণত হয় যেটি পরবর্তীতে দাঁতের সাথে চিপটে লেগে থাকে এবং এক ধরনের একটি আবরণ তৈরি করে। যে আবরণটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্রাশ করার মাধ্যমে অথবা ফ্লসিং করার মাধ্যমে পরিষ্কার করা না হলে শক্ত হয়ে দাঁতের সাথে দাঁতের মতোই লেগে যায় যা পরবর্তীতে মায়ের সাথে ঘর্ষণ খেয়ে মাটি জ্বালাতন করে এবং পরবর্তীতে রক্তপাত হতে পারে।
  • জিনজি ভাইটিসের ফলে রক্তক্ষরণঃ জিনজিবাইটিস হলে মারি সাধারণত ফুলে যাবে, লাল রঙের হবে এবং তুলার মতো নরম হয়ে যাবে যার ফলে রক্তক্ষরণ হবে। আমাদের এ রোগ থেকে প্রতিকারের জন্য জানতে হবে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে।
  • নিয়ম বহির্ভূত ব্রাশিংঃ আমরা প্রায় সে কাজের তাগিদে সময়ের অভাবে সময় বাঁচানোর জন্য তাড়াহুড়ো করে দ্রুত ব্রাশ করতে যায়। ক্রমনাত্মক ব্রাশিংয়ের ফলে ব্রাশের শক্ত ভাগগুলি নরম মাটিতে আঘাত প্রাপ্ত হলে অথবা মাড়িতে ব্রাশের ঘর্ষণের ফলে রক্তপাতের কারণ হতে পারে।
  • কিছু হরমোন গত পরিবর্তন এর ফলেঃ অনেক সময় বয়সন্ধির সময় অথবা গর্ভাবস্থায়

অন্যান্য যে শর্তগুলির কারণে মাড়ির রক্তক্ষরণ হতে পারে

অন্যান্য যে শর্তগুলির কারণে মাড়ির রক্তক্ষরণ হতে পারে সে বিষয়গুলি খুবই ছোট হলেও অতি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণীয় লক্ষ্যণীয় না একটি বিষয়।দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এই শর্তগুলি। আমাদের দেশীয় ভাষায় একটি প্রবাদ বাক্য আছে যে, সাবধানতার মাইর নাই অর্থাৎ আপনি সাবধানতা অবলম্বন করলে কখনোই কোন ধরনের ছোট হোক বা

বড় হোক বিপদে পড়বেন না। আর বিপদ গুলো যদি ছোট বিপদও হয় সেগুলো পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করে এবং বড় একটি সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই আমাদের প্রত্যেককে সকল ধরনের বিপদ থেকে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেই যে শর্তগুলির কারণে আমাদের মারের রক্তক্ষরণ হতে পারে।
  • প্রথম শর্তের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে ভিটামিনের অভাব উল্লেখযোগ্য ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে।
  • তামার জাহাজ দ্রব্য ব্যবহার অর্থাৎ আপনি যদি তামাকজাদ দ্রব্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন তাহলে সেটি আপনার জন্য অনেক উপকার আপনার মাড়ি ও আপনার ব্যাথামুক্ত জীবন যাপনের জন্য।
  • মারিকে আঘাত মুক্ত রাখা
  • ক্যান্সার জাতীয় ঘাঁ যা আপনার মুখের ভেতরে থাকতে পারে যেমন আলসার।
  • ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে এবং এ রোগের চিকিৎসা করলে যেমন কেমোথেরাপি দেওয়া।
  • কোন মহিলা গর্ভ অবস্থায় হরমোন গত পরিবর্তনের কারণে মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে পারে।
  • ব্রাশ করার সময় অথবা ফ্লসিং করার সময় জড়াজড়ি করতে গিয়ে মায়ের ক্ষতি হতে পারে।
  • কিছু ওষুধের কারণে এই সমস্যাটি প্রকট হতে পারে।

