গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নিয়ম

মডার্ন যুগে আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারের অন্যতম নিদর্শন যেটি গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর রোগ নির্ণয় করার জন্য আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। এই আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন টির অতি তীব্র স্পন্দনশীল শব্দ উৎপন্নকারী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মায়ের গর্ভের
গর্ভাবস্থায়-আল্ট্রাসনোগ্রাম-করার-নিয়ম
শিশুর আকার আকৃতি, কি অবস্থায় আছে মা ও শিশু, শিশুর অবস্থান ঠিক আছে কিনা, মায়ের পেটের ফুল কোন পর্যায়ে আছে, কি পরিমানে পেটে পানি আছে এই সমস্ত কিছু নির্ধারণ করার জন্য কোন কোন সময় আল্ট্রাসনোগ্রাম করবেন তা আলোচনা করব।

পেজ সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নিয়ম 

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নিয়ম

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করার নিয়ম সম্পর্কে আমি আপনাদের আজ বিস্তারিত জানাবো। কেননা অনেকেই মনে করে থাকেন যে আলোচনা করা অনেক ঝামেলার একটি ব্যাপার হয়তোবা এটাতে বাচ্চা ও মায়ের কোন সমস্যা হবে এ মনে করে অনেকেই আলোচনা করতে ভয় পায়। বর্তমান বিশ্বে গর্ভবতী মায়ের এবং তার আত্মীয়-স্বজনের প্রতি আকাঙ্ক্ষিত উত্তেজনা এবং আনন্দের সময় এ সময় সবাই চায় মা ও শিশু যেন ভালো থাকে তাদের কোন সমস্যা আসবে কিনা এটা জানতে চাই। আর বর্তমান মডার্ন যুগে বাচ্চা ও মায়ের অবস্থা জানতে আলট্রাসনোগ্রামের কোন জুড়ি নেই। বর্তমানে 

দিন যত যাচ্ছে মানুষ এবং মানুষের রোগ তত বেশি জটিল হয়ে পড়ছে। আগের যুগে গর্ভবতী মহিলারা প্রাকৃতিক খাবার খেত এবং দাইমাদের আদেশ উপদেশ মেনে চলত। নিয়মিত হাঁটা চলাচল করত এবং নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করতো আর যার ফলে আগের যুগের মহিলাদের গর্ভপাত হতো প্রাকৃতিক নিয়মে অর্থাৎ নরমাল ডেলিভারি হত। আর এখনকার যুগের মহিলারা ভেজাল খাবার খেয়ে থাকে তারপর আবার গর্ভবতী অবস্থায় নিয়ম তান্ত্রিকভাবে খাবার খাই না এবং সংযত জীবন যাপনও করেনা যার কারণে অনেক ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। সকল ধরনের জটিলতা এবং 

সমস্যা গুলো খুঁজে বের করার জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে একটি পরীক্ষা করতে হয়। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার সকল গর্ভবতী মায়েদের প্রথমেই যে পরীক্ষাটি করতে বলে সেটি হলো আলট্রাসনোগ্র। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই গর্ভবতী মায়ের পেটের অভ্যন্তরে আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠা বাচ্চাটির কি অবস্থা এবং মায়ের কি অবস্থা তা নির্ণয় করা যায়। আর এই চেকাপটি করার জন্য আপনাকে ডাক্তারের কাছে গিয়ে তাদের নরমাল একটি ড্রেস পড়তে হবে সে ড্রেস পরে ডাক্তারের রুমে থাকা বেডের ওপর শুয়ে গেলে ডাক্তার আপনার পেটের নির্দিষ্ট স্থানটুকু সনাক্ত করে সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে, ব্যাস হয়ে গেল আপনার আল্ট্রাসনোগ্রাম সম্পন্ন সাধারণত এই নিয়োমে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়।

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপর্ট

গর্ভাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপর্ট এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করা অতিবো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে। কেননা গর্ভবতী মাকে সবসময় অতি যত্নের সাথে চলাফেরা করতে হয় এবং পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দাবার খেতে হয়। আর মাঝে মাঝে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয় যে সে এবং তার শিশু ঠিক আছে কিনা। কোন ধরনের সমস্যা হলে ডাক্তার আপনাকে কিছু ওষুধ দিতে পারে এবং সঠিকভাবে জীবন যাপন করার জন্য

