প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা - প্রবাসী কল্যাণ ব্যাক কত টাকা লোন দেয়

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা, কিভাবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিবেন, কত টাকা লোন নিতে পারবেন এবং সুদের হার কত হবে, কিভাবে এই লোন পরিশোধ করবেন, এই লোন পাওয়ার জন্যেই বা কিভাবে আবেদন করবেন।
প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-লোন-সুবিধা
এবং আমি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব অনলাইনে আবেদন করবেন নাকি  প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে  আবেদন করতে পারবেন এবং এই লোনের জন্য কি কি ধরনের নীতিমালা রয়েছে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজ আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব।

পেজ সূচীপত্রঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা এ বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকলে আপনি হয়তো বা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে আগ্রহী হবে। এই বিষয়ে অনেকেরই জানার আগ্রহ থাকে তাই আমি আপনাদের এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরছি। আসলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের আর্থিক সংকট দূর করার জন্য এই লোনটি প্রদান করে থাকেন কাজেই এই লোনের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। মূলত প্রবাসীরা এই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকে যারা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সম্পর্কে জানেন। এবং আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক এই লোন সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই অনেকগুলো ব্যাংকেরই অনেক ধরনের লোন সুবিধা রয়েছে তবে সবথেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এই ব্যাংকটি বেশি সুবিধা দিয়ে থাক। চলুন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেই যে আপনি এ ব্যাংক থেকে লোন নিলে কি কি সুবিধা পাবেনঃ
  • কেউ যদি দেশের বাহিরে অন্য কোন দেশে চাকরির উদ্দেশ্যে অথবা যে কোন কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি দেয় আর এই মর্মে যদি কেউ আর্থিক সহযোগিতা পেতে চায় তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন দিয়ে থাকে।
  • স্বদেশ ত্যাগের পর দেশের বাহিরে অবস্থান কালীন যদি কোন প্রবাসী অর্থ সংকটে পড়ে এবং সে যদি কোন ভাবে অর্থ ম্যানেজ না করতে পারে সে সময় সে যদি এই সমস্যা থেকে উদ্ধারের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে চায় তাহলে সে লোন নিতে পারবে।
  • যদি কোন প্রবাসী দেশের বাইরে দীর্ঘদিন থাকার পর স্বদেশে ফিরে এসে নিজের কোন কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য সে নিজের অর্থ দিয়ে কর্মসংস্থান করতে না পারে তাহলে সে চাইলে এই ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারে।
  • অনেক সুযোগ সুবিধা গুলো যেখানে অন্যান্য ব্যাংকগুলো দিতে পারে না সেখানে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যায়.

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাক কত টাকা লোন দেয়

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাক কত টাকা লোন দেয় এ পর্যায়ে আমরা এ বিষয় নিয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। অনেক মানুষ আছে যারা আসলে প্রশ্ন করে থাকেন যে এই ব্যাংক কত টাকা লোন দিয়ে থাকে। আপনি যদি একজন প্রবাসী হয়ে থাকেন বা প্রবাস থেকে প্রত্যাবর্তন করে থাকেন তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা অতীব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং 

অন্যান্য ব্যাংক গুলি প্রবাসীদের জন্য অথবা প্রবাস থেকে স্বদেশে ফিরে আসা অর্থ সংকটে পড়া লোকদের জন্য লোনের ব্যবস্থা করেছেন। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ন্যূনতম ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকেন। যদিও এই লোনটি দুই ভাগে বিভক্ত যেমনঃ অভিবাসন লোন যার পরিপেক্ষিতে আপনাকে ২ বছরের জন্য ২ থেকে তিন লক্ষ টাকা দেয়া হবে। 
এবং অপরদিকে আরেকটি হচ্ছে পূর্ণবাসন লোন এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা দেয়া হবে। অনেক সময় প্রবাসীরা বা প্রকাশ থেকে ফেরত লোকজন বিভিন্ন কারণে অর্থ সংকটে পড়ে থাকেন। তাদের এই অর্থ সংকট লাঘব করার জন্য বাংলাদেশের সরকার প্রবাসী ব্যাংকের মাধ্যমে এবং অন্যান্য ব্যাংকগুলো এলোন প্রথা চালু করেছে। নিজেকে আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য অনেক আনন্দের একটি খবর।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার এবং কিভাবে এই লোন পরিশোধ করবেন তা এখন আমি আপনাদের যানাতে চলেছি। যারা এই ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন তাদের অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে কিভাবে লোন পরিশোধ করব এবং এই লোনের সুদের হার কি পরিমাণ হয়ে থাকে। আসলে আপনারা যারা প্রবাসীরা যারা এই লোনগুলি নিয়েছেন চিন্তার কোন কারণ নেই, যারা প্রবাসে আছেন আপনারা যে রেমিটেন্স পাঠান সেখান থেকেই এই ব্যাংকগুলি আপনাদের সাথে কৃত চুক্তি অনুযায়ী 

