ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এই বিষয়টি হলো আজকের আলোচনার
মূল বিষয়। আজকে আমি আপনাদের সাথে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব, কেননা
বর্তমানে ঘরে বসে স্বাধীন পেশা হিসেবে সারা বিশ্বে অনেকেই এই
পেশাটিকে বেছে নিচ্ছে এবং হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ
গুলি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সবচেয়ে বেশি শিখে থাকে, কিভাবে
শিখে থাকে এবং কিভাবে তারা এই যাত্রা শুরু করে সেই বিষয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা
করব।
পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
- বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
- ফ্রিল্যান্সিং জব ক্যাটাগরি
- ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব
- ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
- ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
- ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি
- ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
- শেষ কথাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় এ বিষয়ে তাদের জন্য যেন খুবই
জরুরী যারা একেবারে নতুন। প্রত্যেকটি কাজ শেখা এবং করার কিছু নিয়ম কানুন
রয়েছে এখন আমি আপনাদের ফ্রিল্যান্সিং কাজ কিভাবে শুরু করবেন বা কিভাবে করবেন
সে বিষয়ে আলোচনা করবেন। ফ্রিল্যান্সিং শিখিয়ে যেন আপনি আপনার পেশাগত জীবনে
একটি টার্নিং মুভি নিয়ে আসতে পারেন সেজন্য আমি কাজ করা কিছু কৌশল নিয়ে
আলোচনা করছিঃ
- নিজের ভালোলাগার বিষয়টি খুঁজে বের করা
- নিজেকে দক্ষ করে তোলা
- নিজের পোর্টফলিও তৈরি করা
- ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অপশনগুলো খুঁজা
- কাজের মূল্য নির্ণয় করা
নিজেকে দক্ষ করে তোলাঃ ফ্রিল্যান্সিং বিশাল বড় একটি সিলেবাসের
তালিকাভুক্ত কাজের সেক্টর। এ প্রত্যেকটি সেক্টরে আপনি একসাথে নিজেকে দক্ষ করে
তুলতে পারবেন না। তবে আপনাকে আসতে ধিরে কিছু কিছু কাজ শিখে নিজেকে ওই কাজের
প্রতি দক্ষ করে তুলতে হবে তারপর ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজের জন্য ঝাপিয়ে পরতে
হবে। আপনি যদি নিজেকে নির্দিষ্ট দুই-একটি কাজের প্রতি দক্ষ করে তুলতে পারেন
তাহলে আপনার কাজের অভাব হবে না।
আরো পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
নিজের পোর্টফলিও তৈরি করাঃ আপনি যে যে কাজগুলো শিখেছেন এবং
দক্ষতা অর্জন করেছেন সেই কাজগুলোর প্রমাণস্বরূপ একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
পোর্টফোলিও তৈরি করুন এবং আপনার এই পোর্টফলিওটি ফ্রিল্যান্সাররা যেখানে কাজ
করে সে সেক্টরগুলোতে পোস্ট করতে হবে যেমন ফাইবার, আপয়ার্ক ইত্যাদি। যাতে করে
আপনার ক্লাইন্ট আপনার পোর্টফলিও দেখে আপনাকে কাজের অর্ডার দিতে পারে। আপনার
এই পোর্টফলিও টি ক্লাইন্টরা দেখে বুঝতে পারবে যে আপনি কোন কাজে দক্ষ এবং সেই
কাজ গুলি আপনি প্রমাণস্বরূপ পোর্টফলিওতে দিয়েছেন।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অপশনগুলো খুঁজাঃ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের
কোন কাজগুলোতে আপনি অত্যধিক দক্ষতা অর্জন করেছেন আর সেই কাজগুলি করার জন্য
আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে কাজ খুঁজতে হবে। সেই সাথে আর কিছু
প্লাটফর্ম গুলোতে খুজতে হবে আর সেগিলো হচ্ছে ফোরাম ওয়েবসাইট, কমিউনিটি
ওয়েবসাইট, লিংকডিন, ফেসবুক এবং পরিচিতদের দ্বারা কাজের অনুসন্ধান করতে হবে।
কাজের মূল্য নির্ণয় করাঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোর্স করে আপনি যে