মাড়ির রোগ থেকে প্রতিকারের জন্য রোগ নির্ণয় করা

মাড়ির রোগ থেকে প্রতিকারের জন্য চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয় করে থাকেন অর্থাৎ দাঁতের ডাক্তাররা বিভিন্নভাবে দাঁত পরীক্ষা করে দেখেন যে কি কারণে সমস্যাটি হচ্ছে। তাহলে ডাক্তারের রোগ নির্ণয়ের জন্য সুবিধা হবে যে কি কারণে এবং কি করলে এই সমস্যা সমাধান দেয়া যাবে। দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে এই সমস্যা সমাধানের প্রথম ধাপ হচ্ছে রোগ নির্ণয়। তাহলে চলুন রোগ নির্ণয় সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেয়া যাক।
  • দাঁতের এক্সরে করাঃ ডাক্তার আপনার রোগ নির্ণয়ের জন্য আপনাকে আপনার দাঁত বা মারী পরীক্ষা করার পরে যদি সঠিক রোগের কারণ নির্ণয়ে ব্যাহত হয় তাহলে দাঁতের এক্সরে দিতে পারে। যার কারণে চিকিৎসক আপনাকে সঠিক চিকিৎসা ও ওষুধ দিয়ে আপনাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারে।
  • প্রারম্ভিক চিকিৎসাঃ শুরুতেই ডাক্তার আপনাকে আপনার সমস্ত সমস্যা গুলি জানতে চাইবে এবং সেই মতো আপনার মুখের ভেতর দাঁত ও মারীর পরীক্ষা চালাবে। সেই অনুযায়ী আপনার স্বাস্থ্য ও মালির অবস্থা চিন্তা করে আপনাকে ওষুধের জন্য পরামর্শ করবা।
  • নারী পরীক্ষা করাঃ আপনার সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য মারিতেও যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার মারিটিকে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অথবা হাত দিয়ে নেড়েচেড়ে পরীক্ষা করে দেখবেন যে আপনার মালিক প্রচুর পরিমাণে রক্ত ফুল হচ্ছে কিনা আপনার মাড়ি ফ্যাকাসে হয়ে গেছে কিনা নাকি আপনার মাড়ি দাঁত থেকে অনেকখানি সরে গিয়েছে কিনা।
  • দাঁতের পরীক্ষাঃ দাঁতের পরীক্ষার ক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে অর্থাৎ ডেন্টিস্ট আপনাকে ডেন্টাল প্লাক, ফোলা মারি, মারির দুরবস্থা, মাড়ি থেকে দাঁত আলগা হয়ে যাওয়া এবং এই মারি রোগের অন্যান্য লক্ষণগুলি পরীক্ষা করে দেখবেন।

দাঁতের ডাক্তারের কাছে আপনি কখন যাবেন

দাঁতের ডাক্তারের কাছে আপনি যখন যাবেন সেটি হল আপনার দাঁতের মাড়ি দিয়ে যদি দুই সপ্তাহের বেশি ধরে রক্তপাত হয় তাহলে আর দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব একজন ভালো ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে। মাড়ির সমস্যা সাধারণত অনিয়মিত দাঁতের যত্নবান হওয়া অর্থাৎ প্রতিনিয়ত কিছু পুষ্টিকর খাদ্য থেকে দূরে থাকা এবং মানসম্মত নয় এরকম ব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা বা অনিয়মিত ব্রাশ করা।
দাঁতের ডাক্তারের কাছে আপনি কখন যাবেন
ফ্লসিং না করা অর্থাৎ খিলান দিয়ে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করা। দাঁতের প্রতি অযত্নবান হওয়ার ফলে দীর্ঘদিন রক্তপাতের কারণে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ না নিলে আপনি আপনার দাঁত হারাতে পারেন। নারীর সমস্যার শুরু থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এই সংক্রান্ত আরো বেশি সমস্যা থেকে আপনি দূরে থাকতে পারবেন যার ফলে আপনাকে আপনার দাঁতও হারাতে হবে না কথায় আছে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দিতে হবে অর্থাৎ সময় থাকতেই চিকিৎসা করাতে হবে।