নির্দেশ দিতে পারে যেগুলি মেনে চলা আপনার জন্য একেবারে অপরিহার্য বিষয়। যদি আপনি ডাক্তারের কাছে যান তাহলে ডাক্তার সর্বপথে আমি আপনাকে আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বলে থাকেন। আপনাদের অনেকে আমার কাছে প্রশ্ন করেছে যে আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট গুলি কেমন হয় চলন। তাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করিছি আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট গুলি আসলে কেমন হয় কি কে লেখা থাকে।
  • Number of fetus: fetus যার অর্থ হচ্ছে বোন অর্থাৎ গর্ভে লালিত পালিত হওয়া শিশু। এই স্থানে অনেক সময় সিঙ্গেল টুইন বা মাল্টিপল লেখা থাকে যা আমরা সোজা কথা বুঝতে পারি.১, ২, ৩ অর্থাৎ গর্ভবতী মায়ের গর্ভে কয়টা বাচ্চা আছে তা এখানে সংখ্যার মাধ্যমে বলে দেয়া থাকবে।
  • Amniotic Fluid Index: এই শব্দগুলির দ্বারা বোঝা যায় যে গর্ভে কি পরিমান পানি আছে এখানে লিখা থাকতে পারে adequate অর্থাৎ গর্ভবতী মায়ের পেটে যথেষ্ট পরিমাণে পানি আছে বা পর্যাপ্ত পানি আছে। আবার এই জায়গায় Inadequate লেখা থাকতে পারে যার অর্থ অপর্যাপ্ত পানি রয়েছে। এখানে পানির পরিমাণ ৫ থেকে ২৫ থাকলে স্বাভাবিক মনে করা হয়।
  • EDD(Estimated Due Date): গর্ভবতী মহিলার সম্ভাব্য ডেলিভারি ডেটের তারিখ দেয়া থাকে
  • Cardiac Activity: কার্ডিয়েক এক্টিভিটি অর্থাৎ শিশুর স্পন্দনকে বোঝায় এখানে শিশুর আসল হার্টবিট লেখা থাকতে পারে। এখানে লেখা থাকতে পারে 140 বা 150 BP অর্থাৎ শিশুর মিনিটে ১৪০ বা ১৫০ হার্টবিট স্পন্দন।
  • Gestational Age: গর্ভস্থ শিশুর কত সপ্তাহ বা কত মাস হয়েছে এখানে তা উল্লেখ করা থাকবে নাম্বারের দ্বারা
  • Placenta: এই জায়গায় থাকতে পারে Grade 0,Grade 01, Grade 02 Grade 03 । এই প্লাসেন্টার অর্থ হচ্ছে আপনার গর্ভবতীর গর্ভের ফুলের কি অবস্থা হয়েছে এখানে গ্রেট যত বেশি হবে আপনার ফুলের অবস্থা তত ভালো হবে।
  • Presentation: এখানে লেখা থাকতে পারে cephalic presentation অর্থাৎ গর্ভস্থ শিশুর মাথা নিচে এবং পা উপরে আছে। আবার এটিও লেখা থাকতে পারে breech presentation যার অর্থ হল পেটের বাচ্চার মাথা উপরে এবং পা নিচে।

গর্ভাবস্থায় কতবার আল্ট্রাসাউন্ড করা যায়

গর্ভাবস্থায় কতবার আল্ট্রাসাউন্ড করা যায় এ প্রশ্নটি অনেকে করে থাকেন বিশেষ করে যারা এখনো স্মার্টফোন ব্যবহার করে না, ইন্টারনেট ব্যবহার করে না মূলত তারাই এ প্রশ্নটি বেশি করে থাকেন। অর্থাৎ যারা একটু নেট ব্যবহার করে খবর সবর কম দেখে তারাই বিষয়গুলোতে বেশি প্রশ্ন করে তাহলে চলুন জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কতবার আলট্রাসনোগ্রাম করতে পারবেন। প্রথমে আপনাদের জানিয়ে রাখি আল্ট্রাসনোগ্রাম গর্ভের শিশুর কোন ক্ষতি করবে কিনা সে প্রশ্নের উত্তরে আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই আলট্রাসনোগ্রাম যতবার ইচ্ছা করতে পারবেন সমস্যা হলে 
গর্ভাবস্থায়-আল্ট্রাসনোগ্রাম-করার-নিয়ম
তবে, এতে কোন ক্ষতি হবে না। অনেকে হয়তো মনে করেন যে বেশি আলট্রাসনোগ্রাম করলে কোন ক্ষতি হয় কিনা আলট্রাসনোগ্রাম এর তেজস্ক্রিয় রশি মা ও শিশুর কোন ক্ষতি করবে কিনা। আসলে আলট্রাসনোগ্রাম কোন তেজস্ক্রিয় রশি হয় না এটা হয় এক্স-রে করার সময়। আর আল্ট্রাসনোগ্রাম হলো এটি একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় অতি উচ্চ স্পন্দন শীল শব্দ তরঙ্গ যে শব্দটি আমাদের সাধারণ কানে শোনার ক্ষমতার বাইরে। গর্ভবতী নারী গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে ডেলিভারি হওয়া পর্যন্ত নিবিড় পর্যবেক্ষণে চলছে কিনা মা ও গর্ভের শিশু ঠিক আছে কিনা এ সমস্ত কিছু জানার জন্য এই প্রক্রিয়াটি 

