কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা - কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা এ বিষয়ে গুগোলে অনেকেই খুব বেশি খোঁজাখুঁজি করেন। তাই আপনাদের এই বিষয়ে অতিমাত্রার আগ্রহের কারণে এ বিষয়ে আমি আলোচনা করব। কুয়েত মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে অন্যতম একটি ধনী রাষ্ট্র যে দেশটির
কুয়েত-ভিসা-বন্ধ-না-খোলা
মুদ্রার মান বিশ্বের সবচাইতে বেশি দামি। এদেশের ভিসা মাঝে মাঝে বন্ধ ও মাঝে মাঝে খুলে। এই দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর কর্মী কাজের সন্ধানে সেই দেশে পাড়ি দেয় বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়। এদেশে রয়েছে প্রচুর টুরিস্ট প্লেস।

এই সূচিপত্রঃ কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা


কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা

কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা সচরাচর এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই আমাদের কাছে করে থাকেন তাই এ বিষয়য়ে আমি বিস্তারিত তুলে ধরছি। কুয়েত দেশটি আর্থিকভাবে এবং বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্র। এ দেশের রয়েছে সুশৃংখল আইন ব্যবস্থা আর যার কারণে এই দেশটির সরকার তার দেশের লোকজনের শান্তি ও শৃঙ্খলার কথা ভেবে মাঝে মাঝেই কুয়েত দেশের ভিসা বন্ধ রাখেন এবং 

চালু করেন। বন্ধ করেন বলতে একেবারে বন্ধ করে দেন না এটা হয়তো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির মানুষের জন্য এটা বন্ধ রাখেন বা নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ভিসা গুলি স্থগিত রাখ। আর এটি সে দৃষ্টি করে থাকে কেননা অনেক কর্মী সে দেশে কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও লুকিয়ে অবৈধভাবে সেই দেশে থাকে এবং অবৈধ কর্মীদের সংখ্যা বেড়ে গেলে তখন সেই দেশটি ভিসা বন্ধ 

করতে বাধ্য হয়। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কর্মী ভিসাটি কখনোই ঐরকম ভাবে বন্ধ থাকে না কেননা তাদের দেশ অত্যন্ত পর্যটন প্রেমি, শিল্পকল্প কারখানায় সম্মৃদ্ধশালী একটি দেশ হওয়ার কারণে তারা প্রায় সব সময় বিভিন্ন ধরনের কোর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মচারী লেভেলের লোকজন বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে থাকা। তাই কখনো কখনো কোনো দেশের জন্য বা কোন ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসা বন্ধ থাকলে তা পরবর্তীতে সীমিত সময়ের মধ্যেই চালু হয়ে যায়।

কুয়েত ফ্রি ভিসা কি

কুয়েত ফ্রি ভিসা কি কিভাবে ফ্রি ভিসা পাবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কুয়েত দেশে যে সমস্ত কর্মী আইন রয়েছে সে অনুযায়ী একজন প্রবাসী কর্মীর কর্তব্য হলো সে যে কোম্পানির আন্ডারে গিয়েছে অথবা সুনির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার বা কফিলের অধীনে তাকে সুনির্দিষ্ট কর্মস্থলে কাজ করে যেতে হয় এবং পরবর্তীতে যদি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তবে তাকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করতে হয়। তবে বহু আগে থেকে একটি কুচক্র কুয়েতের ব্যক্তিগত কফিলের আন্ডারে খাদেম ভিসা 

ক্যাটাগরি অনুযায়ী যার নম্বর .২০। আবার ছোট কোম্পানির মানসা সাগিরা ভিসার ক্যাটাগরি নম্বর ১৮  এ ধরনের ভিসার ক্যাটাগরির মধ্যে ভিসা নিয়ে অতি প্রচলিত ফ্রি ভিসায় কুয়েতে গিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই নিজেদের আত্মীয়-স্বজন বা পরিহিত জনদের মাধ্যমে ফ্রি ভিসাটি কিনে কুয়েতে যান। আর এই ফ্রি ভিসার নামে বাংলাদেশের কিছু কুচক্র ভিসা বিক্রির ব্যবসা করে আসছে বহু আগে থেকেই। যে ভিসার মেয়াদ কম থাকার কারণে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কর্মীর ওই দেশে থাকার মেয়াদ অথবা ইকামা 