যেভাবে রক্তপাত প্রতিরোধ করবেন দাঁতের মাড়ির

যেভাবে রক্তপাত প্রতিরোধ করবেন দাঁতের মাড়ির, নিয়মিত দাঁতের যত্নে আপনাকে সচেষ্ট থাকতে হবে ভালো ওরাল হাইজিন বজায় রাখতে হবে। দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। রাতে খাবার খেয়ে ঘুমোতে যাবার আগে একবার ব্রাশ করতে হবে এবং সকালে নাস্তা করার পর আর একবার ব্রাশ করতে হ। মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খেলে সে খাবার খাবার পরপরই ভালোভাবে দাঁত পানি দিয়ে কুলি করতে হবে। দাঁতের ভেতরেও কোন খাবার

ঢুকে গেলে সেটিকে বের করার জন্য ফ্ল্যাশকরতে হবে অর্থাৎ সুতা দিয়ে অথবা বাজারে ফ্লস কিনে পাওয়া যায় সেটি দিয়ে দাঁতের ভেতর ঢুকে দুই দাঁতের ফাঁকাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। অতি নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে যেটি হবে খুবই মানসম্মত যা আপনার দাঁতের কোনো ক্ষতি করবে না আবার অন্যদিকে আপনার দাঁতে লেগে থাকা সমস্ত ময়লা বা জীবাণু গুলি পরিষ্কার করে ফেলবে।

দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের অভাবে এই বিষয়গুলি আমার এই পোস্টে বর্ণিত হয়েছে এ ব্যাপারে অবগত হয়ে ভিটামিন জনিত অভাব গুলি পূরণ করতে হবে। এমন কিছু নেশা রয়েছে বা নেশা জাত দ্রব্য রয়েছে যেগুলি ঠোঁটের ও দাঁতের মাড়ির মধ্যখানে রেখে নেশা করা হয় এ জাতীয় নেশাজাত দ্রব্য গুলি এড়িয়ে চলতে হবে এমনকি ধূমপান থেকেও এড়িয়ে চলতে হবে।

দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ার চিকিৎসা

দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া চিকিৎসা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার কেননা দাঁতের মাড়ি দিয়ে যদি রক্ত পড়ে তাহলে আপনার দাঁত ও দাঁতের মাড়ি প্রচুর পরিমাণে ব্যথা করবে। এই ব্যথাটি এমনই তীব্রতার একটি ব্যথা যার কারণে আপনার মনে হবে যে আপনার মরে যাওয়া এটাই ভালো এই ব্যথা সহ্য করার চাই তাহলে বুঝতে পারছেন এ ব্যথা ঠিক কতটি বেদনাদায়ক যেটিকে সহ্য করার চাইতে