করতে হয়। মা ও গর্ভের শিশু যদি কোন ধরনের সমস্যায় পড়ে তাহলে এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব হয় এবং ডাক্তার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারেন এবং পরামর্শ দিতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট ওষুধ এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণে চলার জন্য পরামর্শ দিতে সক্ষম হন। গর্ভাবস্থায় ৭/৮ সপ্তাহের মধ্যে এই প্রক্রিয়া করে মা ও শিশুর অবস্থা জাচাই করা উচিত। এ সময় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তো কোন সমস্যা নেই। তবে কিছু দিন পরে আবার ১৬-২০ সপ্তাহের মধ্যে আরেকবার এই প্রক্রিয়াটি করা উচিত। মধ্যবর্তী সময়ও মা ও শিশুর কোন কিছু হলে মা ও শিশু দুজনেই বিপদে পড়তে পারেন। এবং এ সময় ঠিক থাকলেও বাচ্চা ডেলিভারির কিছু আগে আপনি চাইলে ২২-২৮ সপ্তাহের মধ্যে আরেকবার এই আলট্রাসনোগ্রাম প্রক্রিয়াটি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপর্ট বোঝার উপায়

আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপর্ট বোঝার উপায় এ বিষয়ে আমি আপনাদের বিস্তারিত জানাবো যে রিপোর্ট দেখেই যেন আপনি নিজে নিজে বুঝতে পারেন গর্ভবতী মা ও গর্ভবত থাকা শিশুর কোন সমস্যা হয়েছে কিনা তার ওজন কতটুকু আছে কম থাকলে ডাক্তার গর্ভবতী মাকে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম খাওয়ার জন্য বলতে পারে এবং অনেক সময় মায়ের পেটে পানিও কম থাকতে পারে আর এ সমস্যাটি হলে বাচ্চা সময়ের আগে জন্ম নিতে পারে আবার এই সমস্যাটির গুরুতর হয়ে গেলে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনাদের অনেকেই আমার কাছে প্রশ্ন করেছে যে রিপোর্ট দেখে কিভাবে আমরা বুঝবো কি লেখা আছে বা কি সমস্যা হয়েছে তাই এ বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত নিম্নে আলোচনা করছি।

  • Fetal Number: এখানে কিছু নাম্বার দেয়া থাকবে আর এই নাম্বারগুলো দেখে আপনি বুঝে নিতে পারবেন  যে মায়ের গর্ভে কয়টা শিশু বাচ্চা রয়েছে
  • Fetal Heart Rate: আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের এই জায়গাটিতে গর্ভে থাকা শিশু প্রতি মিনিটে হৃদয়ের স্পন্দন তা বুঝতে পারবেন।
  • Fatal Anatomic Survey: রিপোর্টের এই অংশে ভ্রূণের অর্থাৎ গর্ভে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা শিশুর শরীরের হাট, কিডন, পাকস্থলী সহ শরীরের বিশেষ অঙ্গের উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করে।
  • Fatal Position: রিপোর্টের এ অংশে গর্ভে থাকা ভ্রূণের অবস্থান নির্দেশ করবে।
  • Gestational Age: আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের এই অংশ দ্বারা বোঝা যাবে যে গর্ভে থাকা শিশুর বয়স কত দিন হয়েছে। যেমন এখানে লেখা থাকতে পারে 90 days (৯০ দিন ) বা 14 weeks ( ১৪ সপ্তাহ )
  • Head Circumference (HC): এই অংশে মায়ের গর্ভের শিশুর মাথা ছোট না বড় তা নির্দেশ করে।
  • Amniotic Fluid Index: এখানে মায়ের পেটে কি পরিমান পানি আছে তা নির্দেশ করে এটা সেই পানি যে পানির উপর গর্ভের সন্তান ভাসমান হয়ে থাকে। এ পানির স্বাভাবিক মাত্রা 5cm-25cm হয়ে থাকে।
  • Abdominal Circumference (AC): এই অংশের সন্তানের পেটের আকৃতি নির্দেশ করে এটা স্বাভাবিক নাকি স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট বা বড় কিনা।
  • Placenta: এটি দ্বারা মায়ের গর্ভের শিশুর প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন অক্সিজেন ও পুষ্টির সরবরাহ নিশ্চিত করে। এবং শিশুর শরীরে থাকা রক্ত এবং এ থেকে বর্জ্য গুলো বের করতেও এটি সাহায্য করে।
  • Femur Length (FL): এই অংশের মাধ্যমে গর্ভের শিশুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় যে বাচ্চাটি কতটুকু লম্বা হয়েছে।
  • Bipariental Diameter(BPD): এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন শিশুর ব্যাস কতটুকু হয়েছে অর্থাৎ শিশু কতটুকু মোটা বা গোল গাল হয়েছে।

