১৫টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময়
অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে
হবে। মোবাইলের ভালো কর্ম ক্ষমতা নির্ভর করে দীর্ঘ সময় চলা ব্যাটারি, স্টোরেজ,
ভালো ক্যামেরা এবং ভালো প্রসেসর এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুব
ভালোভাবে
যাচাই-বাছাই করে মোবাইল কিনতে হবে । তা না হলে আপনি টাকা দিয়ে মোবাইল কিনবেন
ঠিকই কিন্তু সেটি কিনে ব্যবহার করে মজা পাবেন না। নতুন মোবাইল কিনতে যাওয়ার
সময় আপনাকে খুবই গুরুত্বের সাথে এই পোস্টে বর্ণিত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
পেজ সূচিপত্রঃ ১৫টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময়
- কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময়
- যে বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময়
- অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের প্রসেসর বা RAM কেমন হওয়া উচিত
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য কেমন ক্যামেরা হলে ভালো হয়
- ব্যাটারি এবং চার্জিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কেমন হওয়া উচিত
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনের র্যাম এবং স্টোরেজ কেমন হওয়া উচিত
- অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট এর প্রয়োজনীয়তা
- ডিসপ্লে এবং রেজোলিউশন কেমন হওয়া উচিত
- মোবাইলের ডিজাইন যেমন হলে ভালো হয়
- কানেক্টিভিটি ফিচার গুলি কি কি থাকা উচিত
- নিরাপত্তা ফিচার গুলি যেমন হলে ভালো হয়
- জনপ্রিয় মডেল ও ব্র্যান্ড নির্বাচন করা
- তুলনামূলক বাজেট নির্বাচন করতে হবে
- কাস্টমার সাপোর্ট ও মোবাইলের ওয়ারেন্টি
- মোবাইল কেনার পর কিভাবে সেট আপ করবেন
- লেখকের মন্তব্যঃ ১৫টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময়
কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময়
কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময় এই বিষয়টি
মোবাইল কিনতে যাওয়ার সময়ে আপনার মাথায় রাখতে হবে। এবং এ বিষয়ে আপনার
পর্যাপ্ত ধারণা থাকলে আপনি নিজে যেমন মোবাইল কেনার সময় সঠিক মোবাইলটি কিনতে
পারবেন ঠিক তেমনি অন্য কাউকেও মোবাইল কেনার জন্য সঠিক ধারণা দিতে সক্ষম হবেন।
মোবাইলের সর্বপ্রথম যে বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে মোবাইলের প্রসেসর।
কেননা এই প্রসেসরের উপরে নির্ভর করবে মোবাইলের ভালো কার্যক্ষমতা অর্থাৎ
মোবাইল একসাথে কতগুলো কাজ করার সক্ষমতা রাখেবে বা মোবাইল হ্যাং করবে কি
না। এরপর আপনি সেই মোবাইলের ব্যাটারি নিয়ে একটু পর্যালোচনা করার চেষ্টা করবেন
এবং চার্জিং বিষয়টি নিয়েও চিন্তাভাবনা করবেন। যদি আপনি মনে করেন বিভিন্ন
প্রাকৃতিক ছবি বা আপনার
নিজেরই ছবি তুলে সেগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করবেন। আপনি যদি মনে
করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভ ভিডিও দিবেন বা ছোট ছোট ভিডিও অথবা রিলস
বানিয়ে আপলোড করবেন। তাহলে ক্যামেরার বিষয়টিও আপনাকে বেশ গুরুত্ব দিতে হবে।
কেননা ভালো মানের ক্যামেরা ছাড়া আপনি ভালো মানের ছবি পাবেন। এর পাশাপাশি
মোবাইলের স্টোরেজের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করতে হবে। কারণ এই স্টোরেজ
হলো সেই জায়গা যেখানে আপনার শখের তোলা ছবি এবং বানানো ভিডিওগুলো যে জায়গায়
থাকবে সেটি হল স্টোরেজ। আবার র্যাম এর বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া উচিত কেননা এই
র্যামটি আপনার মোবাইলকে একসাথে অনেকগুলো কাজ করা সত্ত্বেও বেশ গতি সম্পন্ন করে
তুলবে। এন্ড্রয়েড মোবাইল কেনার সময় এরকম বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনা
করে মোবাইল কিনতে হবে।
যে বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময়
যে বৈশিষ্ট্যগুলো খেয়াল করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার
সময় এ বিষয়গুলো নিয়ে এখন আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। মোবাইলের