বা বসবাসের অনুমতি রেসিডেন্সি বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণে তার জায়গায় অন্য কোন লোককে নিয়োগ দিয়ে দেয়। আর কাজ না থাকার কারণে এই কর্মী গুলি কর্মহীন অবস্থায় বসে থাকেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন অনৈতিক কারণে লিপ্ত হয় এবং কুয়েত দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোন ব্যক্তিকে যদি নির্ধারিত স্থানে নির্দিষ্ট কফিলের আন্ডারে কাজ করছে না এটি টের পায় তাহলে সেই কর্মীকে হ্যান্ডশ শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করে তার নিজের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত

কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন কত এ বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা আপনার জন্য অতিব দরকার কেননা অধিকাংশ মানুষ কুয়েতে কোম্পানি ভিসা গুলোতে যাওয়ার জন্য বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্রের মধ্যে একটি হলো কুয়েত যে দেশটিতে অধিকাংশ মানুষ অচ্ছা বিলাসী এবং আলিশান শহর রাস্তাঘাটের দেশ। এ দেশটির অধিকাংশ মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকেন আর যেগুলোর অধিকাংশ হল তেলের খনি থেকে তেল উৎপন্ন থেকে শুরু করে তেল সংক্রান্ত বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবসা বাণিজ্য এছাড়াও

অন্যান্য ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য তাড়া করে থাকেন। আর যেহেতু তাদের দেশে তাদের দেশীয় লোকজন বিভিন্ন কোম্পানি পরিচালনা করেন। আবার এর পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মানুষরাও বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি পরিচালনা করে থাকেন। আর তাই সেই দেশে প্রয়োজন হয় প্রচুর কোম্পানির ভিসায় কর্মী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার লোকজন। আর এজন্য বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের দেশে, বিভিন্ন দেশের লোকজন কোম্পানি ভিসায় গিয়ে নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার স্বপ্ন নিয়ে সেই দেশে যান।

আর যাবেনই বা কেন কেননা সে দেশের কারেন্সি যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামি কারেন্সি। কুয়েত দেশের বিভিন্ন কোম্পানির কর্মীদের কাজের ধরনের ওপর নির্ভর করে আসলে বেতনটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে যার ফলে কখনো বেতন কম থাকে আবার কখনো বেশ বেশি দেয়া হয়। কুয়েত কোম্পানি ভিসা বেতন নূন্যতম .৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ বেতন ৮০ থেকে এক লাখ পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং কখনো কখনো আরও বেশি হয়ে থাকে যেমন ২ লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

কোম্পানি ভিসার ধারণা অনুযায়ী কুয়েতে বেতন কেমন হয়

কোম্পানি ভিসার ধারণা অনুযায়ী কুয়েতে বেতন কেমন হয় আজ আমি আপনাদের এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা দিতে চলেছি যে, ভিসার কি কি ধরণ হয় এবং সে অনুযায়ী কেমন বেতন পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি দেশেই শিল্প-কলকারখানা এবং বিনো ধরনের কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় প্রত্যেকটি দেশের আর্থিক সচলতার উপর নির্ভর করে। আর কুয়েত যেহেতু অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক শক্তিশালী একটি রাষ্ট্র এবং সে দেশে যেহেতু অনেক শিল্প কলকারখানা রয়েছে তাই সে দেশে বিভিন্ন কোম্পানিতে 

বিভিন্ন ধরনের কাজও রয়েছে প্রচুর চাহিদা। এই ধনী দেশটিতে আপনি যদি যেতে পারেন তাহলে মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায় যে আপনি অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছলতা লাভ করবেন অতি অল্পদিনে। আর তাদের দেশের লোকজন যেহেতু অনেক ধনী তাই তারা কোম্পানির প্রত্যেকটি সেক্টরেই প্রচুর পরিমাণে লোক নিয়োগ দিয়ে রাখেন। কেননা তারা কোম্পানির কোন কাজেই বেশি সময় ধরে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন না তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের আনন্দ উল্লাসের আয়োজনে 