দুই একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছেন সেটার উপর পোর্টফলিও তৈরি করে আপনি অন্য
আরও ফ্রিল্যান্সারদের পোর্টফোলিও রিভিউ করবেন এবং দেখবেন যে তাদের কোন কাজের
জন্য কত টাকা ডিমান্ড করেছে। অর্থাৎ কোন কাজের জন্য কত টাকা তারা
ক্লায়েন্টের কাছ থেকে নিয়ে থাকে। সে বিষয়ে ধারণা নিয়ে তারপর আপনি আপনার
কাজের জন্য কাজের মূল্য নির্ধারণ করবেন। তবে মনে রাখবেন আপনি যদি নতুন হয়ে
থাকেন তাহলে অন্যদের চেয়ে আপনার কাজের মূল্য যেন কম হয় যাতে করে আপনি
ক্লায়েন্ট পাওয়া শুরু করেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সারা দুনিয়ায়
আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং তোলপাড় সৃষ্টিকারী প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম একটি। কেননা
বর্তমান বিশ্বে মানুষ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার মাধ্যম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং
সেক্টরটিতে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কেননা অনেক মানুষ কোন অফিস আদালতের না গিয়ে
নিজের ইচ্ছা স্বাধীন মত যে কোন সময়ে কাজ করে উপার্জন করতে চাচ্ছে অর্থাৎ তারা
কোন ধরনের
বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকতে চাচ্ছে না কারো হুকুম মেনে কাজ করতে চাচ্ছে
না শুধু ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ নিয়ে সেই কাজ গুলো ইচ্ছে মত করতে
চাচ্ছে আর এভাবেই তারা স্বাচ্ছন্দে টাকা ইনকাম করতে চাচ্ছে আর যার
কারণে এই সেক্টরটিকে বর্তমান বিশ্বে বেশি মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এর মানে আপনি
বুঝতেই পারছেন যে বর্তমান দুনিয়ায় কতটা আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই বিষয়টি। আর তাই
আমি আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টরগুলো নিয়ে আলোচনা
করব
-
ডাটা এন্ট্রিঃ ডাটা এন্ট্রি কাজটি হচ্ছে তাদের জন্য খুবই ভালো
হয় যারা একবারে নতুন এই লাইনে। কেননা এই কাজটি শেখাও খুবই সহজ এবং
কাজটি করাও খুবই সহজ তাই আপনি অল্প সময় ব্যয় করে কাজটি শিখতে পারবেন এবং
দ্রুত কাজ শিখে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর এই কাজটি ফ্রিল্যান্সিং জগতে
প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে সবার কাছে। ফ্রিল্যান্সিং দুনিয়ায় এই
যেমন সহজ তেমন এই কাজের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
-
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতটি বর্তমান বিশ্বে
সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। আপনি যদি
সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনা করতে পারেন এবং এ বিষয়ে যদি আপনার দক্ষতা থেকে
থাকে তাহলে বুঝতেই পারছেন যে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এর কতটা গুরুত্ব রয়েছে।
-
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল শব্দটি বর্তমান বিশ্বে খুবই গুরুত্ব
ভার বহনকারী একটি শব্দ। কেননা এই শব্দটি আবিষ্কার হওয়ার পরে মানুষ বুঝতে
পারে যে কিভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আমরা লাইভ দেখতে পাই একজন আরেকজনের
সাথে লাইভ কথাও বলতে পারি। নেট দুনিয়ার বিস্তার লাভ করার পারেই সারা বিশ্ব
ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। আর এই নেটের মাধ্যমে আপনি যে কোন পণ্য বা সেবার যে
মার্কেটিং করে থাকেন সেটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। আর বর্তমান বিশ্বে
প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান তাদের কাজগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে করে থাকেন আর তাই