অত্যাধুনিক ফিচার অর্থাৎ বৈশিষ্ট্য সমূহ যা একটি মোবাইলকে অধিক বেশি কার্যক্রম,
আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাজে আপনি বুঝতেই
পারছেন যে এই মোবাইলের এই বৈশিষ্ট্যগুলো অর্থাৎ ফিউচারগুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে
হবে এরপর মোবাইলের দোকানে যেতে হবে। এ বিষয়গুলো সম্বন্ধে আপনি যদি বিস্তারিত
না জানেন তাহলে মোবাইলের দোকানে গেলে মোবাইল দোকানদার আপনাকে ভুলভাল বুঝিয়ে
যেমন তেমন একটি মোবাইল ধরে দিবে। তাহলে চলুন জেনে নেই যেসব বৈশিষ্ট্যগুলো বা
ফিচারগুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণঃ
আরো পড়ুনঃ কোন কাজের জন্য কোন ধরনের ল্যাপটপ কিনবেন
- বাজেট নির্ধারণ করাঃ অর্থাৎ আপনি যে মোবাইল কিনতে যাচ্ছেন সেজন্য আপনাকে সর্বপ্রথম বাজেট অর্থাৎ মোবাইলের মূল্যটা নির্ধারণ করতে হবে। কেননা বাজারে বিভিন্ন ধরনের বাজেটের বা মূল্যের মোবাইল পাওয়া যায়। আর এই বাজেট অনুযায়ী আপনার মোবাইলের ফিচার এর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবেন। আপনার বাজেট যদি তুলনামূলক মিডিল পর্যায়ে থাকে তাহলে আপনি খুব ভালো বৈশিষ্ট্যের মোবাইল বা ফিচারের মোবাইল কিনতে পারবেন।
- ডিসপ্লেঃ মোবাইলের ডিসপ্লে এমন একটি জিনিস যেটির দিকে আপনাকে সব সময় তাকিয়ে থাকতেই হবে কাজেই ডিসপ্লেটি যদি ভালো হয় আপনার মোবাইলের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে বিরক্ত বোধ হবে না। অর্থাৎ ডিসপ্লের সাইজ রেজুলেশন এবং এটির প্যানেলের ধরন ( AMOLED, OLED, LCD ) এর মত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলো বিবেচনা করতে হবে।
- RAM বা প্রসেসরঃ মোবাইলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রসেসরটি হচ্ছে অন্যতম। যারা মোবাইল সম্বন্ধে বেশি ভালো বুঝি তারা সর্বপ্রথম মোবাইলের প্রসেসর সম্পর্কে জানতে চাই। এবং বর্তমানে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী প্রসেসর হচ্ছে ( Qualcom, Snapdragon, Media Tek ) এবং RAM নিতে হবে কমপক্ষে 6 GB, 8 GB বা এর চেয়ে আরও বেশি হলে ভালো হয়। এই শক্তিশালী প্রসেসর আপনার ফোনকে অধিক গতি সম্পন্ন করতে সক্ষম।
- ROM বা স্টোরেজঃ আপনার ফোনে যদি বেশি পরিমাণে স্টোরেজ না থাকে তাহলে আপনি আপনার পছন্দমত গেমস বা সফটওয়্যার আপনার ফোনে ইন্সটল করতে পারবেন না। এমনকি আপনি ইচ্ছামত ছবি এবং ভিডিও বানাতে পারবেন না। আর এইগুলো যদি আপনি করতে চান তাহলে আপনার ফোনের স্টোরেজ বা ROM বেশি পরিমাণে থাকতে হবে। আপনার ফোনের স্টোরেজ যদি ৬৮ GB বা 128 GB কমপক্ষে হতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার ফোনের স্টোরেজ যেন 128 GB এর কমে না হয় চেষ্টা করবেন এর বেশি নেওয়ার জন্য।
- ক্যামেরা কোয়ালিটিঃ বর্তমান বিশ্বে সবার হাতে একটি ফোন থাকে তবে কিছু সংখ্যক মানুষ তাদের মুঠোফোন দিয়ে প্রত্যেকটি মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে চাই। আর আপনি যদি এরকম সৌখিন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফোন কেনার সময় ক্যামেরা কোয়ালিটি খুব ভালো দেখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন আপনার ক্যামেরা কোয়ালিটি কমপক্ষে ৫০ মেগাপিক্সেল হয় সামনের ক্যামেরা। আর পেছনের ক্যামেরা যেন কমপক্ষে ২০ মেগাপিক্সেল হয় এবং এর চেয়ে বেশি নিতে পারলে আরো ভালো হয়।
- অপারেটিং সিস্টেম এবং আপডেটঃ আপনি যে ফোনটি কিনছেন সেটি যেন অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন হয়। এবং আপনি যে সময় ফোনটি কিনবেন সে সময় যেন android ভার্সনের লেটেস্ট আপডেটের হয়। এবং সেই ফোনটি অটোমেটিক অপারেটিং সিস্টেম আপডেট নিবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। এবং অটোমেটিক অপারেটিং সিস্টেম আপডেট নিলে কোন ধরনের সমস্যা হবে কিনা সেটিও নিশ্চিত হতে হবে কেননা অনেক সময় এই আপডেট নিলে ফোনের স্ক্রিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অটোমেটিক অপারেটিং সিস্টেম আপডেট চালু থাকলে আপনার ফোনটি পরবর্তীতে সময়ের সাথে সাথে কোম্পানি থেকেই নতুন ফিচার এবং বিভিন্ন বাগ জনিত সমস্যার সমাধান অটোমেটিক পেয়ে যাবে।