নিজেদেরকে জড়িয়ে রাখেন। তারা শুধু দেখাশোনা করেন লোকজনদের নিয়োগ দিয়ে যে তাদের লোকজন ঠিকমতো কাজ করছে কিনা আর বাকি সময় তারা আনন্দ ফুর্তি করতে বেশি পছন্দ করেন। আর তাই তাদের বিভিন্ন কোম্পানি গুলিতে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য লোকের প্রয়োজন হয় এবং এ কাজের ধরন অনুযায়ী তারা বেতন গুলি নির্ধারণ করে থাকেন। অর্থাৎ কোম্পানির ভিসা ধারণা অনুযায়ী বেতন হয়ে থাকে যেমনঃ
  • শ্রমিক বেতন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
  • কোম্পানি বিষয় ডেলিভারি ম্যানদের বেতন ৪৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • ওয়েল্ডার কর্মীদের বেতন ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকা
  • ইলেকট্রিশিয়ান কর্মীর বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
  • কোম্পানি ভিসা ড্রাইভার এর বেতন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
  • এসি টেকনিশিয়ান এর বেতন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
  • কুয়েতে প্লাম্বারদের বেতন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
তবে লক্ষ্য নিয়ে একটি ব্যাপার হচ্ছে কুয়েতি কিছু কোম্পানির ধরন অনুযায়ী বেতনটা কিন্তু অনেক বেশি হয়ে থাকে যেমন .১.৫ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

কুয়েত ভিসার দাম কত

কুয়েত ভিসার দাম কত এই প্রশ্নটি google এ সার্চ হওয়া প্রশ্নের ভিতরে সবচাইতে বেশি জিজ্ঞাসিত একটি প্রশ্ন যে প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে আমি আপনাদের আজ বিস্তারিত জানাবো। এই দেশটির অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়ার ফলে এই দেশটিতে বিভিন্ন দেশের লোকজন বিভিন্ন কোম্পানি বা বিভিন্ন ধরনের ভিসায় যাওয়ার জন্য উৎসুক হয়ে আছে। আর এ সকল ভিসার ধরন অনুযায়ী ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে এবং আপনি কোন এজেন্সি থেকে ভিসা আবেদন করেছেন সেই এজেন্সির ওপর নির্ভর করে বিষয়গুলির দাম। তবে আজ আমি আপনাদেরকে বাংলাদেশ থেকে কুইয়েত যাওয়ার জন্য যে ধরনের ভিসার ক্যাটাগরি রয়েছে সেগুলোর উপর নির্ভর করে ভিসার দামগুলি আমি নিম্নে তুলে ধরছিঃ
  • যদি ফ্রি ভিসায় কুয়েত যান তাহলে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা দাম পড়বে।
  • যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কুয়েত যান তাহলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা দাম পড়বে।
  • কোম্পানি ভিসায়, ভিসার দাম করবে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা।
  • কুয়েত টু টুরিস্ট ভিসার দাম পড়বে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায়

কুয়েত কোম্পানি ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আপনি জানলে কুয়েত আপনার জন্য যাওয়া খুব সহজ মনে হবে। আসলেই আপনি যে দেশেই যান না কেন সে দেশে যাওয়ার জন্য যদি আপনি ঐ দেশটিতে যাওয়ার প্রসেসিং গুলি নিজেই জেনে থাকেন তাহলে আপনার ওপর কোন ধরনের বাড়তি চাপ আসবে না বা আপনি নিজেকে আতঙ্কিত বোধ মনে করবেন না। তাহলে চলুন জেনে নেই এই দেশের কোম্পানি ভিসায় কিভাবে যাবেন। কুয়েত কোম্পানি ভিসায় মূলত দুইভাবে 
কুয়েত-ভিসা-বন্ধ-না-খোলা
যাওয়া যায় একটি হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের সরকার অনুমোদিত দূতাবাস থেকে চাকরির সংগ্রহ করে আবেদন করে যাওয়া আরেকটি হচ্ছে। আমাদের দেশে কুয়েতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেট এজেন্সি রয়েছে এজেন্সি গুলির সাথে যোগাযোগ করে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কুয়েত ভিসা পেতে পারবেন। এজেন্সির মাধ্যমে গেলে আপনাকে কোন কাজ নিজে করতে হবে না আপনার যে ধরনের কাগজপত্র গুলো লাগবে তারা আপনাদেরকে বলে দিবে এবং বাকি কাজ তারা নিজেরাই করে 