বর্তমান বিশ্বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।
-
ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্টঃ ওয়েব ডিজাইনিং এই কাজটি বর্তমান
বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একটি কাজের মধ্যে অন্যতম একটি কাজ। কেননা
প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানেরই একটি করে ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয়। আর এই
ওয়েবসাইট গুলো বানানোর জন্য ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে এই প্রতিষ্ঠানগুলো
কাজ করিয়ে নিয়ে থাকেন। কাজেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজের
চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কাজেই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ করতে চান
তাহলে নিজেকে ওয়েব ডেভলপার হিসেবে দক্ষ করে তুলতে পারেন।
-
3D এনিমেশনঃ আজকাল youtube এ যে ধরনের কার্টুনের ভিডিও বানানো
হয় সাধারণত এই কাজগুলি 3D এনিমেশন দ্বারা করা হয়। বিশেষ করে
কার্টুনের যে চ্যানেলগুলো রয়েছে এগুলোতে 3D এনিমেশনের কাজের
চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। কেননা আজকাল বাচ্চাদের কার্টুনের চ্যানেল ছাড়া
বাড়িতে যেন বাচ্চাদের আনন্দের বিনোদনের কোন জায়গায় থাকে না আর এই কারণে
কার্টুনের চ্যানেলগুলো বাচ্চাদের আনন্দ ও বিধানের জায়গাটুকু পূরণ
করে।
-
কন্টেন্ট রাইটিংঃ কনটেন্ট রাইটিং কাজটি খুবই সহজ কাজের মধ্যে
একটি কাজ। বিশেষ করে যে কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইট রয়েছে তারা অনেক সময়
কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে লোক নিয়োগ দিয়ে রাখেন, আবার অনেক কোম্পানি
ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে কন্টেন্ট নিয়ে না থাকেন। কাজেই আপনি যদি কন্টেন্ট
রাইটিং এর উপরে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কাজের চাহিদা রয়েছে
অফুরন্ত।
-
গ্রাফিক্স ডিজাইনিংঃ গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ কঠিন হলেও এই কাজে
টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ। তবে এই কাজ আপনাকে আগে ভালোভাবে শিখে নিজেকে দক্ষ
বানিয়ে তুলতে হবে। আর নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারলে আপনি কামাতে পারবেন
লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এই কারণে ফ্রিল্যান্সিং জগতে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর ব্যাপক
ডিমান্ড রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং জব ক্যাটাগরি
ফ্রিল্যান্সিং জব ক্যাটাগরি গুলো হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যত ধরনের কাজ রয়েছে
এই কাজগুলোর সমষ্টি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং জব ক্যাটাগরি। সেক্টরটিতে প্রচুর কাজের
ধরন রয়েছে। এবং কাজের ধরন অনুযায়ী কাজের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। তাই আপনাকে
নিজেকে দক্ষ করার জন্য অনেক ধরনের সেক্টর রয়েছে আপনি আপনার পছন্দমত যেকোনো
একটি সেক্টরে নিজেকে দক্ষ করে নিলে আপনি সেখান থেকেই নিজের ক্যারিয়ার করতে
পারবেন। চলুন তাহলে নিচে বর্ণনা করা যাক সেই কাজের ধরন বা ক্যাটাগরি গুলিঃ
-
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট হয়ে কাজ করাঃ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
হল এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেটি ছাড়া কম্পিউটার চলেনা অর্থাৎ আপনি যদি
এই কাজটি শেখেন তাহলে আপনি একটি কম্পিউটারকে অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে
কম্পিউটারকে কমান্ড দিতে পারবেন কাজ করার জন্য। আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশনে
যে ধরনের কমেন্ট দিবেন আপনার সফটওয়্যারটি সেই ধরনের কাজ করবে কম্পিউটারের
সাহায্যে অথবা মিনি কম্পিউটারের মত কোন ডিভাইসের সাহায্যে।
-
এক্সেল এবং ডাটা এন্ট্রি এর কাজঃ আপনি যদি ডাটা এন্ট্রি বা
excel স্প্রেডশিপ ম্যানেজমেন্ট এর কাজে নিজেকে দক্ষ করতে পারেন তাহলে আপনি
ক্যাটাগরিতে কাজ পাবেন। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন তাহলে কাজটি
ছোট হলেও এই কাজটি আপনাকে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি যেমন ফেসবুক, ইয়াহু
এবং গুগলের মত জায়ান্ট টেক কোম্পানিগুলোতে কাজের সুযোগ করে দিতে পারে।
-
ভিডিও এডিটিং এর কাজঃ ভিডিও এডিটিং বর্তমান সময়ে প্রায়
প্রত্যেকটি প্লেয়ারদের অন্যতম একটি কাজ পাওয়ার হাতিয়ার। কেননা ইউটিউবার
থেকে শুরু করে ফেসবুক টুইটার এবং অন্যান্য ভিডিও সোশ্যাল সফটওয়্যার গুলো
নির্ভর করে এই ভিডিও এডিটিং এর কাজের উপরে। কাজেই এই সেক্টরে যদি আপনি
নিজেকে দক্ষ করে তুলেন তাহলে আর যাই হোক আপনার কাজের কোন অভাব হবে । আর
ভিডিও এডিটিং এর কিছু টুলস ব্যবহার করা হয় যেগুলো হলো অ্যাফটার ইফেক্টস,
সিনেমা 4D এবং এডোবি প্রিমিয়াম-প্রো।
-
অনুবাদ ক্যাটাগরিতে কাজঃ ফ্রিল্যান্সিং জগতে অন্যতম একটি
ডিমান্ডেবল কাজের মধ্যে একটি হচ্ছে অনুবাদ ক্যাটাগরির কাজ। আপনি যদি
কমপক্ষে দুই ৩টি ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি গুগলের মত জায়েন্ট
কোম্পানি এবং ইয়াহুর মতো কোম্পানিগুলোতে ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করতে
পারবেন। আর এছাড়া তো বিভিন্ন ছোট ছোট কোম্পানিগুলো রয়েছে। আপনি যদি নিজের
দেশে থেকে অন্য দেশের ভাষা জানেন তাহলে নিজের দেশের বসে থেকেই অন্য দেশের
কোম্পানির হয়ে অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে পারব।
ফ্রিল্যান্সিং মানে হচ্ছে আপনি নিজের ইচ্ছায স্বাধীন মত কাজ করবেন ইচ্ছা হলে
করবেন না হলে ঘুরে বেড়াবেন মনে যা খুশি চায় তাই করবেন। এবং আপনার মনের আরাম
আয়েশের কায়েশ পূরণ হওয়ার পরে আপনি যদি কাজ করেন তাহলে আপনি ইনকাম করতে
পারবেন অর্থাৎ আপনার ইচ্ছা হলে আপনি কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন যেকোনো
সময়। কাজে উপরে বর্ণিত কাজগুলো ছাড়াও আর কিছু ফ্রিল্যান্সিং জব ক্যাটাগরি
রয়েছ যেমন কনটেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স
ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে
হয় এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা পেতে আপনি আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে
সম্পূর্ণ পড়লে লাভবান হবেন।
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব
ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব এ প্রশ্নটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। কেননা
আপনাদের অনেকেই বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ
করছে। সারা দুনিয়ায় স্বাধীন পেশা হিসেবে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য এই
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইনকামের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এখানে
বিশেষ করে আমাদের এশিয়ার লোকজন ব্যাপক হারে নিজেদেরকে জড়িত করে লক্ষ লক্ষ
টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে। আর আপনি নিজেও যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চান তাহলে
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজগুলো শিখতে পারেন। তবে আমাদেরকে জানতে হবে যে কোন