অনেকেই মরে যাওয়া থেকে অনেক ভালো মনে করে। কাজেই এই সমস্যায় পড়লে আপনার সমাধানের জন্য চিকিৎসা আপনাকে ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে অবশ্যই নিতে হবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা করতে গেলে আপনাকে জানতে হবে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে কোন ভিটামিনের  অভাবে। আর এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আগেই দাঁতের সমস্যা হয়ে গেলে নিম্ন বর্ণিত চিকিৎসা গুলি একজন ভালো ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে আপনার করা উচিত।
  • নিয়মিত দাঁতের চিকিৎসাঃ অর্থাৎ আপনি যদি আপনার দাঁতকে সুরক্ষা রাখতে চান এবং দাঁতের রোগ থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে মানুষ যেভাবে প্রতিবছরে একবার শরীরের চিকিৎসা করাই ঠিক তেমনি আপনাকে প্রতি ছয় মাস অন্তর দাঁতেরও চিকিৎসা করাতে হবে। এক্ষেত্রে ডাক্তার নিয়ম আপনার দাঁত ও মারি গুলি পরীক্ষা করে দেখে যে আপনার বাড়িগুলি শুষ্ক হয়ে গেছে কিনা শুষ্ক হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে মসৃণ করার পদক্ষেপ নাই।
  • রুট ক্যানেলিং এবং স্কেলিংঃ ডেন্টিস্ট আপনার দাঁতের অ্যালাইনমেন্ট ঠিক আছে কিনা কোন বজ্রদাতে আটকে আছে কিনা অথবা দাঁতের লাইনের নিচে প্লেগ বা মসৃণ জ্বর গুলি দাঁতের থেকে দূরে সরে গেছে কিনা সেগুলোর জন্য একটি গভীর পরীক্ষা চালাই
  • মেডিকেশনঃ এই মারের সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত ধরনের সংক্রমণ এবং মাড়ি থেকে রক্তপাতের জন্য ডেন্টিস্ট আপনাকে কিছু ভালো মানের ঔষধ প্রেসক্রাইব করে থাকে। যেমন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল মুখ ধুয়ে ফেলা, অ্যান্টিবায়োটিক জেল অর্থাৎ এ ধরনের কিছু এন্টিবায়োটিক আপনাকে দেয়া হয় যাতে করে আপনার মারি ফুলে যায় যে সমস্যাটির কারণে তার মধ্যে অন্যতম হলো মারি ফুলে গিয়ে পুজ হয়ে যাওয়া। এই ওষুধগুলি খেলে আপনার দাঁতের মাড়ির ফোলা দূর হয়ে যাবে যাতে করে ডাক্তার পরবর্তীতে আপনার মূল চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবে।
  • মাড়ির সার্জারিঃ আপনার মাড়ি যদি খুব বেশি পরিমাণে ফুলে থাকে এবং প্রচন্ড পরিমাণে তীব্র ব্যথা হয় এর উপর নির্ভর করবে ডাক্তার আপনার মারি বা দাঁতের জন্য কোন ধরনের অস্ত্র পাচার করবে কিনা এক্ষেত্রে যদি গাম গ্রাফ্ট এবং ফ্ল্যাগ সার্জারি দেওয়া যায় কিনা।
  • শারীরিক সমস্যাগুলি দূরের পরামর্শঃ ডাক্তার প্রথমে আপনাকে কিছু কথাবার্তা জিজ্ঞেস করবে তার মধ্যে যদি আপনার কিছু শারীরিক সমস্যা থেকে থাকে যেমন ডায়াবেটিকস। এই রোগ থেকে থাকলে ডাক্তার আপনাকে ওষুধগুলি সমন্বয় করে দিয়ে দেবে। ডায়াবেটিকস থাকলে রক্ত পাতলা হয়ে যায় যার ফলে সহজেই খুব বেশি রক্তপাত হতে পারে ।সেই জন্য আপনাকে ডাক্তার নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ দিবে যাতে আপনার মার দিয়ে রক্তপাত বন্ধ হয়। এবং ভিটামিন জনিত এবং ভিটামিন জনিত অভাব গুলি দূর করার জন্য কিছু স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণ করতে বলতে পারে।

লেখক এর শেষ মন্তব্য

পরিশেষে বলা যায় দাঁত আমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি দেহের অঙ্গ আমরা যেভাবে দেহের যত্নে মাঝে মাঝেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় ঠিক তেমনি প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর দাঁতের যত্ন নেয়ার জন্য একজন ভালো ডেন্টিস্টের কাছে চিকিৎসা করাতে হবে। আমাদের দেশের মানুষ প্রায় সব বিষয়ে অবহেলা করে। কোন বিষয়কে ছোট করে না দেখে নিজেকে সচেতন হয়ে থাকতে হবে এবং

জানতে হবে যে কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে দাঁতের যত্ন নেয়া যায়। যে বিষয়গুলি আমি আমার এই আর্টিকেলে উপরে বর্ণনা করেছি। এ বিষয়গুলি জেনে সহজলভ্য কিছু খাবার খেয়ে শারীরিক সক্ষমতাকে বাড়িয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে তাহলে আমাদের শরীরে কোন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারবে না। এমনকি বিন্দুমাত্র ক্ষতি হওয়া থেকে আমরা প্রাকৃতিক ভাবেই

নিজেরাই নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে পারো। যার ফলে কখনো ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না। তাই আপনার দায়িত্ব হল নিজে সচেতন হয়ে আমাদের দেশের সাধারণ নাগরিককে এই বিষয়গুলিতে সচেতন করতে হবে। তাহলে আপনি একজন প্রকৃত মানুষ হয়ে মানুষের কাছে পরিচিত লাভ করতে পারবেন এবং এটা একটি সেবামূলক কর্মকাণ্ড।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাই আলোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url