নিবে। এরপর আপনাকে কুয়েতে যাওয়ার জন্য শুধু তাদেরকে টাকা দিলে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বা বিভিন্ন কোম্পানির ভিসায় যেতে পারবেন। তবে সাবধান এজেন্সি গুলি কিন্তু অনেক সময় মানুষদের সাথে প্রতারণা করে থাকে এবং অনেক টাকা হাতিয়ে নেই। তবে আপনি যেভাবেই যান না কেন আপনাকে প্রথমে কুয়েত থেকে কাজের জন্য একটি অফার লেটার দিবে এবং আপনি চাইলে এই অফার লেটারটি এম্বাসিতে দিয়ে তারপরে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ গুলি করতে পারেন।


কুয়েতের এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

কুয়েতের এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা এ বিষয়ে জানতে হলে প্রতিনিয়ত আপডেট কারেন্সি হিসেবে বর্তমানে যে রেট চলছে সে বিষয়ে আজ আমি আপনাদের বলতে চলেছি। আসলে কুয়েতে কোন টাকার প্রচলন নেই কুয়েতের টাকাকে অর্থাৎ তাদের দেশের কারেন্সি কে বলা হয় দিনার। কাজেই কুয়েতের এক দিনার সমান বাংলাদেশের টাকার পরিমাণ হচ্ছে ৩৯৫.০৮ টাকা। কুয়েতি এক দিনার সমান বাংলাদেশি টাকার পরিমান দেখে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কুয়েতের কারেন্সি 
পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান।

অনেকেই হয়তোবা মনে করে থাকেন যে ডলার বা ইউর এর দাম সবচেয়ে বেশি কিন্তু না পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে দামি কারেন্সি হলেও কুয়েতি কারেন্সি। আর এই জন্যেই এই দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে লোকজন কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু কর্মহীন, শিক্ষিত হওয়ার পরেও অনেকে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন এরকম শিক্ষিত বেকার সহ আরো সাধারণ মানুষ যারা বেকার রয়েছে দেশের বাইরে কাজে যাওয়ার জন্য চেষ্টায় থাকেন। আর এরকম মানুষের কাজের সন্ধানে যাওয়ার জন্য কুয়েত হচ্ছে অন্যতম একটি বেশ।

হোটেল ভিসায় কুয়েতে বেতন কত

হোটেল ভিসায় কুয়েতে বেতন কত এ বিষয়ে ধারণা নেয়ার পর আশা করি আপনি হোটেল ভিসার বিষয়ে পুরোপুরি ধারণা নিতে পারবেন। যদিও কুয়েতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে তার মধ্যে কষ্ট কম এবং বেতন বেশি হিসেবে এ দেশটিতে হোটেল ভিসায় আপনি যেতে পারেন। বিশ্বের অনেক দেশেই হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর উপর পড়াশুনা রয়েছে অর্থাৎ উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে তবে চিন্তা নেই আপনি এ বিষয়ে পড়াশোনা না করলেও কুয়েতে হোটেল ভিসায় গেলে আপনি বেশ ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই দৃষ্টিতে যেহেতু