জায়গা থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখলে ভালোভাবে শেখা যায়। আর শেখা শেষ হওয়ার সাথে
সাথেই যেন ইনকাম শুরু করা যায় এ বিষয়টার প্রতীকৃত তরফ করে তারপরে সে
প্রতিষ্ঠানগুলো তে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য ভর্তি হতে হবে। আপনি এমন জায়গায়
ভর্তি হলেন যেখানে ভালো কোন ট্রেনার নেই যারা শেখাবে তারা নিজেরাই মোটামুটি
ভাবে জানে। তো এরকম কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে আপনিও কাজ ভালোভাবে শিখতে
পারবেন না। আর ভালোভাবে কাজ না শিখতে পারলে আপনি কাজও কিন্তু পাবেন । কাজেই
ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে আমার পরামর্শ থাকবে যে, আপনি যে
প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন সেই প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে আপনাকে জানতে হবে
যে কারা এখানে এর আগে কাজ শিখেছে এবং তারা কি রকম ইনকাম করছে। এ ধরনের পুরো
তথ্য নিয়ে তারপর সেগুলোদের সম্পর্কে ভর্তি হবেন। আপনি যে এলাকায় বাস করুন না
কেন আপনি শুধু অনলাইনে গুগলে গিয়ে সার্চ দিবেন "বেস্ট ফ্রিল্যান্সিং
সেন্টার" তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার গুলোর লোকেশন এবং নাম্বার সহ
বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন তারপরও আমি আপনাকে কিছু তুলে ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার
নাম তুলে ধরছিঃ
- অর্ডিনারি আইটি
- শিখন ডট কম
- ক্রিয়েটিভ আইটি
- টেকনিক্যাল ট্রাস্ট ট্রেনিং সেন্টার
- যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
- কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এ বিষয়ে জানা অতীব ও জরুরি একটি বিষয়ে যদি আপনি
ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে চান। কেননা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টি হচ্ছে বিশাল বড়
একটি সিলেবাস এর মত অর্থাৎ এখানে কাজের ধরন গুলির তালিকা অনেকগুলি রয়েছে। এক
এক ধরনের কাজে এক এক ধরনের পরিশ্রম করতে হয় এবং একেক রকম কাজ করতে হয়, আর এক
এক ধরনের ক্লায়েন্টও পাওয়া যায়। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের তালিকা অনেক
তাই প্রত্যেকটি কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে, যে কাজটি আপনার পছন্দের
সাথে যায় বা যে কাজ করতে আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন সেই কাজটি আপনি বেছে নিয়ে
করবেন। আপনি আপনার পছন্দের কাজটি যদি করেন তাহলে এটাকে আপনার বোঝা মনে হবে না
এই কাজটি আপনি নিজে থেকেই করবেন কেননা আপনার কাজটি করতে পছন্দ করেন। আর নিজের
পছন্দ মত কাজ করে আপনি ভবিষ্যতে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। আপনাকে আর কোন
বাধা বাধা মনে হবে না এটি পনার কাছে সহজ মনে হবে। তাই নিম্নে ফ্রিল্যান্সিং এর
কাজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছেঃ
-
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হলো
ফ্রিল্যান্সিং জগতের অন্যতম একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। আবার এই সেক্টর
টি মাঝে মাঝে অতি গোপনীয় হয়ে থাকে কেননা ভার্চুয়ালি অ্যাসিস্ট্যান্ট এর
মাধ্যমে আপনি কোন দেশের প্রশাসনের হয়ে অনেক গোপনীয় কাজ করতে পারবেন। আবার
আপনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হয়েও কাজ করতে পারবেন
কাস্টমার সার্ভিস, ডাটা এন্ট্রি এবং অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজ আপনি করতে
পারবেন। এজন্য আপনাকে পুরো অফিস এপ্লিকেশন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে, গুগল