দুই বছরে প্রতি মাসে যত টাকা কিস্তি পড়বে সেই অনুসারে আপনাদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকেই শোধ করে দিতে পারবেন। আর যারা পূর্ণবাসন লোন নিয়েছেন তারা ব্যাংকের সাথে কথা বলে প্রতি মাসে আপনাদের ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে অর্জিত উপার্জন থেকে প্রতিমাসে অথবা ব্যাংকের সাথে কৃত চুক্তি অনুযায়ী কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। তবে প্রবাসী ব্যাংকের লোনের সুদের হার সম্পর্কে যদি বলতে যায় তাহলে এটা অনেকটাই কম ধরা

যেতে পারে। আর সেটা হল অভিবাসন লোনের ক্ষেত্রে ২ বছরের জন্য ৯% হারে সুদ দিতে হবে এবং পূর্ণবাসন লোন এর ক্ষেত্রে ১০ বছরের জন্য ৯% হারে সুর দিতে হবে। আপনি যদি অন্যান্য ব্যাংক থেকে বর্তমানে কোন লোন নিতে যান তাহলে এই সুদের হার তারা অনেক বেশি নিয়ে থাকবে। কাজেই বলা যেতে পারে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিলে আপনি অনেক কম সুদের হারে লোন নিয়ে লোন পরিশোধ করতে পারবেন।

প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায়

প্রবাসী লোন কিভাবে পাওয়া যায় এ বিষয়ে এখন আমি আপনাদের বিস্তারিত জানাতে চলেছি। বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা বিভিন্ন সময় অর্থ সংকটের পরে এবং তাদেরকে আর্থিক সুবিধা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এর বৈদেশিক নীতি বিভাগের প্রজ্ঞাপনকৃত জারি অনুযায়ী কিছু সুনির্দিষ্ট ব্যাংক যাদেরকে প্রবাসী কল্যাণ এর ঋণ দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সে সমস্ত ব্যাংকে নির্দিষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে যে, যে সমস্ত প্রবাসীরা বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠায় তাদের অর্থ সংকট দূর করার জন্য তাদেরকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে অর্থ সংকট দূর করতে হবে। কাজেই যে সকল বৈধ 

প্রবাসীরা বাংলাদেশে রেমিটেন্স পাঠাতে থাকছেন তাদের এই রেমিটেন্সের ওপর নির্ভর করে ঋণ পাওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। যারা প্রবাসী তারা চাইলেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক থেকে আবেদন করে এই লোনের প্রার্থী হতে পারবে এবং এভাবেই আপনি আপনার লোন পেয়ে যাবেন। এবং আপনাদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে লোনের কিস্তি ব্যাংকের নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী পরিশোধ করতে পারবেন। আমাদের দেশের দক্ষ জনশক্তি পুনর্গঠনের জন্য প্রবাসী কল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এ 

সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে প্রবাসীদের ঋণ দেওয়া হবে। দক্ষ জনশক্তির কর্মসংস্থান সংস্থা বিএমইটি এর অধীনে প্রায় ১০৪ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এর পাশাপাশি ছয়টি ইনিস্টিটিউট অফ মেরিন টেকনোলজি এর অধীনে ১১০ টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এ সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫৫ টি কর্মসংস্থান তৈরি কারী স্বল্প ও স্থায়ী মেয়াদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যার ফলে বাংলাদেশী কর্মীরা বিশ্বের অন্যান্য কর্মীদের মত দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করতে পারে। এবং বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশের কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন কিভাবে করব এই প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন তাই এ বিষয়ে আমি আপনাদের পরিষ্কার ধারণা দিতে চলেছি। ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে প্রবাসে কল্যাণ ব্যাংকের লোন পাওয়ার উপায় কাজের সাধারণত যারা প্রবাসী তারাই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক বা এদের অধীনে যে সমস্ত ব্যাংক রয়েছে তারা এই লোনটি দেওয়ার সক্ষমতা রাখেন। যে সমস্ত প্রবাসীরা বাংলাদেশের রেমিটেন্স পাঠায় মূলত তারাই এই লোন পাওয়ার উপযুক্ত। 
প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-লোন-সুবিধা
আরে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে লোন নিতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি রয়েছে। অনেক প্রবাসীরাই অনলাইনে খোঁজাখুঁজি করে যে কিভাবে অনলাইনে লোন পাওয়া যায় এবং কিভাবে অনলাইনে লোনের জন্য আবেদন করবে। কেননা বর্তমান যুগ হচ্ছে সবকিছুই অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে আপনি চাইলে যে কোন কিছুই অনলাইনে করতে পারেন যেমন অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠানো যায় তবে যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থাকে। সারা দুনিয়ায় যেহেতু সবকিছুই 