- বিল্ড কোয়ালিটিঃ প্রত্যেকটি ফোন কোম্পানি থেকে ফোন তৈরি করা সম্পূর্ণ হলে সেই ফোনটিকে বিভিন্ন উচ্চতা থেকে ফেলে টেস্ট করা হয় যে ফোনটির কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। এবং এর ডিজাইন গত কোন ধরনের সমস্যা আছে কিনা আর সেই ফোনের গ্লাস ভেতরের পার্টস পুরো মোবাইলের সরঞ্জাম ঠিক আছে কিনা তা বিল্ড কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে।
- ব্রান্ড এবং সার্ভিস সেন্টারঃ আপনি যে ফোনটি কিনছেন সেই ফোনটির ব্র্যান্ড যেন খুবই ভালো মানের ব্র্যান্ড হয় এবং এর পাশাপাশি এই ব্র্যান্ডের সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা তাও জানতে হবে।
- কানেকশন ফিচারঃ আপনি যে ফোনটি কিনছেন সেই ফোনের বিভিন্ন ধরনের কানেকশন ফিচারগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ সহকারে দেখতে হবে যেমনঃ নেট কানেকশন- 4G/5G/6G, Wi-Fi, Bluetooth, NFC ।
- সিকিউরিটি সিস্টেমঃ প্রত্যেকটি ফোনের সিকিউরিটি সিস্টেম থাকে এক এক ফোনের এক এক রকম থাকে তবে আপনাকে খেয়াল করতে হবে আপনি যেটি কিনছেন সেটাই যেন ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস লক সিস্টেম এবং আরো কিছু সিকিউরিটি সফটওয়্যার আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।
- অডিও কোয়ালিটিঃ আপনার ফোনে ডুয়েল স্টেরিও স্পিকার আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। কেননা বর্তমানে সবচাইতে ভালো কথা বলার জন্য ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার সর্বাধিক আপডেটেড। এবং আপনার ফোনে যখন কথা বলবেন তখন চারপাশের শব্দকে আপনার অপর প্রান্তে থাকা মানুষকে শুনতে দেবে না এই সিস্টেম আছে কিনা তা দেখতে হবে।
- রিভিউ ও রেটিংঃ আপনি যে ফোনটি কিনছেন সেটি বর্তমান সময়ে অনলাইনে কি রিভিউ দিচ্ছে সে বিষয়ে একটু খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যদি একটু কষ্ট করে অনলাইনে রেটিং টি দেখেন তাহলে আপনার ফোন কেনার জন্য আপনাকে খুব বেশি সাহায্য করবে।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের প্রসেসর বা RAM কেমন হওয়া উচিত
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের প্রসেসর বা RAM কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে আপনাকে যথেষ্ট
ভালো ধারণা রাখতে হবে। সারা বিশ্বে বর্তমান সময়ে Qualcom, Snapdragon, Media
Tek এমনকি Exynos নামক প্রসেসর গুলি সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত
প্রসেসর। আমাদের মানুষের ভেতরে যেমন সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হার্ট ঠিক তেমনি
মোবাইলের হার্ট হচ্ছে মোবাইলের প্রসেসর। কাজে বুঝতে পারছেন এই প্রসেসরটি
যদি আপনি ভালো মানের না নিন তাহলে আপনি ফোন ব্যবহার করে মজা পাবেন না। কেননা
আপনার প্রসেসর যদি ভাল মানের না হয় তাহলে আপনার ফোন ধীর গতি সম্পন্ন হয়ে
যাবে। যেখানে বর্তমান সময়ে মানুষ চায় যে তাদের
প্রত্যেকটি কাজ খুব দ্রুতগতি সম্পন্ন করবে। সেখানে আপনার ফোন যদি দুর্বল
প্রসেসরের কারণে ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে পড়ে তাহলে সেই ফোন আপনাকে বর্তমান আধুনিক
যুগে সবার সামনে লজ্জায় ফেলতে পারে। আপনার ফোনের প্রসেসর যদি ভালো মানের হয়
তাহলে আপনি একসাথে অনেকগুলো কাজ করার জন্য যেমন সুবিধা পাবে ঠিক তেমনি আপনার
ফোনে অনেক ধরনের সফটওয়্যার দিয়ে একসাথে কাজ করার দিক দিয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন
কাজ করতে পারবেন। কাজেই ফোন কেনার সময় অবশ্যই ভালো মানের প্রসেসর নেওয়ার জন্য
চেষ্টা করবেন। যদিও বর্তমানে Snapdragon প্রসেসরটি খুব বেশি জনপ্রিয়।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য কেমন ক্যামেরা হলে ভালো হয়
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য কেমন ক্যামেরা হলে ভালো হয় তা আপনাকে গুরুত্ব
দিতে হবে যদি আপনি ছবি তোলা এবং ভিডিও করার জন্য খুব বেশি সৌখিন হয়ে থাকবে।
যদিও বর্তমান সময়ে সবাই চায় যে তাদের ফোনের ক্যামেরাটি ভালো হোক কেননা
বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই তাদের মুঠোফোন দিয়ে প্রত্যেকটা মুহূর্তের ছবি
বা ভিডিও ক্যাপচার করে
ফেসবুক বা
এরকম আরো বিভিন্ন ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে। বিভিন্ন শ্রেণী
পেশার মানুষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে
বা বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানে অনেক ধরনের ওকেশন ভিত্তিক প্রাতিষ্ঠানিক
প্রোগ্রাম গুলোর ছবি ও ভিডিও ক্যাপচার করে তাদের ফোনে রাখার চেষ্টা করে। আর
আপনার ফোনের ক্যামেরা যদি ভালো না হয় তাহলে ছবি তুলে বা ভিডিও করে কোন লাভ হবে
না অর্থাৎ সেগুলো ভালো দেখাবে না। আপনার ফোনের ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি
হবে আপনি তত ভালো কোয়ালিটির ছবি বা ভিডিও পাবেন। আর এই জন্য আপনাকে ক্যামেরার
মেগাপিক্সেল,
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে উদ্ধারের উপায়
অ্যাপাচার, সেন্সরের ভালো মান এবং ভালো মানের ইমেজ প্রসেসিং সক্ষমতা থাকা
জরুরি। ক্যামেরার ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, HDR ফিচার এবং নাইটেঙ্গেল মোড
এগুলো দেখতে হবে। এক কথায় বলতে গেলে আপনার ফোনের মেইন ক্যামেরা কমপক্ষে ৫০
মেগাপিক্সেল এবং সেকেন্ডারি ক্যামেরা অর্থাৎ সেলফি ক্যামেরাটি ১৫ থেকে ২০
মেগাপিক্সজেলের মধ্যে হতে হবে তাহলে আপনি ভালো মানের ছবি ও ভিডিও করতে আনন্দ বা
আগ্রহ প্রকাশ করবেন।
ব্যাটারি এবং চার্জিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কেমন হওয়া উচিত
ব্যাটারি এবং চার্জিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কেমন হওয়া উচিত এটা
নিয়ে ভাবছেন? এ বিষয় নিয়ে আসলে ভাববারই কথা কেন আপনি যখন একটি ভালো মানের
প্রসেসর এবং ক্যামেরা সম্পন্ন মোবাইল কিনছেন এর মানে হচ্ছে আপনি ফোনটিকে
সারাদিনে অনেক ভাবে ইউজ করবেন। আপনি অসংখ্য ছবি তুলবেন, ফোন কলে কথা বলবেন এর
পাশাপাশি মোবাইলে গান বা ভিডিও দেখে সময় পার করতে চাইবেন। কাজে এতগুলো কাজ যদি
আপনি সারাদিনে করতে চান তাহলে আপনার ফোনের ব্যাটারি
যদি ভালো মানের না হয় এবং আপনার ফোনের চার্জিং সিস্টেম যদি ভালো না হয় তাহলে
আপনি আপনার ফোন বেশিক্ষণ ব্যবহার করতে পারবেন না। সারা বিশ্বে বর্তমানে
৫০০০ এম্পায়ার ব্যাটারি এবং ৬০০০ এম্পিয়ার ব্যাটারির মোবাইল ফোন আপনাকে
কিনতেই হবে যদি আপনি মোবাইলটি দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যবহার করতে চান। আপনি সারাদিনে
ফোনে কথা বলে, ভিডিও দেখে, গান শুনে অথবা গেম খেলে সময় ব্যয় করেন। আর যদি
আপনার ফোনের চার্জ একদম শেষের দিকে চলে যায় এবং আপনি যদি
আশেপাশে কোথাও থেকে ফোন চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে না পারেন তাহলে আপনার
ফোনের একটি সিস্টেম আছে আর সেটি হচ্ছে পাওয়ার সেভিংস সিস্টেম। এই পাওয়ার
সেভিং সিস্টেম অন করার পর ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে আপনার ফোনকে অনেকক্ষণ অন
রাখতে পারবেন এবং ইমারজেন্সি কন্টাক করতে পারবেন। আর আপনার ফোনের চার্জিং
সিস্টেম যদি দ্রুত গতি সম্পন্ন হয় তাহলে আপনি যখন আপনার ফোন চার্জে দিবেন তখন
ফোনটি অধিক দ্রুত সময়ে চার্জ হয়ে যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের র্যাম এবং স্টোরেজ কেমন হওয়া উচিত
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের র্যাম এবং স্টোরেজ কেমন হওয়া উচিত এ বিষয়ে এখন আমি
আপনাদের আরো বিস্তারিত ধারণা দিতে চলেছি। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের প্রসেসর এর
পাশাপাশি র্যাম ও স্টোরেজ এই বিষয়গুলি দেখা খুবই অপরিহার্য একটি বিষয়।
কেননা আপনার ফোনের প্রসেসর যদি ভালো হয় আর র্যাম যদি কম হয় এবং
স্টোরেজ যদি কম হয় তাহলে আপনার ফোন আপনার জন্য বর্তমান সময়ে অনুপযোগী বলে
গণ্য হবে। আমি আপনাকে বলেছি র্যাম হচ্ছে মোবাইলের প্রাণশক্তির মতো। আর
আপনার মোবাইলের প্রাণশক্তি যদি কম হয় অর্থাৎ কার্যক্ষমতা শক্তি যদি কম হয়
তাহলে আপনার ফোনে যখন আপনি দ্রুত ব্যবহার করতে যাবেন এক সফটওয়্যার থেকে আরেক
সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন তখন সেটি দ্রুত গতি সম্পন্ন কাজ করবে না। অর্থাৎ
আপনাকে আপনার ফোনের র্যাম কমপক্ষে ৮ GB অথবা তার বেশি নিতে হবে । আর
স্টোরেজ যদি বেশি না থাকে তাহলে আপনি আপনার ফোনে অধিক পরিমাণে ডাটা সংগ্রহ করতে
পারবেন না। অর্থাৎ স্টোরেজ যদি কম হয় তাহলে আপনি আপনার ইচ্ছামত ছবি তুলতে
পারবেন না ইচ্ছামত
ভিডিও করতে পারবেন না। এমনকি ইচ্ছা মত বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ও গেমস আপনার
ফোনে রাখতে পারবেন না। কেননা আপনি যদি এগুলো আপনার ফোনে বেশি করে রাখতে চান
তাহলে ফোনের স্টোরেজের প্রয়োজন হবে বেশি পরিমাণে। কাজে বুঝতে পারছেন যে বেশি
পরিমাণে স্টোরেজ থাকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে ফোনটি নিবেন সেটা
স্টোরেজ যেন কমপক্ষে ১২৮ GB জিবি হয় আর আপনি যে সময় কিনবেন সেই সময় যদি
এর চেয়ে বেশি পান তাহলে সেটা অবশ্যই নিবেন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট এর প্রয়োজনীয়তা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট এর প্রয়োজনীয়তা অধিক গুরুত্বপূর্ণ
একটি বিষয়। কেননা কিছু মাস পরপরই মোবাইল কোম্পানির অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট
করে থাকে। কেন একটা কোম্পানি যখন কোন একটি অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে ফোন বাজারজাত
করে তখন সেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে সেগুলো সমস্যার সমাধান করে
একটি আপডেটেড অপারেটিং সিস্টেম তারা তাদের সার্ভারে দিয়ে রাখে। আর ওই ফোনটি
তাদের এ সার্ভারের সাথে অটো আপডেটের
নামক একটি সেটিংসের মাধ্যমে কানেক্ট করে থাকে আপনি যদি আপনার সেটিং এ গিয়ে
আপডেট অপশনে ক্লিক করেন তাহলে তারা যদি নতুন কোন আপডেট দিয়ে থাকে তাহলে আপনার
ফোন অটোমেটিক সেটা নিয়ে নিবেন। আর অটোমেটিক আপডেট নেয়ার পরে আপনার ফোনের
বিভিন্ন ধরনের ফিচারগুলো আরো উন্নত হয়ে যায় যেমন ভিডিও কোয়ালিটি ও পিকচার
কোয়ালিটি সহ আপনার ফোনে বিভিন্ন সফটওয়্যার এর গুণগত মান উন্নত হতে পারে। এবং
এই আপডেটের ফলে আপনার মোবাইলের
ভাইরাসজনিত সমস্যা গুলো সমাধান হয়ে যেতে পারে। আর এর মাধ্যমে আপনার ফোনের গতি
বৃদ্ধি পেয়ে যায় আর ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার সংক্রমণ থেকে বেঁচে যেতে পারে।
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট এর ফলে আপনার মোবাইলের লং লাইফ ব্যাটারি নিশ্চয়তা করে
অর্থাৎ এটির ফলে আপনার সামগ্রিক মোবাইলে ব্যাপক একটা পরিবর্তন দেখা দেয় যা
নতুন সফটওয়্যার এর সাথে আপনার ফোনের পুরো সিস্টেমটাই আপডেট হয়ে যায়। তাই
যখনই আপনার ফোনে আপডেট নামা অপশনে আপডেট করার জন্য একটি চিহ্ন চলে আসবে
তখন আপনি আপনার ফোনকে আপডেট করে নেবেন।
ডিসপ্লে এবং রেজোলিউশন কেমন হওয়া উচিত
ডিসপ্লে এবং রেজোলিউশন কেমন হওয়া উচিত এটা নিয়ে ভাবছেন? চলুন তাহলে
আপনাদেরকে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য দেই। আপনি যদি একটি ভালো মানের ফোন
কিনতে চান এর মানে নিশ্চয়ই আপনি এমন একটি ফোন কিনতে চাচ্ছেন যে ফোনটি আপনি
দিনের অনেকটা সময় ফোনের দিকে তাকিয়ে ফোনকে ব্যবহার করে ভিডিও দেখে বা গেমস
খেলে অথবা ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনার প্রত্যেকটি সময়কে আনন্দঘন
মুহূর্তে পরিণত করতে চান। অনেকেই আছেন যারা দিনের সিংহভাগ সময়েই ফোন
ব্যবহার করে কাটিয়ে দেন। আপনার ফোনের ডিসপ্লের কোয়ালিটি এবং ভালো
রেজোলিউশন না হয় তাহলে আপনি অনেকক্ষণ ফোন ব্যবহার করলে আপনার চোখ ও
মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। যদিও বাজারে বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লে যুক্ত মোবাইল
পাওয়া যায় যেমন LCD, AMOLED, OLED ডিসপ্লে পাওয়া যায় তবে এর মধ্যে সবচেয়ে
ভালো ডিসপ্লে হচ্ছে AMOLED ডিসপ্লে। কেননা এই AMOLED ডিসপ্লেটি প্রত্যেকটি
কালার সুস্পষ্ট ভাবে প্রদর্শন করতে সক্ষম। আর সুস্পষ্টভাবে প্রদর্শিত সবগুলা
কালার আপনি যখন দেখতে পাবেন তখন অনেকক্ষণ ফোন ব্যবহার করলেও আপনার চোখ ও
ব্রেইনের কোন ক্ষতি হবে না। আর রেজোলিউশন এটাও কিন্তু আপনার সুস্পষ্ট ছবি