ওয়ার্কস্পেস সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
( Asana, Trello ) সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
- কোডিং এবং প্রোগ্রামিংঃ কোডিং বা প্রোগ্রামিং হচ্ছে এমন একটি কাজ যে কাজ ছাড়া সফটওয়্যার এপ্লিকেশন অচল আপনি যদি সফটওয়্যার, অ্যাপ্লিকেশ এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করতে চান তাহলে এই কোডিং আপনার জন্য অপরিহার্য অংশ। যারা কোডিইং এর কাজ করে তাদেরকে সাধারণত প্রোগ্রামার বলা হয়। আর প্রোগ্রামারদের বিভিন্ন ভাষা রয়েছে যেমন জাভা সি++, পাইথন এবং রুমি ব্যবহার করে কাজ করে থাকেন।
- এসইও দক্ষতাঃ এটা এমন একটি কাজ যে কাজের মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পেতে সাহায্য করেন এমনকি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত এবং প্রত্যেকটি আর্টিকেলকে সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পেতে অথবা র্যাংকিংয়ে সবার আগে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই এসইও এর কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে কাজে আপনিও এই কাজে দক্ষতা বাড়িয়ে খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন।
-
ট্রান্সলেশনঃ আপনি যদি দু বাহের অধিক ভাষা জেনে থাকেন তাহলে আপনি
বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
এরকম অনেক কোম্পানি রয়েছে যে কোম্পানিগুলির একটি ওয়েবসাইট থাকে সেই
ওয়েবসাইটের অনুবাদক হিসেবে অনেক পোস্ট ফাঁকা থাকে আপনি চাইলে
ফ্রিল্যান্সার হয়ে এই অনুবাদকের কাজ করে এই কোম্পানিগুলোকে সাপোর্ট দিতে
পারেন।
-
ভিডিও এডিটিংঃ ভিডিও এডিটিং এই কাজটি ফ্রিল্যান্সারদের জন্য
একটি অপরিহার্য কাজের মধ্যে একটি। কেননা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারের
জন্য প্রমো ভিডিও লাগে। আর আপনি যদি একজন ভিডিও এডিটর হয়ে থাকেন তাহলে
ইউটিউবের অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য কনটেন্ট তৈরি করে ভিডিও
বানায়ে, বিভিন্ন কোম্পানির এই প্রমা ভিডিওগুলি বানিয়ে দিতে পারেন। আর
ভিডিও এডিটিং এর জন্য আপনার কিছু সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে যেগুলো হচ্ছে
Final Cut, DaVinci Resolv এবং Adobe Premier Pro ।
- ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে আপনি অন্য কোন ক্যাম্পায়ার হয়ে সে কোম্পানির পণ্য বা সেবা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচার করা। আর ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভিতরে যে কাজগুলি বিশেষ করে পরে সেগুলি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিং।
উপরে উল্লেখিত কাল সমূহ ছাড়াও আরো বেশ কিছু কাজ রয়েছে যেমন ওয়েব ডিজাইনিং
বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইনিং কনটেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া
ম্যানেজমেন্ট এবং ডাটা এন্ট্রির মত কাজগুলো রয়েছে। এই কাজগুলোর প্রতি দক্ষতা
যত বেশি বাড়াবেন আপনার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রাটা তত বেশি সহজ হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সম্বন্ধে বিস্তারিত ধারণা নিতে আমি আশা করব আপনি
আমার ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় আর্টিকেলটি পুরোপুরি
মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন
ফ্রিল্যান্সিং করে যে কাজে বেশি টাকা আয় করতে পারবেন এই প্রশ্নটি অনেকের মনে
উঁকি দিচ্ছে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আমি এই প্রশ্নের উত্তর এখন দিতে চলেছি।
ফ্রিল্যান্সিং জগতের ফ্রিল্যান্সারদের মার্কেটপ্লেস ফ্রী আনসার ডটকমের তথ্য