বাইরের দেশ থেকে আগত বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন ধরনের বড় বড় কোম্পানি খুলে রেখেছেন তাদের বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে অনেক বড় বড় হোটেল রয়েছে এই দেশটিতে। আবার বাইরে থেকে ঘুরতে আসা এই দেশটিতে অনেক নামিদামি ও সৌখিন ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে অনেক লাগজারিয়াস অর্থাৎ বিলাসবহুল হোটেল যে হোটেলগুলিতে ক্লিনার থেকে শুরু করে হোটেলের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রচুর লোকের চাহিদা রয়েছে। একটি হোটেলের রিসিপশ  থেকে শুরু করে ক্লিনার, রান্নাবান্নার সাহায্যকারী এবং সেফ ভিসা আপনি পাবেন। এই ভিসা গুলির কোনটায় কোন ধরনের বেতন তা আমি নিম্নে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
  • হোটেল রিসিপশনিস্ট এর বেতন ২৫০ থেকে ৫০০ দিনার পর্যন্ত।
  • হোটেল বেল বয় ভিসায় বেতন ১০০ থেকে ২০০ দিনার পর্যন্ত।
  • হোটেলের ক্লিনার ভিসায় বেতন ৭৫ থেকে ১৫০ দিনার পর্যন্ত।
  • হোটেলের রান্নাবান্নার সহায়ক ভিসা বেতন ১৫০ থেকে ৩০০ দিনার পর্যন্ত।
  • হোটেলের সেফ ভিসার বেতন ৪০০থেকে ১০০০ দিনার পর্যন্ত।
উপরে যে ধরনের পাদ অনুযায়ী বেতন গুলি বলে দেওয়া হয়েছে সেগুলি সাধারণত আপনার অভিজ্ঞতার উপরেও নির্ভর করে। আপনার অভিজ্ঞতা যদি থেকে থাকে আগে হোটেলে কাজ করার তাহলে প্রত্যেকটি কাজের ধরনের উপর আপনার বেতন আরো বেশি হতে পারে। আবার আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তারা কত টাকা বেতন ধরে দিচ্ছে সেটা হলো খুনি একটি বিষয়। তাদের হাতেও আপনার বেতনের ব্যাপারটি নির্ভর করছে।

কুয়েতে ফুড ডেলিভারি ভিসায় বেতন কত

কুয়েতে ফুড ডেলিভারি ভিসায় বেতন কত এই প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করছি। কুয়েত যেহেতু অতি ধনী একটি রাষ্ট্র এবং এদেশের লোকজন প্রচুর বিলাসী। তাই তারা দেখা গেল ম্যাক্সিমাম সময় খাওয়া-দাওয়া অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করে থাকেন এর পাশাপাশি সেই দেশগুলোতে যেহেতু প্রচুর কোম্পানি এবং বিন্যাস প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাই এ প্রতিষ্ঠানগুলো লোকজন অর্থাৎ কর্মকর্তা কর্মচারীরাও সময় বাঁচানোর জন্য খাবার অনলাইন থেকে অর্ডার করে থাকেন। আর তাই সেই দেশর ফুড ডেলিভারির

বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে। কাজেই বুঝতেই পারছেন সেই দেশে ফুড ডেলিভারি কোম্পানিগুলোর জন্য ফুড ডেলিভারি ম্যান এর চাহিদাও ব্যাপক হয়েছে। ডেলিভারি ম্যান এর অর্থ হল কোন পণ্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া। আর এটা যেহেতু ফুড ডেলিভারি ম্যান কাজেই এক্ষেত্রে এর অর্থ হবে খাদ্য পণ্য এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া, কোম্পানির কাছ থেকে খাদ্য পণ্য নিয়ে গ্রাহকদের স্থানে খাবার পৌঁছে দিয়ে আসা। এই কোম্পানিগুলোতে সেই দেশটির সরকার নির্দিষ্ট কিছু বিধি-নিষেধ বেধে দিয়েছেন। বেতন ও বিধি নিষেধ গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  • কাজে কর্মরত অবস্থায় পণ্য বহনকারী গাড়ি ড্রাইভারকে তাদের কোম্পানি কর্তৃক দিয়া ইউনিফর্ম পড়ে থাকতে হবে।
  • সে দেশের বলদিয়া থেকে অনুমোদনকৃত ডেলিভারি কোম্পানির নির্দিষ্ট যে স্টিকার থাকে তা অবশ্যই গাড়ি বা মোটরসাইকেলে থাকতে হবে।
  • আপনি যে কোম্পানিতে ফুড ডেলিভারি করতে গিয়েছেন সেই কোম্পানি করছি আকামার অধীন ভুগুপ্ত হতে হবে।
  • প্রত্যেক ডেলিভারি ম্যান দিয়ে গোল দেওয়ার কার্ড থাকতে হবে
খাদ্য পণ্য সরবরাহ করার সময় উপরিক্ত শর্তগুলির কোনটি ভঙ্গ হলে সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা সেই দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক চাইলে আপনার বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের অ্যাকশন নিতে পারে। কাজেই মনে রাখবেন খাদ্য পণ্য ডেলিভারি করার সময় এই কাগজ গুলি সব সময় সঙ্গে রাখবেন।