অনলাইনে হচ্ছে তাই আমাদের প্রবাসীরাও মনে করছেন যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকেও অনলাইনে আবেদন করে লোন নিতে পারবেন। তাদের জন্য সাবধানতা স্বরূপ বলে দিতে চাই যে আপনি অনলাইনে আবেদন করে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যেতে হবে অথবা নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক যারা এই লোন দিয়ে থাকে সেই ব্যাংকের নিকট যেতে হবে আপনার বৈধ কাগজপত্র নিয।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন কি

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন কি এই প্রশ্নটি সবচাইতে বেশি জিজ্ঞাসিত একটি প্রশ্ন আর তাই আমি এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কিছু স্বচ্ছ ধারণা দিতে চলেছে। প্রায় বিশ্বের সমস্ত দেশ থেকেই লোকজন নিজেদের আর্থিক অবস্থাকে উন্নত করার জন্য তাদের দেশর থেকে উন্নত দেশে পাড়ি দেওয়ার স্বপ্ন দেখে। ঠিক তেমনি আমাদের দেশের লোকজনও বিশেষ করে যারা বেকার তারা দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়ে নিজেদের আর্থিক অবস্থাকে উন্নত করতে চায়। আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকজন যারা গ্রামে থাকে এবং যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল

তারা দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা যোগান দিতে গিয়ে অনেক সময় নিজেদের গরু ছাগল এমনকি নিজেদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল ভিটামাটি টুকুও বিক্রি করে দেয়। অথবা অনেকেই নিজেদের এলাকার বিত্তশালী লোকজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে থাকেন। এই পরিস্থিতি নিরেশন করার জন্য আমাদের দেশের যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক রয়েছে তারা আপনার বাইরের দেশে কর্ম ভিসার পরিবর্তে আপনাকে লোন দিয়ে থাকেন অতি অল্প সুদের হারে। আর এই পদ্ধতিতে লোন দেয়ার প্রক্রিয়াটিকেই মূলত বলা হয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে কি কি লাগে এই প্রশ্ন উত্তরে আমি আপনাদের জন্য বেশ কিছু নির্ভুল ও উপযুক্ত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। এই ব্যাংকটি সাধারণত দুই ধরনের ঋণ দিয়ে থাকেন যারা দেশের বাইরে থাকে এবং রেমিটেন্স পাঠায় আমাদের দেশে। এই দুই ধরনের ঋণের ভিতরে আপনাকে আগে ঠিক করতে হবে যে আপনি কোন ধরনের ঋণ পাওয়ার উপযুক্ত এবং কোন ধরনের ঋণের জন্য আপনি আবেদন করতে যাচ্ছেন সেই অনুযায়ী আপনাকে কাগজপত্র লাগবে। যেহেতু লোনের ধরন দুই ধরনের তাই দুই ধরনের প্রার্থীকে দুই ধরনের কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় যদিও  কিছুটা পরিবর্তন আছে 
প্রবাসী-কল্যাণ-ব্যাংক-লোন-সুবিধা
কাগজপত্র গুলিতে কাজেই চলুন দেখে নেই কোন ধরনের লোনের জন্য কোন ধরনের প্রয়োজন হতে হয়।
  • অভিবাসন লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
    • বৈধ ও কমপক্ষে ছয় মাস মেয়েদের পাসপোর্ট এর ফটোকপি
    • কর্মী ভিসার ফটোকপি
    • জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
    • দুইজন জামিনদার এবং তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দুই কপি ছবি।
    • ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
    • প্রবাসে কল্যাণ ব্যাংকে একটি একাউন্ট
    • বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
    • জামিনদারের ব্যাংক একাউন্ট নম্বর এবং তার ব্যাংকের তিনটি চেকের পাতা

  • পূর্ণবাসন লোনের জন্য আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
    • পাসপোর্ট সাইজের তিন কপি ছবি
    • জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
    • জামিনদারের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
    • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জামিনদারের
    • জামানত হিজাবের সম্পত্তির ডকুমেন্টস এর ফটোকপি
    • নাগরিক সনদপত্র
    • আবেদনকারী ব্যক্তির বিদেশ থেকে প্রত্যাগমন সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টস
    • ব্যক্তিগত প্রকল্পে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অর্থের প্রমাণপত্র
    • প্রকল্পের স্থান ভাড়াবারিজ এর চুক্তিপত্রের ফটোকপি
    • প্রকল্পের বিবরণ সহ প্রকল্পের ঠিকানা দুই বছরের আয় ব্যয় এর হিসাবসহ
    • বিদেশে গমন রত কাজের উপর প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার সার্টিফিকেট
    • নিজের ব্যাংকের তিনটি চেকের পাতা সহ ব্যাংক হিসেবে বিবরণী