অনুযায়ী সফটওয়্যার ডেভলপার হয়ে কাজ করলে ঘন্টায় ৭০ থেকে ৮০ ডলার ইনকাম করতে
পারবেন। ডাটা এনালিটিক্স এর কাজ যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে এই কাজের বিনিময়ে
আপনি প্রতি ঘন্টায় ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
এর দুটি কাজের ধরন রয়েছে একটি হলো ফ্রন্ট এন্ড আর একটি হল ব্যাক এড।
ফ্রন্ড এড এর কাজ হচ্ছে ডিজাইন, ভিজুয়াল এবং প্রিভিউ। আর ব্যাক এডের কাজ
হচ্ছে ওয়েবসাইটের ভেতরের কাজ বা সেটিং মেইনটেনেন্স অ্যান্ড কাস্টমাইজেশন
এর কাজ করা আর যারা এই দুটি কাজই করতে পারে তাদেরকে বলা হয় ফুল-স্ট্যাগ। ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট এর কাজের প্রতি যদি আপনি ভালো দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই কাজ করে
প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর্টিকেল রাইটিং করে আপনি
প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ডলার
ইনকাম করতে পারবেন। গ্রাফিক ডিজাইনিং করে প্রতি ঘান্টায় ৩০ থেকে ৩৫ ডলার ইনকাম
করতে পারবেন। প্রোগ্রামার হয়ে আপনি ঘন্টায় ১০০ থেকে দেড়শ ডলার পর্যন্ত ইনকাম
করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘন্টায় ২০ থেক ৬০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম
করা যায়। এসইও অর্থাৎ সার্থ ইঞ্জিনেশন এই কাজ করার মাধ্যমে আপনি প্রতি ঘন্টায়
১০০ থেকে ১৫০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। যদিও আপনার ইনকাম টি আপনার দক্ষতার উপর
নির্ভর করে এবং আপনার ক্লায়েন্ট আপনার উপর কতটা খুশি সেটার উপর নির্ভর করে যা
আপনাকে কিভাবে পেমেন্ট করবে।
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি এই প্রশ্নটি নিয়ে আমাদের মনে অনেক জানার আকলতা কাজ
করে। তাই আমি আপনাদের সাথে এখন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফি সম্বন্ধে আলোচনা করব।
বর্তমান যুগে সবাই গুগল এ খোঁজাখুঁজি করে কোথায় কি পাওয়া যায় কি দামে পাওয়া
যায় আর যদি কোন কিছু শেখার হয় তাহলে কিভাবে শিখব কোথা থেকে শিখব এই ধরনের
প্রশ্নগুলি গুগলে সার্চ করে থাকে। তাই আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন যে
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কত টাকা তাহলে আপনি মোটামুটি একটা আইডিয়া পেয়ে যাবেন
তারপরেও আমি আপনাকে কিছুটা আইডিয়া দেওয়ার চেষ্টা করছি
- গ্রাফিক্স ডিজাইনিং ৮০০০ হাজার টাকা
- 3D এনিমেশন ৬০০০ হাজার টাকা
- কন্টেন্ট রাইটিং ৩০০০ হাজার টাকা
- ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট ১০০০ হাজার টাকা
- ডিজিটাল মার্কেটিং ১৫০০০ হাজার টাকা
- ডাটা এন্ট্রি ৩০০০ হাজার টাকা
এই প্রত্যেকটি কোর্সগুলো আসলে এক একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো এক এক ধরনের
অ্যামাউন্ট চার্জ করে থাকে এগুলো আসলে কারোটা কারোটার সাথে মিলে না কিছুটা কম
বেশি হয়।আবার অনেকেই এই কোর্সগুলো একসাথে প্যাকেজ আকারে বিক্রি করে অর্থাৎ
বেশ কিছু কোর্স একসাথে মিলিয়ে দেখা গেল .১২ হাজার, ১৫ হাজার বা ২০ হাজার এই
রকম করে কোর্স বিক্রি করে থাকে। তাই একসাথে কোন কোর্সে ভর্তি হলে আপনি লাভবান
হবেন। এছাড়াও বর্তমান সময়ে একটি অবাক করা এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে এই যে
ফ্রিল্যান্সিং কোর্স গুলি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ফ্রি করে দিয়েছে।
যেটা বর্তমানে ৪৮ টি জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে শুরু হয়ে গেছে। আর এটি যুব ও
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারা দেশব্যাপী এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে।