পারিবারিক ভিজিট ভিসায় কুয়েতে যাওয়ার নিয়ম

পারিবারিক ভিজিট ভিসায় কুয়েতে যাওয়ার নিয়ম যে নিয়মগুলি মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে আবার মাঝে মাঝে পরিবর্তন হয়। কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের পারিবারিক ভিজিট ভিসার নিয়মকানুন, কিভাবে যেতে পারবেন সেসব নিয়ম গুলি বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এ দেশের সরকার পারিবারিক ভিজিট ভিসার শর্তগুলি কিছুটা কঠিন করেছেন তবে মানতে পারলে সহজ। কুয়েত টাইমস এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতে অবস্থানরত কোন ব্যক্তি প্রতিমাসে যদি .৪০০ দিনার বেতন পায়। তবে সেই দেশটিতে তিনি চাইলে তার পরিবারের কিছু 

লোকজনকে নিতে পারবেন। পরিবারের লোকজন বলতে বাবা-মা, ভাই-বোন ও স্ত্রী সন্তানদের কুয়েতে ভিজিট ভিসায় নিয়ে যেতে পারবেন। আবার এদেশের রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত রেসিডেন্সি আফেয়ারস জেনারেল ডিপার্টমেন্ট এর দেয়া তথ্য মতে কোন প্রবাসী তার পরিবারের লোকজনকে পারিবারিক ভিজিট ভিসায় কুয়েত দেশে নিতে পারবে তবে, সেক্ষেত্রে তার মাসিক বেতন হতে হবে ৫০০ দিনার। তবে এ ভিসার মেয়াদ হবে ভিসার মেয়াদ হবে ৩০ দিনের জন্য। তবে আপনি চাইলে বাবা-মা এবং স্ত্রীকে এক মাসের পরিবর্তে তিন মাসের জন্য থাকার অনুমতি নিতে পারেন।

কুয়েত যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে

কুয়েত যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে এই বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকলে আপনার কারো কাছে ধরনা দিতে হবে না যে আপনার কুয়েত যেতে গেলে কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে বা কেউ চাইলে আপনাকে ঠকিয়ে কাগজপত্রের বিষয়ে কোন টাকা পয়সা নিতে পারবে না। আর এই সমস্ত বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা থাকা অতীবত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা এই কাগজপত্রগুলো ছাড়া আপনি কখনোই কুয়েতে যেতে পারবেন না তাই কুয়েতে যাওয়ার আগে নিম্ন বর্ণিত কাগজপত্র গুলো ঠিকঠাকভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে। তাই নিম্নে বর্ণনা করা হলো প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলোঃ
  • বৈধ এবং কমপক্ষে ছয় মাস মেয়েদের পাসপোর্ট
  • একটি জীবন বৃত্তান্ত
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • কাজের অনুমতি পত্র
  • ভিসা আবেদন পত্র
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সার্টিফিকেট যদি লাগে 
  • কাজের চুক্তি পত্র
  • যে কাজে যাচ্ছে প্রশিক্ষণ পত্র
  • কাজের অভিজ্ঞতা সার্টিফিকেট যদি থাকে
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স