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয়

কোন কোন ব্যাংক প্রবাসী লোন দেয় এ বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা না থাকলে আপনি লোন পাওয়ার জন্য কোন ভাবে আবেদন করতে পারবেন না। কাজেই চলুন জেনে নেয়া যাক যে কোন কোন ব্যাংকগুলি প্রবাসী কল্যাণ লোন দিয়ে থাকেন। আমাদের দেশে অনেক বড় বড় ব্যাংক আছে যেগুলোর অনুমতি নেই এই লোন দেয়ার জন্য তবে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক নামে একটি ব্যাংক রয়েছে এবং এর পাশাপাশি আরো কিছু শুনিনির্দিষ্ট ব্যাংক রয়েছে যেগুলো এই লোনটি দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। প্রবাসীদের 

কথা চিন্তা করে তাদের আর্থিক সংকট দূর করার জন্য প্রবাসী লোন দেয়া হয় যাতে করে তারা একটু বেশি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। নিম্নলিখিত বেঙ্গলি এই লোনগুলো দিয়ে থাকে জেগুলো হলোঃ

  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি চাইলে খুব সহজেই এই লোনটি নিতে পারেন। আপনি নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র জমা দিলে তারা আপনাকে এই লোন ১০ দিনের মধ্যেই দিবে বলে সিদ্ধান্ত ননে।
  • অগ্রণী ব্যাংকের এই প্রবাসে কল্যাণ লোন দেয়ার অনুমতি রয়েছে এ ব্যাংকের এই প্রকল্পটির নাম হচ্ছে প্রবাসী ঋণ প্রকল্প। এই ব্যাংকটি ৩ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দিয়ে থাকে।.১৫ -১৮ মাশ কিস্তিতে দেড় বছরের জন্য ঋণ পরিশোধ করতে সুযোগ দেই।
  • পূবালী ব্যাংক যে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী লোন আপনি নিতে পারবেন। এই ব্যাংকটির এ রিং দেওয়ার প্রকল্পের নাম হচ্ছে নন রেসিডেন্ট ক্রেডিট স্কিম। এই ব্যাংকটি সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা ঋণ দিয়ে থাকেন। আর রিং পরিশোধের মেয়াদ হচ্ছে দুই বছর।
  • বাংলাদেশের আরেকটি ব্যাংক এই ঋণটিতে সেটি হল সোনালী ব্যাংক যে ব্যাংকটি অতি জনপ্রিয় একটি ব্যাংক। এই ব্যাংকের এই প্রকল্পের নাম দিয়েছে কর্মসংস্থান ঋণ প্রকল্প
  • এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক যে ব্যাংকটি প্রবাসীদের সুযোগ সুবিধা হিসেবে এই প্রকল্পটি চালু করেছে। এবং তাদের এই প্রকল্পের নাম হচ্ছে এনআরবি মাইগ্রেশন। এবং এই ব্যাংকটি সর্বোচ্চ প্রোটিনের পরিমাণ ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে আর সুদের পরিমাণ হচ্ছে ১৪ শতাংশ।

শেষ কথাঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা

পরশেষে বলা যায় আমাদের দেশের সর্বসাধারণ লোকজনের কথা চিন্তা করে আমাদের দেশ এর সংশ্লিষ্ট পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা আমাদের দেশের লোকজনকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকেন। এবং তাদেরকে দক্ষ ও কাজের প্রতি অভিজ্ঞ ব্যক্তি বানিয়ে দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকেন যেটি সত্যি প্রশংসনীয়। আর এই কর্মীরা যখন দেশের বাইরে থেকে আমাদের দেশে রেমিটেন্স পাঠায় এই রেমিটেন্সের উপর ভিত্তি করে তাদেরকে 

প্রবাসী লোনের ব্যবস্থা করেছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং আরো নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংক। তবে এদের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকটি সবচাইতে কম সুদের হারের ওপর ঋণ দিয়ে থাকেন আর এটি একটি প্রশংসনীয় বিষয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা এই আর্টিকেলটি যদি আপনারা পুরোপুরি করে থাকেন তাহলে আশা করি প্রবাসী কল্যাণ থেকে কিভাবে লোন নিতে হয় এবং কারা কারা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন এ বিষয়ে আপনারা একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শিক্ষাই আলোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url