আপনি এখানে ফ্রিতেই কোর্স করতে পারবেন তবে আপনাকে শুধু পরীক্ষা দিয়ে সফলকাম
হতে হবে। আর কোর্সটি চলবে তিন মাস ব্যাপী কোর্স চলাকালীন সময়ের যাতায়াত এর
জন্য প্রত্যেকদিন আপনাকে ২০০ করে টাকা দেয়া হবে সপ্তাহে ছয় দিনই ক্লাস চলবে
৮ ঘণ্টা করে। কোর্স শেষে আপনাকে এই যাতায়াতের খরচ একসাথে দেয়া হবে সাথে
আপনাকে একটি ল্যাপটপে দেয়া হবে।
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত
ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এ বিষয়ে আপনার
ধারণা থাকা প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বে সারাদেশেই ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা
বেরিয়ে চলেছে বাংলাদেশ অফিসে নেই বাংলাদেশ ও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা দিন দিন
বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে শীর্ষে থাকা ৩০ দেশের তালিকার ভিতরে বাংলাদেশ
রয়েছে ২৯ তম স্থানে থাকা শীর্ষ দেশ হিসেবে। অনুমান করা হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের
প্রায় ১৫৭ কোটি প্রিনান্সিয়াল রয়েছে। এবং একটি প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে যে
সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সাররা গড়ে প্রতি ঘন্টায় ২২ ডলার করে ইনকাম করেন। আর
ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে বয়স সীমাইয় রয়েছে ২২ থেকে ৩৫ বছর লোকজন বেশি রয়েছে।
আর দেশ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বেশি ইনকাম করে থাকা রাষ্ট্র গুলো
যেগুলো রয়েছে তা হলো যুক্তরাষ্ট্র ৯৭.৪৬, ভারত ৯৫.৭১ এবং যুক্তরাজ্য
৯৪.৮১ গড়ে এই দেশগুলোর ইনকামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা তিন দেশ হিসেবে অবস্থান
করছেন। তবে বাংলাদেশ ৪৬.৯২ আরে ইনকাম করে সে শীর্ষে থাকা ৩০ দেশের মধ্যে ২৯ তম
হিসেবে অবস্থান করছে। আসলে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বয়সের কোন বাধা ধরা নেই যে
কোন বয়সের মানুষের ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারে আপনিও
চাইলে ঘরে বসে এই কাজটি করে নিজেকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে
পারেন।
শেষ কথাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়
শেষ কথাঃ পরিশেষে বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর টি বিশাল বড় একটি সেক্টর। তাই আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের কাজ শিখতে যাবেন আমারে আর্টিকেলে বলা হয়েছে কোন কাজগুলো সহজে শেখা যায় সেই কাজগুলো শিখে নে কাজ শুরু করতে পারবেন যেমন ডাটা এন্ট্রির কাজটি শিখতে গেলে আপনাকে বেশি টাকা খরচ করতে হবে না বাট এই কাজটি যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আপনি মাসের প্রায় ৩০০০০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি আপনার ভবিষ্যৎ
জীবনকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেই গড়ে তুলতে চান তাহলে এই কাজ শিখে টাকা পয়সা ইনকাম করে গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং এর কাজ শিখে ফেলবেন। যাতে করে আপনি প্রতি মাসে ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবে। যদিও এ কাজগুলো অনেক কঠিন শিখতে সময় লাগে তারপর আপনি যদি লেগে থাকেন তাহলে কাজগুলো খুব সহজে শিখতে পারব। আপনি যদি মনে করেন যে আমারে আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকারে এসেছে তাহলে আশা করি আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবেন।
শিক্ষাই আলোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url