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে বোঝার ঘরোয়া উপায়

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে বোঝার ঘরোয়া উপায় এ সম্বন্ধে আমাদের গ্রাম বাংলার প্রতিটি মা ও বোনেরা খুব ভালোভাবে অবগত আছেন আমার ধারণা যদি ভুল না হয়। কেননা সেই আদিমকাল থেকেই সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী একের পর এক জাতী, প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিস্তার লাভ করে আসছে শুধুমাত্র মায়েদের গর্ভবতী হওয়ার ফলে। এবং একজন মা গর্ভধারণ করলে তার চারপাশের 
গর্ভাবস্থায়-আল্ট্রাসনোগ্রাম-করার-নিয়ম
সমস্ত মহিলারাই গর্ভে বাচ্চা আসলে কি করতে হয়, কিভাবে তার যত্ন নিতে হয় তা তারা কোন শিক্ষা-দীক্ষা ছাড়াই এ বিষয়ে ধারণা নিতে পেরেছিলেন গর্ভবতী মায়ের সেবা যত্ন করার মাধ্যমে। আর এ সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনার নিচে চলে যাচ্ছি।

  • গর্ভবতী মায়ের পেট বেশি উঁচু হলে অনেকে নিশ্চিত হয়ে যেত যে এই গর্ভবতীর মেয়ে বাচ্চা হবে। যদিও ধারণা করা হয় যে যে সমস্ত গর্ভবতী মায়েরা একটু স্বাস্থ্যবান তাদের প্রথম বাচ্চা পেটে আসলে পেট একটু বেশি উঁচু দেখা যায় কিন্তু তারপরও পেট যদি উপরের দিকে বেশি থাকে তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • সকালে যদি বেশি বমি বমি হয় মাথা ঘুরায় এরকম সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে এই মায়ের মেয়ে সন্তান হবে। আর বমি বমি ভাব বা মাথা ঘোরা ভাব যদি কম কম হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এই মায়ের ছেলে সন্তান হবে।
  • মা যদি বাম দিকে ফিরে শুতে বেশি পছন্দ করে তাহলে বুঝতে হবে ছেলে সন্তান হবে। আর যদি মা না চাইতেও ডানদিকে ফিরে শুতে বেশি পছন্দ করে তাহলে বুঝতে হবে মেয়ে সন্তান হবে।
  • যদি কোন মা ঝাল বা টক খেতে বেশি পছন্দ করে গর্ভবতী অবস্থায় তাহলে তার ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

কত মাসে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে ছেলে না মেয়ে বোঝা যায়

কত মাসে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে ছেলে না মেয়ে বোঝা যায় এ বিষয়ে অনেকের মধ্যেই জানার আগ্রহ অধিক হয়ে থাকে। তাই এ বিষয়ে আমি আপনাদের ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি। যদিও বর্তমানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয় মায়ের এবং শিশুর শারীরিক অবস্থা ঠিক আছে কিনা এ বিষয়ে জানার জন্য। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেন যেমন মা ও শিশু সার্বিক অবস্থা জানা যায় এর পাশাপাশি মায়ের 

গর্ভে মেয়ে বাচ্চা না ছেলে বাচ্চা সেটাও জানা যায়। একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় এবং গর্ভবতী হওয়া যখন ১১ সপ্তাহ হয়ে যায় ঠিক সে সময় শিশুর যৌনাঙ্গ তৈরি হতে শুরু করে। এবং ১৮ - ২২ সপ্তাহের মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে ছেলে না মেয়ে বাচ্চা হবে তা অনেক আংশিক নিশ্চিত করে বলা যায়। কেননা এই সময়ের মধ্যে মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর শারীরিক গঠন পরিপূর্ণতা লাভ করে।

আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কত টাকা খরচ হয়

আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়টি যখন মাথায় আসে তখন অনেকেই হয়তো বা ভাবেন যে না জানে কত টাকা খরচ হবে। হাসপাতালে গেলে এখন অনেকে আতঙ্কের মধ্যে থাকে যে ডাক্তাররা একের পর এক টেস্ট দিয়ে হয়রানি করা এবং মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এজন্য আমি চেষ্টা করছি আপনাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে কত টাকা খরচ হয় এ বিষয়ে সঠিক আইডি দিতে। তবে যদি আপনি টুডে আল্ট্রাসনোগ্রাম সাদা কালো করেন তাহলে এক্ষেত্রে খরচ হবে ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত এবং আরো কিছু আল্ট্রাসনোগ্রাম রয়েছে যেগুলো ধরণ ভিন্ন ভিন্ন তাই এগুলোর খরচ হয়ে থাকে ভিন্ন ভিন্ন এ খরচ গুলো সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলো।
  • USG W/A= 1200 Taka
  • USG TVS= 1500 Taka
  • USG W/A/KUB/PVR= 1700 Taka
  • USG Penis/Testes/Scortum= 1800 Taka

আল্ট্রাসনোগ্রাম করার উপকারিতা

আল্ট্রাসনোগ্রাম করার উপকারিতা গুলো অনেকেই হয়তোবা জানেন না তাই আপনারা যারা এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আমি কিছু তথ্য তুলে ধরতে চলেছে। একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হয় তখন সে মহিলাটি যদি প্রথমবারের মতো অনুভূতি হয়ে থাকে তাহলে তার ভয় ভীতি একটু বেশি কাজ করে না জানি কি হয়। একটু কিছু হলেই সে ডাক্তারের কাছে যেতে চাই এবং তার 

গার্জেনরাও ভয় পেয়ে যায় এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে রাজি হয়। আসলে প্রথমবার বা দ্বিতীয়বার বলে কথা না গর্ভবতী মহিলার নিয়মিত চেকআপ করানোর উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো মা ও শিশুর শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করা। এ অবস্থায় নিয়মিত চেকআপ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নিয়মিত চেকআপ করলে মায়ের পেটে শিশু কি অবস্থায় আছে তার বৃদ্ধি ঠিকমতো 

হচ্ছে কিনা এ সমস্ত কিছু চেক করলে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কোন রেজাল্ট পাওয়া যায় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ এবং নিয়ম-মাফিক খাবার দাবার খেলে বাচ্চার সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। এবং এটা করলে আপনার শিশু জন্ম নেয়ার পরে অপুষ্টিহীনতায় ভুগবে না তার শারীরিক গঠন খুব বেশি চিকন হবে না বা ওজনও কম হবে না আপনার শিশুর যদি ওজন কম হয় তাহলে জন্মের পর তার অনেক সমস্যা হতে পারে অনেক ডাক্তারকে দেখে অনেক খরচ করতে হতে পারে। কাজে প্রথম থেকে বাচ্চার প্রতি যত্নবান হলে পরে আর বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না।

কিভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম কাজ করে

কিভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাম কাজ করে এ বিষয়ে আপনাদের অবগত করার চেষ্টা করছি। অনেকের জানার আগ্রহ থাকে যে এই মেশিনটির কাজ কি এবং কিভাবে কাজ করে। চোলুন তাহলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাক।
  • শব্দ তরঙ্গঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম এই যন্ত্রটি অতি উচ্চ শব্দ তরঙ্গ উৎপাদনকারী একটি যন্ত্র। এই যন্ত্রটি শব্দ তরঙ্গকে মায়ের গর্ভে পাঠিয়ে দেয়। মায়ের গর্ভে থাকা শিশু সহ পেটের যাবতীয় অঙ্গের একটি চলমান চিত্র অঙ্কন করতে সক্ষম হয়।
  • ইকোলজিঃ এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর টিস্যুর এবং অঙ্গের প্রত্যেকটি জায়গায় প্রতিধ্বনি তৈরি করে।
  • ইমেজিং সৃষ্টিঃ আল্ট্রাসনোগ্রাম এর মাধ্যমে প্রতিধ্বনিত শব্দগুলিকে একটি মনিটরের মাধ্যমে প্রদর্শন করে এবং এই প্রদর্শনটি হয় চিত্ররূপে।মায়ের গর্ভে থাকা শিশু সহ পেটের যাবতীয় অঙ্গের একটি চলমান চিত্র অঙ্কন করতে সক্ষম হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাই আলোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url