ও ভিডিও প্রদর্শন
আরো পড়ুনঃ নতুন স্মার্টফোন কেনার পরে ৭টি করণীয় কাজ
করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কাজে আপনার ডিসপ্লে যতই ভালো হোক
রেজোলিউশন যদি ভালো না হয় তাহলে আপনি স্পষ্ট কোন কিছু দেখতে পাবেন না আর
এজন্য রেজলিউশন ( 1080p) পিক্সেল হলে এটিকে উন্নত মানের
রেজলিউশন মনে করা হয়। এটি আপনার সারাদিন ব্যবহার করলে চোখের জন্য কোন
ক্ষতি হবে না বরঞ্চ এটি আপনার চোখের জন্য আরামদায় হবে। আবার আপনি যদি মনে করেন
যে আরো স্বচ্ছ ছবি ও ভিডিও দেখতে চান তাহলে (1440p) অথবা 4k
রেজোলিউশন নির্ধারণ করতে পারেন।
মোবাইলের ডিজাইন যেমন হলে ভালো হয়
মোবাইলের ডিজাইন যেমন হলে ভালো হয় অর্থাৎ আপনার মোবাইলের ডিজাইনটি এমন কারিগরী
হবে যেটি আপনার ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী হবে। অর্থাৎ মোবাইলের ডিজাইনের উপর
নির্ভর করবে ফোনটি আপনি হাতে ও পকেটে নেওয়ার জন্য যেন খুব বেশি সুবিধা জনক হয়
হাত থেকে যেন সহজে ফুসকে না যায়। আর মোবাইলের সুন্দর একটি ডিজাইন নির্ভর করে
আপনার পার্সোনালিটি এবং স্মার্টনেসের বিষয়। অর্থাৎ আপনি যদি একটি সুন্দর
ডিজাইনের ফোন ব্যবহার করে তাহলে সকলেই আপনার ফোনের ডিজাইনের জন্য প্রশংসা করবে
যেটা আপনার সামগ্রিক স্মার্টনেসের উপর প্রভাব ফেলবে। আপনি এমন একটি ডিজাইন এর
ফোন ব্যবহার করছেন যেটি দেখে মানুষ হাসাহাসি করছেন।
যেটি আপনার ব্যবহারের জন্য অসুবিধা হচ্ছে এমন কোন ডিজাইনের ফোন না কি নাই
উত্তম হবে। ফোনের ডিজাইন যদি খুব সুন্দর হয় তাহলে সেটি আপনি যেকোনো সময় যে
কোন জায়গায় ব্যবহার করে মজা পাবেন। মোবাইলটি যেন খুব বেশি মোটা না হয় কেননা
বর্তমান সময়ে কেউই এত মোটা ফোন ব্যবহার করে না। আপনার ব্যবহৃত ফোনটি যেন স্লিম
হয় কেননা বর্তমানে স্লিম ডিজাইনের মোবাইল খুব বেশি দর্শনীয়। স্লিম ফোন
অর্থাৎ দেখতে পাতলা ফোন কিনতে গিয়ে আবার যেন খুব বেশি হালকা না হয়। মোটামুটি
যেন ওজন থাকে মোবাইলটি খুব বেশি হালকা হলে ফোনের ভেতরের পার্টস কিন্তু দুই
নম্বর হতে পারে।
কানেক্টিভিটি ফিচার গুলি কি কি থাকা উচিত
কানেক্টিভিটি ফিচার গুলি কি কি থাকা উচিত? আপনি যখন একটি ফোন কিনছেন তখন
নিশ্চয়ই এই ফোনটি আপনি অনেক ভাবে ইউজ করতে চাইবেন। আপনি এই ফোন দিয়ে অনেকক্ষণ
কথা বলতে চাইবেন অডিও এবং ভিডিও কলে। এবং আপনার ফোন দিয়ে ওয়াইফাই কানেকশন
দিয়ে আপনি ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে চাইবন। আপনার ফোনের ব্লুটুথ অপশন দিয়ে আপনি
বিপদের সময়, এক মোবাইল থেকে আরেক ফোনে বিভিন্ন ধরনের ছবি ভিডিও বা ডাটা আদান
প্রদান করতে চাইবেন। আর এই সমস্ত কানেকশনগুলো যদি ভালো মানের কানেকশন না হয়
তাহলে আপনি ফোন ব্যবহার করে ততটা উপকৃত হবেন না। কথা বলার জন্য মোবাইল কানেকশন
অর্থাৎ নেট কানেকশন থাকতে হবে ৫ G
বা এর বেশি হলে আপনি মোবাইলে কথা বলে শান্তি পাবেন এবং মোবাইল দিয়ে ডাটা অপশন
চালু করে দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন এমনকি ডাউনলোড করতে
পারবেন খুব সহজে। বর্তমানে আমরা মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজ করে বেশিরভাগ
সময়ই যে কানেকশনটি দিয়ে সেটি হচ্ছে Wi-Fi দিয়ে আর এই কানেকশনটি যদি নূন্যতম
৬ ভার্সন হয় তাহলে আপনার ফোনে এই কানেকশন দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে সুবিধা
হবে। এবার আসা যাক ব্লুটুথ কানেকশন যেটি কিছুদিন আগেও বেশ জনপ্রিয় একটি
কানেকশন ছিল আর এটির ভার্সন কমপক্ষে ৫.০ হতে হবে বা এর উপরে হলে ভালো হয় মনে
রাখবেন এই কানেকশন দিয়ে আপনি আপনার ফোনকে ল্যাপটপ কম্পিউটার এমনকি ওয়ারলেস
হেডফোনের সাথে কানেক্ট করতে পারবেন।
নিরাপত্তা ফিচার গুলি যেমন হলে ভালো হয়
নিরাপত্তা ফিচার গুলি যেমন হলে ভালো হয় বর্তমান সময়ে যুগোপযোগী কোন কিছু না
হলে তা আমাদের কারো জন্যই নিরাপদ নয়। অর্থাৎ আপনি ধান দিয়ে শখের একটি ফোন
কিনলেন এবং সেটিতে ভালো মানের সিকিউরিটি সিস্টেম না থাকলে তা আপনি নিরাপদ ভাবে
ব্যবহার করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনার ফোনে উন্নত মানের বায়োমেট্রিক্স