কি কি সুবিধা পাবেন কুয়েতে যাওয়ার পর

কি কি সুবিধা পাবেন কুয়েতে যাওয়ার পর এ বিষয়ে আমি আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দিতে চলেছি। আপনার সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার পর কাজের ভিসা পাওয়ার পর আপনি যদি সেই দেশে যান তাহলে সেই দেশ থেকে কোম্পানি কর্তৃক বেশ কিছু সুবিধা পাবেন। সেই দেশটিতে একজন প্রবাসী মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ৭৫ ডিনার পাবেন। কুয়েতে বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত কর্মীদের কোম্পানি থেকে হোটেলে থাকার সুবিধা দেওয়া হবে এবং খাওয়ার খরচ দেয়া হবে। এমনকি আপনার মোবাইলের
কুয়েত-ভিসা-বন্ধ-না-খোলা
খরচ ও ব্যক্তিগত খরচ মেটানোর জন্য প্রতি মাসে ন্যূনতম ৩০ দিনার আপনাকে দেয়া হবে। কি ভাবছেন এ কথাগুলি শুনে আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন এরকম আরো কিছু তথ্য আমি আপনার দিতে চলেছি কুয়েত ভিসা বন্ধ না খোলা এই আর্টিকেলের ভেতর। এদেশে প্রবাসী কর্মরত কর্মীদের প্রতি বছর ইনামা অর্থাৎ রেসিডেন্সি নবায়ন বাবদ সরকারি ফি ৬০ দিনার প্রদান করা হয়। আবার এই কর্মীরা যদি কোন কোম্পানিতে কাজের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এবং যদি অন্য কোন কোম্পানিতে স্থানান্তর করার প্রয়োজন হয় তাহলে এই স্থানান্তর ফি বাবদ সরকার প্রদান করে থাকে ৩৬০ দিনার।

এ বিষয়গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে পড়ে মনে রাখতে পারেন তাহলে সেই দেশে গেলে কেউ আপনার কাছ থেকে বাড়তি কোন টাকা চাইলে আপনি প্রতিরোধ করতে পারবেন। বলতে পারবেন যে কুয়েতের সরকার আমাকে থাকা খাওয়া আমার টুকিটাকি খরচ হিসেবে কিছু টাকা এবং কোম্পানি স্থানান্তর করার সময়ও ফি বাবদ টাকা প্রদান করে থাকেন তাহলে কেন আপনি আমার কাছে এগুলি বাবদ বাড়তি টাকা চাচ্ছেন। কেউ যদি এরকম প্রতারণা করে আপনার কাছ থেকে এগুলা বলে টাকা চাই তাহলে আপনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন আপনার কফিলের শরণাপন্ন হয়ে।

কুয়েতে যাওয়ার আগে কোন বিষয়গুলিতে সাবধান থাকবেন

কুয়েতে যাওয়ার আগে কোন বিষয়গুলিতে সাবধান থাকবেন এ বিষয়গুলো সম্বন্ধে অবগত থাকতে হবে। আপনি যে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাচ্ছেন এটা আসলে নির্ভর করে আপনি যে এজেন্সি থেকে যাচ্ছেন তারা আপনাকে কতদিন মেয়াদে সে দেশে নিয়ে যাচ্ছে। আসলে কোম্পানিগুলি আপনাকে অনেক সময় বলেই না যে আপনাকে কতদিন মেয়েদের জন্য কুয়েত দেশে কর্মী ভিসা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কেননা কোম্পানি ভিসা গুলি সব সময় তিন মাস ছয় মাস বা এক বছর মেয়াদী হয়ে থাকে 

এরপর মেয়াদ গুলি ধীরে ধীরে কোম্পানি নিজেই তাদের খরচ দিয়ে আপনাকে আমি আর বাড়িয়ে দিবে। কিন্তু আপনাকে যে কোম্পানি তাদের নিজেদের পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত রবিউল থেকে খরচ করে আপনাকে আপনার কর্মের ভিসার মেয়াদ বা কোম্পানি স্থানান্তর করে দিচ্ছে গুলি আপনাকে গোপন রাখে যাতে করে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সময় অথবা কোম্পানির স্থানান্তরের সময় আপনার কাছ থেকে বাকি টাকা হাতে নিতে পারে। ভিসা বাড়ানোর সময় কোম্পানি নিজেই প্রদান করে থাকেন ৬০ 

দিনার এবং কোম্পানি পরিবর্তনের সময় ৩৬০ দিনার দিয়ে থাকেন কোম্পানি নিজেই। তাই আপনি যখন কোম্পানি কর্মী ভিসাই সে দেশে যাবেন আপনার নিজ নিজ কাজের মেয়াদ বেতন ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করবেন এবং এই চুক্তিপত্রটি আপনি আপনার নিজের কাছে এক কপি রেখে দিবেন। যাতে করে দালাল চক্র পরবর্তীতে আপনার কাছে কোন ধরনের বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিতে না পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাই আলোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url