সিকিউরিটি সিস্টেম থাকতে হবে যেমন ফেস আনলক এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট। আপনার
ফোনে যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মত সিকিউরিটি সিস্টেমটি থাকে তাহলে সেটি নিরাপত্তার
দিক দিয়ে
যেমন খুব বেশি শক্তিশালী অন্যদিকে এটি খুব দর্শনীয় হবে। নিয়মিত আপনার ফোনের
সিকিউরিটি সফটওয়্যার এর আপডেটের অপশন থাকলে আপনার ফোনকে ম্যালওয়্যার এবং
ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করবে। এবং google play কর্তৃক একটি প্রটেক্ট সিস্টেম
রয়েছে যা আপনার ফোনকে ভাইরাস জনিত সফটওয়্যার থেকে রক্ষা করবে। এবং আপনার ফোনে
যদি ইনক্রিপশন নামক রিচারটি থাকে তাহলে এটি আপনার ফোনের সকল দাদাকে সুরক্ষা
প্রদান কর।
জনপ্রিয় মডেল ও ব্র্যান্ড নির্বাচন করা
জনপ্রিয় মডেল ও ব্র্যান্ড নির্বাচন করা এ বিষয়ে আপনাকে গুরুত্ব আরোপ করতে
হবে। আপনি যখন ভালো কোন ব্র্যান্ডের ফোন কিনতে চাচ্ছেন বা জনপ্রিয় মডেল কিনতে
যাচ্ছেন তার জন্য আপনি একটু ফেসবুক বা ইউটিউবে খোঁজাখুঁজি করলেই বর্তমান সময়ের
জনপ্রিয় মডেল সম্বলিত ফোন সম্বন্ধে জানতে পারবে। আর আপনি যদি জনপ্রিয়
ব্র্যান্ড খুঁজে থাকেন তাহলে বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টিকারী
কিছু ব্র্যান্ড রয়েছে আর সেগুলো হলো স্যামসাং-samsung, ওপ্পো-oppo,
শাওমি, অ্যাপেল। এই ব্র্যান্ডের মোবাইলগুলো সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় এদের
ভালো পারফরমেন্স এর জন্য। যদিও এই ব্র্যান্ডগুলো সময়ের সাথে সাথে প্রতিনিয়তই
তাদের মডেল চেঞ্জ করে এবং মডেল অনুযায়ী প্রত্যেকটি ফোনেই বেশ আমূল পরিবর্তন
এনে থাকে। এবং প্রত্যেকটি নতুন নতুন মডেল এ আরো বেশি উন্নত মানের ফিচার
ক্যামেরা সুবিধা সহ সামগ্রিক ফোনের বেশ আধুনিকতা নিয়ে আসে। আপনি যখন একটি ফোন
কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই নতুন আপডেট হওয়া মডেলের ফোন কিনবেন এবং সেই মডেল
সম্পর্কে অনলাইন থেকে রিভিউজ এনে তারপরে কিনবেন।
তুলনামূলক বাজেট নির্বাচন করতে হবে
তুলনামূলক বাজেট নির্বাচন করতে হবে তা না হলে আপনি ভালো মানের ফোন কিনতে পারবেন
না। বর্তমান সময়ে ভালো মায়ের ফোন যা আপনার লাইফ স্টাইলকে উন্নত করবে এবং
আপনার প্রতিদিনের কাজকে সহজ করে তুলবে এবং আরো বেশি আনন্দময় করে তুলতে সাহায্য
করবে। যদিও দামের সাথে প্রত্যেকটি ব্র্যান্ডের প্রত্যেকটি ফিচারের সম্পর্ক
রয়েছে অধঃপতভাবে। আপনি যদি তুলনামূলক ভালো ফোন কিনতে চান তাহলে তুলনামূলক
মোটামুটি বিবেচনা মূলক একটি দাম আপনার নির্ধারণ করতে হবে।
কেন যখন আপনি একটি ফোন কিনবেন তখন নিশ্চয়ই সে ফোনটি টেকসই দীর্ঘস্থায়
ব্যবহারের সুবিধা এবং ভালো মানের ফিচার সম্পাদিত ফোন কিনতে চাচ্ছ। আর ভালো
মানের বাজেট না হলে ভালো মানের বিচার সম্ভবত ফোন আপনি কিনতে পারবেন না। তবে
অনেক সময় খুব কম বাজেটেও ভালো মানের বিচার সম্বলিত ফোন পাওয়া যায় তবে এজন্য
আপনাকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুমে গিয়ে দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফিচারগুলি
দিকে বিবেচনা করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আপনি কম দামের ভেতরেও অত্যাধুনিক
ফিচার সম্মানিত ফোন কিনতে পারবেন।
কাস্টমার সাপোর্ট ও মোবাইলের ওয়ারেন্টি
কাস্টমার সাপোর্ট ও মোবাইলের ওয়ারেন্টি সম্পর্কে ধ্যান দেয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ
একটি বিষয়। আপনি যখন কোন ব্র্যান্ডের ফোন কিনতে চাচ্ছেন তখন অবশ্যই খেয়াল
করবেন যে সেটা ওয়ারেন্টি কত দিনের আছে এবং কেনার পর সেটি কোন সমস্যা হলে
সার্ভিস করানোর মত কোন সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা। কিছু কিছু ব্র্যান্ডের
মেয়াদকাল ছয় মাস হয় তো আবার কিছু ব্যান্ডের ফোনের ওয়ারেন্টির মেয়াদ ১ বছর
থেকে দুই বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। চেষ্টা করবেন যেন আপনার ফোনের ওয়ারেন্টি
মেয়াদকাল কমপক্ষে এক বছর হয়। ওয়ারেন্টি মানে হচ্ছে এমন একটা পদ্ধতি
কোয়ান্টি মেয়াদ কালীর মধ্যে আপনার ফোন যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কম্পানি
কর্তৃক ফ্রি সার্ভিস করে নিতে পারবেন আর মেয়াদকাল শেষ হয়ে
গেলে তাই সার্ভিসের জন্য আপনাকে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করতে হবে। অর্থাৎ
বুঝতে পারছেন কাস্টমার সাপোর্ট বা কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার আপনার জন্য কতটা
গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কেনা মোবাইল ফোনের কোম্পানি কর্তৃক কাস্টমার সার্ভিস
সেন্টার যদি না থাকে তাহলে আপনার ফোনে কোন প্রবলেম হলে আপনার ফোনটি আপনাকে ফেলে
দিতে হবে। যদিও আপনি চাইলে আমাদের দেশে এখন বর্তমানে বহু মোবাইল সার্ভিসিং
দোকান রয়েছে সেখান থেকে সার্ভিস করে নিলে আপনার ফোন প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে
থাকবে। আর যদি আপনি কোম্পানি করতে কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার থেকে আপনার ফোন
সার্ভিস করেন তাহলে সেটা সহজে সমস্যা হবে না।
মোবাইল কেনার পর কিভাবে সেট আপ করবেন
মোবাইল কেনার পর কিভাবে সেট আপ করবেন আপনাদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করব। আপনি
যখন নতুন একটি ফোন কিনেছেন তখন সেটি বক্সে করে থাকবে এবং সে বক্সের সাথে মোবাইল
ফোন চার্জার এবং সাথে একটি ছোট্ট গাইড বুক থাকবে। সে গাইড বুকেও আপনার ফোন সেটা
করার মত অনেক ধরনের তথ্য দেয়া থাকে তবে তা ইংরেজিতে। আপনি যখন ফোনটি সেটা
করবেন সেজন্য আপনাকে প্রথমে ফোনটি অন করতে হবে অন করার পরপরই আমার ফোনে আপনার
ল্যাংগুয়েজ বা ভাষা দেয়ার জন্য বলবে এবং এর পরপরই লোকেশন দিতে বলবে। এগুলো
কমপ্লিট হয়ে গেলে
বোনটিকে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ও গেমস দিয়ে মনের মত সেটা করার জন্য আপনাকে
প্রথমেই গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে আপনার একটি ইমেইল আইডি সংযুক্ত করতে হবে। আপনার
যদি আগে থেকে কোন ইমেইল না থাকে তাহলে প্লে স্টোরে গেলেই ক্রিয়েট নিউ ইমেইল
নামে একটি অপশন থাকবে সেখানে ক্লিক করে নির্দেশনা অনুযায়ী দেওয়া তথ্য দিলে
আপনার নতুন একটি ইমেইল আইডি তৈরি করে গুগল প্লে স্টোরে একাউন্ট খুলতে পারবেন
এবং সেখান থেকেই প্রয়োজনমতো সফটওয়্যার এবং গেমস ডাউনলোড করতে পারবেন। এরপর
আপনি সেটিং এ গিয়ে আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড সেট
করে নিবেন যাতে করে আপনার ফোন কোথাও রেখে দিলে কেউ আপনার ফোন থেকে কোন ধরনের
তথ্য না নিয়ে নিতে পারে। সেজন্য চিটিং অপশনে গিয়ে সার্চ বাড়ে যদি আপনি
পাসওয়ার্ড লিখেন তাহলে আপনার সামনে আপনি যে পদ্ধতিতে পাসওয়ার্ড দিতে চান সেই
অপশন গুলি চলে আসবে। যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাসওয়ার্ড, প্যাটার্ন
পাসওয়ার্ড এবং ফেস লক পাসওয়ার্ড। আর ফোনটি কেনার পরপরই একটু ব্যবহার করে
দেখে নিবেন যে সব কিছু ঠিক আছে কিনা যেমন ধরুন ক্যামেরা কোয়ালিটি, সিম দিয়ে
কথা বলে চেক করে নিবেন এবং ভিডিও চালিয়ে ডিসপ্লে কোয়ালিটি ও সাউন্ড কোয়ালিটি
দেখে নিবেন।
লেখকের মন্তব্যঃ ১৫টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে অ্যান্ড্র্যয়েড মোবাইল কেনার সময়
পরিশেষে বলা যায় আপনি যখন বাজারে একটি নতুন মোবাইল কিনতে যাবেন তখন অবশ্যই
আপনি কোন ব্র্যান্ডের ফোন কিনবেন কত টাকা বাজেটের মধ্যে কিনবেন এ বিষয়গুলো আগে
থেকে ঠিক করে নিবেন। বাজারে যাওয়ার আগেই ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করে কত মূল্যের
ভিতরে ভালো ক্যামেরা ও ভালো প্রসেসর যুক্ত মোবাইল পাওয়া যায় সে বিষয়ে আর
একবার ভালোভাবে জেনে নেবেন। আপনি যদি এ বিষয়গুলো না জেনে মোবাইলের দোকানে
মোবাইল কিনতে যান তাহলে দোকানদার বুঝে ফেলবে অতটা ভালো বোঝেন না। তখন মোবাইল
দোকান দুই নাম্বার মোবাইল ধরিয়ে দিতে পারে বেশি দাম নিয়ে। আপনি যদি ছবি তুলতে
ও ভিডিও করতে বেশি পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই কমপক্ষে ৬GB র্যাম যুক্ত মোবাইল
কিনবেন এবং ক্যামেরার কোয়ালিটি নিবেন কমপক্ষে ৫০ মেগাপিক্সেল নবেন।
শিক্ষাই আলোর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url